সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ভূমি আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ফসলি জমি ও পুকুরের মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভূমিখেকো চক্রের সদস্যদের পাহারায় ট্রাকভর্তি এসব মাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এদিকে মাটি বিক্রির কাজে ব্যবহৃত এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুকনো মৌসুমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু চক্র। সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি কৃষির চরম সর্বনাশ করা এসব চক্র অবৈধ ব্যবসায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, এক মাস ধরে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ও মুরাদপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে ফসলি জমি ও পুকুরের মাটি বিক্রির মহোৎসব। সবচেয়ে বেশি মাটি বিক্রি চলছে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের হাতিলোটা ও আলী চৌধুরীপাড়া এলাকায় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চলছে মাটি বিক্রির কাজ। শুরুতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তাঁরা রাতের আঁধারে মাটি কাটা ও বিক্রির কাজ চালালেও এখন দিনের বেলায়ও চলছে এসব কর্মকাণ্ড।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার বাসিন্দারা জানান, এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ মাটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) নামাতে গিয়ে এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারী যন্ত্রটির আঘাতে ভেঙে গেছে ব্রিজের বেশ কিছু অংশও। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সাহস দেখায় না কেউ।
সরেজমিনে ওই ইউনিয়নের আলী চৌধুরীপাড়া ও হাতিলোটা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভূমিদস্যুরা নির্বিচারে ফসলি জমি ও পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করছে। চক্রের সদস্যদের পাহারায় এসব মাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। আর এসব ব্যবসা করতে গিয়ে ভেঙে বিধ্বস্ত হয়েছে গ্রামীণ সড়ক।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাটি কাটায় জড়িত ব্যক্তিরা ভেঙে যাওয়া গ্রামীণ সড়ক ফের মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করা না হলে মাটি কাটার যন্ত্রটি গ্রাম থেকে বের করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবীবুল্লাহ বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করলে তাতে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়, ফসলের ক্ষতি হয়। সীতাকুণ্ডের প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় এলাকায় কিছু বড় জলাশয় খনন করা দরকার। কিন্তু এভাবে মাটি কাটলে না জলাশয় হচ্ছে, না জমি থাকছে। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাটি কাটার বিষয়টি জানি না। তবে যেসব চক্র প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এসব অবৈধ কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগ্গিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তবে অনেক জায়গায় ভূমিখেকো চক্র প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে মাটি বিক্রি করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। শিগ্গিরই এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ভূমি আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ফসলি জমি ও পুকুরের মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভূমিখেকো চক্রের সদস্যদের পাহারায় ট্রাকভর্তি এসব মাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এদিকে মাটি বিক্রির কাজে ব্যবহৃত এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুকনো মৌসুমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু চক্র। সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি কৃষির চরম সর্বনাশ করা এসব চক্র অবৈধ ব্যবসায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, এক মাস ধরে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ও মুরাদপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে ফসলি জমি ও পুকুরের মাটি বিক্রির মহোৎসব। সবচেয়ে বেশি মাটি বিক্রি চলছে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের হাতিলোটা ও আলী চৌধুরীপাড়া এলাকায় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চলছে মাটি বিক্রির কাজ। শুরুতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তাঁরা রাতের আঁধারে মাটি কাটা ও বিক্রির কাজ চালালেও এখন দিনের বেলায়ও চলছে এসব কর্মকাণ্ড।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা এলাকার বাসিন্দারা জানান, এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ মাটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) নামাতে গিয়ে এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারী যন্ত্রটির আঘাতে ভেঙে গেছে ব্রিজের বেশ কিছু অংশও। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সাহস দেখায় না কেউ।
সরেজমিনে ওই ইউনিয়নের আলী চৌধুরীপাড়া ও হাতিলোটা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভূমিদস্যুরা নির্বিচারে ফসলি জমি ও পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করছে। চক্রের সদস্যদের পাহারায় এসব মাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। আর এসব ব্যবসা করতে গিয়ে ভেঙে বিধ্বস্ত হয়েছে গ্রামীণ সড়ক।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাটি কাটায় জড়িত ব্যক্তিরা ভেঙে যাওয়া গ্রামীণ সড়ক ফের মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করা না হলে মাটি কাটার যন্ত্রটি গ্রাম থেকে বের করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবীবুল্লাহ বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করলে তাতে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়, ফসলের ক্ষতি হয়। সীতাকুণ্ডের প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় এলাকায় কিছু বড় জলাশয় খনন করা দরকার। কিন্তু এভাবে মাটি কাটলে না জলাশয় হচ্ছে, না জমি থাকছে। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাটি কাটার বিষয়টি জানি না। তবে যেসব চক্র প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এসব অবৈধ কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগ্গিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তবে অনেক জায়গায় ভূমিখেকো চক্র প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে মাটি বিক্রি করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। শিগ্গিরই এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে