রাশেদ নিজাম, ঢাকা
ঢাকার মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের সঙ্গে ফাঁসির আদেশ হয়েছে পলাতক মেজর (বরখাস্তকৃত) জিয়াউল হক জিয়ারও। যিনি বেশি পরিচিত মেজর জিয়া নামে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় এখনো এক রহস্যাবৃত চরিত্র হিসেবেই যার অবস্থান। গত দশ বছরে ব্লগার, লেখক হত্যা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় বারবারই এসেছে এই মেজর জিয়ার নাম। কিন্তু তাকে হন্য হয়ে খুঁজেও কোনো অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি দেশে আছেন, নাকি দেশের বাইরে পালিয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য কারও কাছে নেই। তবে একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত দুই বছরে চারবার রাজধানী ঢাকায় জিয়ার অবস্থানের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা তার অবস্থান নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।
হলি আর্টিজান হামলার পর নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয় পুলিশ ও র্যাব। কিন্তু জিয়ার কোনো হদিস মেলেনি। জানা গেছে, বিশেষ কমান্ডো প্রশিক্ষণে পারদর্শী মেজর জিয়া অন্য জঙ্গিদের চেয়ে অনেকটাই গতিসম্পন্ন ও ধূর্ত। তাকে আইনের আওতায় আনতে না পাওয়ার এটা একটি বড় কারণ বলে মনে করেন জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে পলাতক এই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত যতগুলো সংযোগ আছে, সবগুলো নিয়মিত নজরদারিতে আছে। তবে তার অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে আনুমানিক কোনো মন্তব্য করেননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় জিয়াসহ আট জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। আর লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি জিয়াসহ পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। সে মামলায় পলাতক জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ২০১৯ সালের ৫ মে তাঁর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ব্লগার নিলাদ্রী নিলয় হত্যা মামলায়ও সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজরের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দপ্তর এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে জানানো হয়, একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ছবিসহ সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।।
২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর সেসময়ের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে দেশের ব্লগার, লেখক, প্রকাশক হত্যার বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই জিয়া। এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) রূপান্তরিত হয়ে আনসার আল ইসলাম হয়েছে। যা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই মেজর জিয়া।
এ নিয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেজর জিয়াকে ধরতে আমাদের সবগুলো শাখা বহুদিন ধরে কাজ করছে। কিন্তু এখনো আইনের আওতায় না আনতে পারা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি আমরা।
মেজর জিয়া সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য আসে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। চট্টগ্রাম থেকে এবিটির গোয়েন্দা শাখার প্রধান জুবায়েরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি জানান, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের জাকির হোসেন রোডের একটি বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন জিয়া। তখন তার মুখে ছিল দাঁড়ি।
এখন পর্যন্ত পলাতক এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায়, তা হলো তাঁর বাবার নাম জিল্লুল হক। বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই কখনো জনসম্মুখে দেখা যায়নি তাকে। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায়। তাঁর শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের সেই বাড়িতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকার মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের সঙ্গে ফাঁসির আদেশ হয়েছে পলাতক মেজর (বরখাস্তকৃত) জিয়াউল হক জিয়ারও। যিনি বেশি পরিচিত মেজর জিয়া নামে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় এখনো এক রহস্যাবৃত চরিত্র হিসেবেই যার অবস্থান। গত দশ বছরে ব্লগার, লেখক হত্যা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় বারবারই এসেছে এই মেজর জিয়ার নাম। কিন্তু তাকে হন্য হয়ে খুঁজেও কোনো অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি দেশে আছেন, নাকি দেশের বাইরে পালিয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য কারও কাছে নেই। তবে একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত দুই বছরে চারবার রাজধানী ঢাকায় জিয়ার অবস্থানের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা তার অবস্থান নিশ্চিতের চেষ্টা করছি।
হলি আর্টিজান হামলার পর নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয় পুলিশ ও র্যাব। কিন্তু জিয়ার কোনো হদিস মেলেনি। জানা গেছে, বিশেষ কমান্ডো প্রশিক্ষণে পারদর্শী মেজর জিয়া অন্য জঙ্গিদের চেয়ে অনেকটাই গতিসম্পন্ন ও ধূর্ত। তাকে আইনের আওতায় আনতে না পাওয়ার এটা একটি বড় কারণ বলে মনে করেন জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে পলাতক এই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত যতগুলো সংযোগ আছে, সবগুলো নিয়মিত নজরদারিতে আছে। তবে তার অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে আনুমানিক কোনো মন্তব্য করেননি এই র্যাব কর্মকর্তা।
চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় জিয়াসহ আট জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। আর লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি জিয়াসহ পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। সে মামলায় পলাতক জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ২০১৯ সালের ৫ মে তাঁর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ব্লগার নিলাদ্রী নিলয় হত্যা মামলায়ও সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজরের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দপ্তর এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে জানানো হয়, একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ছবিসহ সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।।
২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর সেসময়ের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে দেশের ব্লগার, লেখক, প্রকাশক হত্যার বেশির ভাগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই জিয়া। এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) রূপান্তরিত হয়ে আনসার আল ইসলাম হয়েছে। যা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই মেজর জিয়া।
এ নিয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেজর জিয়াকে ধরতে আমাদের সবগুলো শাখা বহুদিন ধরে কাজ করছে। কিন্তু এখনো আইনের আওতায় না আনতে পারা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি আমরা।
মেজর জিয়া সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য আসে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। চট্টগ্রাম থেকে এবিটির গোয়েন্দা শাখার প্রধান জুবায়েরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি জানান, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের জাকির হোসেন রোডের একটি বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন জিয়া। তখন তার মুখে ছিল দাঁড়ি।
এখন পর্যন্ত পলাতক এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায়, তা হলো তাঁর বাবার নাম জিল্লুল হক। বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই কখনো জনসম্মুখে দেখা যায়নি তাকে। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায়। তাঁর শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের সেই বাড়িতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১০ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২১ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২২ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫