Ajker Patrika

ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে পদ্মা সেতুর নির্মাণসামগ্রী চুরি, ৩ ডুবুরিসহ গ্রেপ্তার ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১৫: ৩৬
Thumbnail image

ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে অ্যাঙ্গেল চুরির ঘটনায় ১২ জনকে আটক করেছে সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করার জন্য আনা সাড়ে ৪ হাজার গ্যালভানাইজড অ্যাঙ্গেল উদ্ধার করা হয়। 

আটক ১২ জন হলেন-সোহরাব হোসেন, রফিক, মো. আক্কাস, শেখ মোহাম্মদ, আইয়ুব আলী, জবেল হোসেন, খায়ের আহমেদ, নুরুল আবছার, আরাফাত, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ আলী, মাহবুব আলী। তাঁদের মধ্যে সোহরাব, রফিক ও মো. আক্কাস তিনজন প্রশিক্ষিত ডুবুরি। তাঁরাই ডুবে যাওয়া এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামের জাহাজ থেকে মালামাল চুরি করে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তোলেন। পরে এগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামে। 

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই মাদার ভেসেল থেকে মালামাল নিয়ে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামের একটি জাহাজ সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজটি থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করে ১৪ দিন আগে পদ্মা সেতু এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জাহাজ থেকেই উদ্ধার মালামালগুলো চুরি করেছিলেন আটক ১২ জন। খবর পেয়ে আমরা কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে তাঁদের আটক করি। এ সময় দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার গ্যালভানাইজড অ্যাঙ্গেল উদ্ধার করা হয়। এসব অ্যাঙ্গেল পদ্মা সেতুর রেলসেতুতে ব্যবহারের জন্য আনা হয়।’ 

নির্মাণসামগ্রী চুরিতে কয়েকজন ডুবুরি জড়িত থাকার বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মালামাল উদ্ধারে কাজ করেন ডুবুরি সোহরাব। পরে সেই ওই জাহাজ থেকে মালামাল চুরির জন্য তিনি অন্যদের সংঘবদ্ধ করেন। তাঁদের সঙ্গে আরিফ প্রকাশ আলী ও জাবেদ এখনো পলাতক রয়েছেন।’ 

স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় আটক ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শিগগিরই তাঁদের আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি। 

পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত