Ajker Patrika

রোহিঙ্গা যুবককে তুলে নেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ২৫
রোহিঙ্গা যুবককে তুলে নেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ছৈয়দ আলম নামে এক যুবককে অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের ছয় ঘণ্টা পর ওই যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮ ওয়েস্ট নম্বর আশ্রয়শিবিরে ই-ব্লক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী গলাকাটা লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ছৈয়দ আলম উপজেলার বালুখালী ৮ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। 

ওসি মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’ 

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় ছৈয়দ আলমকে ৮-১০ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতকারী অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাতে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর সন্ধান পাননি। 

আজ (রোববার) ভোরে বালুখালী ৮ ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের খায়রুল বশরের ঘরের পাশে পতিত জমিতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জবাই করা এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে। 

জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে দুই দল দুর্বৃত্তের গোলাগুলিতে সৈয়দ আলম নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হন। এর আগে ২১ মার্চ উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের জি-ব্লকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা ও গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হন। ১৮ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়ার তাজনিমারখোলা আশ্রয়শিবিরের ডি-ব্লকে আরসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আরেক রোহিঙ্গা। 

পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের তথ্যমতে, গত মাসে উখিয়ার কয়েকটি আশ্রয়শিবিরে ১০টি পৃথক সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় অন্তত ১১ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। গত পাঁচ মাসে আশ্রয়শিবিরে এ ধরনের ঘটনায় অন্তত ৩৭ রোহিঙ্গার প্রাণ গেছে। 

এ ছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অস্থিরতার জন্য আরসাসহ তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও সাতটি ডাকাত দল সেখানে সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত