Ajker Patrika

ছাত্রলীগের অবরোধে স্থবির চবি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

চবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১৫: ৪৬
ছাত্রলীগের অবরোধে স্থবির চবি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

দুই নেতাকে মারধরের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের ডাকা অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস। অবরোধের কারণে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। চলাচল করেনি শিক্ষার্থীদের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাসও। তবে ভোর থেকে অবরোধ চললেও দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও সাবেক সহসভাপতি রাশেদ হোসাইনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মো. হানিফ নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মূল ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে ভিএক্স গ্রুপ। এতে অচল হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। বিপাকে পড়েন নির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীরা। 

সীতাকুণ্ড থেকে সকালে ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে আসা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সায়েম সাফায়ত বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এসে দেখি মূল গেটে তালা। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হঠাৎ করে এই অবস্থা হওয়ায় ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’

মারধরের শিকার ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমরা মোটরবাইকে করে ১ নম্বর গেট থেকে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। পথিমধ্যে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তাঁর অনুসারীরা আমাদের ওপর রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমরা দুজন দুই দিকে পালিয়ে যাই ৷ এর মধ্যে আমাদের দিকে গুলিও ছোড়া হয়। আমাদের বাইক কোপানো হয়।’

প্রদীপ চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘এ ঘটনার বিচারের দাবিতে এবং হানিফ ও তাঁর দুই ভাইকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে আমাদের কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দিয়েছে।’ 

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা মো. হানিফ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। মারধরের বিষয়টি আপনাদের থেকে শুনছি। এসবে আমি জড়িত নই।’ 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অবরোধ তুলে নেওয়া হলে বাস ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ 

ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এস এম ফখরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। কখন চালু হয় বলা যাচ্ছে না।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো পরিবেশ নেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’ 

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ, হেফাজতে সেনা কর্মকর্তা

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার পর বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাকে ফেরত নেওয়ার অনুরোধ কাতারের

বাংলাদেশ মাতিয়ে যাওয়া জার্মান টিকটকার ভারতে আটক

শেখ হাসিনার ‘ফেরার পরিকল্পনা’ ঘিরে গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার ২২ নেতা-কর্মী কারাগারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত