সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীর অবহেলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সতিনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক নারী। আজ শুক্রবার দুপুরে সলিমপুর ইউনিয়নের কালুশাহ মাজার সংলগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিত্যক্ত কলোনির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুলতানা আক্তারকে (২০) আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। খুন হওয়া শাহনাজ বেগম (২৪) ফৌজদারহাটস্থ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক নুরুল আজিমের স্ত্রী। তাঁর দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার সৈয়দ কুচিয়া এলাকায়। তবে চাকরির সুবাদে তাঁরা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কলোনিতে বসবাস করতেন।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, আজ সকালে বড় ছেলেকে নিয়ে শাহনাজ বেগমের স্বামী আজিম একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আনোয়ারায় চলে যান। এ সময় শাহনাজ ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘরে ছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে কলোনির বাসায় আসেন শাহানাজের সতিন সুলতানা আক্তার। ব্যাগে করে ধারালো কাটার নিয়ে এসেছিলেন। সেটি দিয়েই শাহনাজের গলা কাটেন।
ঘটনার পর কলোনির এক ভাড়াটিয়া শাহনাজ বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওপরে উঠতে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় সুলতানা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে আটক করে।
পরিদর্শক সুমন বণিক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা আক্তার শাহনাজ বেগমকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। বিয়ের পর নতুন ব্রিজ এলাকার ভাড়া বাসায় রাখলেও স্বামী নিয়মিত খবর নিতেন না। পুরো মাস থাকতেন বড় স্ত্রীর সঙ্গে। এতে ৬ মাস ও ২ বছর বয়সী দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটতো তাঁর। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সতিন ও স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাই নিজের প্রতি স্বামীর মনোযোগ বাড়াতে সতিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আজ স্বামী বাইরে যাওয়ার খবর শুনে ছেলেকে নিয়ে সতিনের বাসায় ছুটে যান। বাসায় ঢুকে সতিনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু করেন। একপর্যায়ে ব্যাগ থেকে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন শাহনাজ বেগমের চোখে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে সুলতানা ব্যাগ থেকে ধারালো কাটার বের করে গলা কেটে হত্যা করেন।
কলোনির ভাড়াটিয়া দিপালী রানী দাশ জানান, তিনি কলোনির সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সময় শাহনাজ বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠতে দেখেন। তাঁর গলা বেয়ে রক্তের ধারা বইতে দেখেন। এ সময় আরেক নারীকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে দেখেন। চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পালানোর চেষ্টা করা নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল আলম, ওসি আবুল কালাম আজাদসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কলোনির ছাদের ওপর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত নারীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীর অবহেলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সতিনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক নারী। আজ শুক্রবার দুপুরে সলিমপুর ইউনিয়নের কালুশাহ মাজার সংলগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিত্যক্ত কলোনির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুলতানা আক্তারকে (২০) আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। খুন হওয়া শাহনাজ বেগম (২৪) ফৌজদারহাটস্থ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক নুরুল আজিমের স্ত্রী। তাঁর দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার সৈয়দ কুচিয়া এলাকায়। তবে চাকরির সুবাদে তাঁরা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কলোনিতে বসবাস করতেন।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, আজ সকালে বড় ছেলেকে নিয়ে শাহনাজ বেগমের স্বামী আজিম একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আনোয়ারায় চলে যান। এ সময় শাহনাজ ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘরে ছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে কলোনির বাসায় আসেন শাহানাজের সতিন সুলতানা আক্তার। ব্যাগে করে ধারালো কাটার নিয়ে এসেছিলেন। সেটি দিয়েই শাহনাজের গলা কাটেন।
ঘটনার পর কলোনির এক ভাড়াটিয়া শাহনাজ বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওপরে উঠতে দেখে চিৎকার করেন। এ সময় সুলতানা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে আটক করে।
পরিদর্শক সুমন বণিক আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা আক্তার শাহনাজ বেগমকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। বিয়ের পর নতুন ব্রিজ এলাকার ভাড়া বাসায় রাখলেও স্বামী নিয়মিত খবর নিতেন না। পুরো মাস থাকতেন বড় স্ত্রীর সঙ্গে। এতে ৬ মাস ও ২ বছর বয়সী দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটতো তাঁর। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সতিন ও স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাই নিজের প্রতি স্বামীর মনোযোগ বাড়াতে সতিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আজ স্বামী বাইরে যাওয়ার খবর শুনে ছেলেকে নিয়ে সতিনের বাসায় ছুটে যান। বাসায় ঢুকে সতিনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু করেন। একপর্যায়ে ব্যাগ থেকে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন শাহনাজ বেগমের চোখে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে সুলতানা ব্যাগ থেকে ধারালো কাটার বের করে গলা কেটে হত্যা করেন।
কলোনির ভাড়াটিয়া দিপালী রানী দাশ জানান, তিনি কলোনির সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সময় শাহনাজ বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠতে দেখেন। তাঁর গলা বেয়ে রক্তের ধারা বইতে দেখেন। এ সময় আরেক নারীকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে দেখেন। চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পালানোর চেষ্টা করা নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল আলম, ওসি আবুল কালাম আজাদসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কলোনির ছাদের ওপর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত নারীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৪ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫