মো. ইব্রাহিম, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট বাজারের ওপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে চলে গেছে জারিরদোনা শাখা খাল। ২০০০ সাল পর্যন্ত খালটি ছিল এই অঞ্চলের কৃষি ও পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এখন স্থানীয় কিছু মানুষ দখল করায় এবং আবর্জনা ফেলায় বাজার এলাকার খালটির প্রায় ৬০০ মিটারের অস্তিত্ব নেই। খালটিকে দখল-দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদেরও কখনো কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
উপজেলার চরফলকন, চর জাঙ্গিলিয়া, জাজিরাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক বাসিন্দার এমন অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশন সারা দেশে নদী, খাল ও জলাশয় দখলকারীদের যে তালিকা তৈরি করেছিল, সে তালিকায় হাজিরহাট বাজারের কোনো দখলদারের নাম নেই।
স্থানীয় আবদুল মালেক বলেন, সেই তালিকায় নাম না থাকলেও জারিরদোনা শাখা খালটি দখল করেই গত ২০-৩০ বছরে হাজিরহাট বাজারের অসংখ্য দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বহুতল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে।
ফলকন-জাজিরা এলাকার সিরাজ বলেন, বাজারে খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজিরহাটের উত্তরের ফলকন, জাজিরা, চর জাঙ্গিলিয়াসহ পাঁচটি গ্রামের হাজার একর জমিতে চাষাবাদে সমস্যা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালের পানি ও আবর্জনা পচে এলাকায় উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। খালটি এখন কৃষক ও এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজিরহাট বাজারের খাল ও খালপাড়ে ১১টি বহুতল ভবন এবং শতাধিক আধা পাকা ও টিনশেড দোকানপাট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। চর জাঙ্গিলিয়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ও হারুনুর রশিদ এবং ফলকন-জাজিরা এলাকার বাসিন্দা আ. বারেক ও সিরাজ বলেন, ২০-২২ বছর ধরে অসংখ্য মানুষ খালে ও খালের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় বাজারের উত্তর এলাকার খাল নদীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু বরাবরই প্রশাসন নীরব ছিল, দখলদারদের কোনো বাধা দেয়নি।
স্থানীয় নুর নবী বলেন, পুরো বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা বাজারের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ভাগের খালে ফেলা হচ্ছে। বাজারের দক্ষিণে খালের ওপর একটি গণশৌচাগারের ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। নানাভাবে বাজার সীমানার প্রায় ৬০০ মিটার খাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
মো. সেলিম বলেন, হাজিরহাট বাজারের উত্তর মাথা থেকে উত্তর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে খালের পশ্চিম পাড়ে বেশ কিছু বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। ভবনে যাতায়াতের জন্য খালের ওপর ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করে বাজারের উত্তর দিকের পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
মো. হানিফ মাঝি নামের এক বৃদ্ধ বলেন, হাজিরহাট ইউনিয়ন ও চর ফলকন ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে এ খাল। তিনি প্রায় ৪০ বছর এ খালে নৌকা চালিয়েছেন। স্বাধীনতার ১০ বছর পরেও এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। ২০-২২ বছর আগেও এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলত। হাজিরহাট বাজারে সরকারি গুদামে মালামাল আসত এ খাল দিয়ে। খালের পানি কৃষকদের খেতে ব্যবহৃত হতো। জোয়ার-ভাটায় স্থানীয়রা দেশীয় মাছ ধরত। আশপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে এ খাল কাজে লাগাত। এখন খাল দিয়ে বৃষ্টির পানিও গড়ায় না।
স্থানীয় নুর হোসেন ও মো. হেলাল বলেন, বাজারে খাল ভরাটের পর কয়েক বছর ধরে তাঁরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। হয় পানি বেশি থাকে, না হয় থাকে না। সামান্য বৃষ্টিতে বাড়িতে পানি জমে যায়, নেই জোয়ার-ভাটা।
কমলনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী মিঠু বলেন, খাল উদ্ধারে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। বরং তাদের গাফিলতির কারণে দিন দিন অবৈধ দখলদারেরা খালটি গিলে ফেলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি হাজিরহাটে জারিরদোনা শাখা খালের অবৈধ ৮০ জন দখলদারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১টি বহুতল ভবন এবং ৬৯টি আধা পাকা ও টিনশেড ভবন রয়েছে। খুব শিগগির সেখানে অভিযান চালিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী বলেন, খালটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও কৃষির জন্য খুবই জরুরি। প্রশাসন খালটি দখলমুক্ত করতে পারলে ওখানে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খালের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট বাজারের ওপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে চলে গেছে জারিরদোনা শাখা খাল। ২০০০ সাল পর্যন্ত খালটি ছিল এই অঞ্চলের কৃষি ও পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু এখন স্থানীয় কিছু মানুষ দখল করায় এবং আবর্জনা ফেলায় বাজার এলাকার খালটির প্রায় ৬০০ মিটারের অস্তিত্ব নেই। খালটিকে দখল-দূষণমুক্ত করতে প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদেরও কখনো কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
উপজেলার চরফলকন, চর জাঙ্গিলিয়া, জাজিরাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক বাসিন্দার এমন অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশন সারা দেশে নদী, খাল ও জলাশয় দখলকারীদের যে তালিকা তৈরি করেছিল, সে তালিকায় হাজিরহাট বাজারের কোনো দখলদারের নাম নেই।
স্থানীয় আবদুল মালেক বলেন, সেই তালিকায় নাম না থাকলেও জারিরদোনা শাখা খালটি দখল করেই গত ২০-৩০ বছরে হাজিরহাট বাজারের অসংখ্য দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বহুতল ভবন গড়ে তোলা হয়েছে।
ফলকন-জাজিরা এলাকার সিরাজ বলেন, বাজারে খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজিরহাটের উত্তরের ফলকন, জাজিরা, চর জাঙ্গিলিয়াসহ পাঁচটি গ্রামের হাজার একর জমিতে চাষাবাদে সমস্যা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালের পানি ও আবর্জনা পচে এলাকায় উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। খালটি এখন কৃষক ও এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজিরহাট বাজারের খাল ও খালপাড়ে ১১টি বহুতল ভবন এবং শতাধিক আধা পাকা ও টিনশেড দোকানপাট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। চর জাঙ্গিলিয়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ও হারুনুর রশিদ এবং ফলকন-জাজিরা এলাকার বাসিন্দা আ. বারেক ও সিরাজ বলেন, ২০-২২ বছর ধরে অসংখ্য মানুষ খালে ও খালের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় বাজারের উত্তর এলাকার খাল নদীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু বরাবরই প্রশাসন নীরব ছিল, দখলদারদের কোনো বাধা দেয়নি।
স্থানীয় নুর নবী বলেন, পুরো বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা বাজারের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ভাগের খালে ফেলা হচ্ছে। বাজারের দক্ষিণে খালের ওপর একটি গণশৌচাগারের ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। নানাভাবে বাজার সীমানার প্রায় ৬০০ মিটার খাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
মো. সেলিম বলেন, হাজিরহাট বাজারের উত্তর মাথা থেকে উত্তর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে খালের পশ্চিম পাড়ে বেশ কিছু বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। ভবনে যাতায়াতের জন্য খালের ওপর ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করে বাজারের উত্তর দিকের পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
মো. হানিফ মাঝি নামের এক বৃদ্ধ বলেন, হাজিরহাট ইউনিয়ন ও চর ফলকন ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে এ খাল। তিনি প্রায় ৪০ বছর এ খালে নৌকা চালিয়েছেন। স্বাধীনতার ১০ বছর পরেও এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। ২০-২২ বছর আগেও এ খাল দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলত। হাজিরহাট বাজারে সরকারি গুদামে মালামাল আসত এ খাল দিয়ে। খালের পানি কৃষকদের খেতে ব্যবহৃত হতো। জোয়ার-ভাটায় স্থানীয়রা দেশীয় মাছ ধরত। আশপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে এ খাল কাজে লাগাত। এখন খাল দিয়ে বৃষ্টির পানিও গড়ায় না।
স্থানীয় নুর হোসেন ও মো. হেলাল বলেন, বাজারে খাল ভরাটের পর কয়েক বছর ধরে তাঁরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। হয় পানি বেশি থাকে, না হয় থাকে না। সামান্য বৃষ্টিতে বাড়িতে পানি জমে যায়, নেই জোয়ার-ভাটা।
কমলনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী মিঠু বলেন, খাল উদ্ধারে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। বরং তাদের গাফিলতির কারণে দিন দিন অবৈধ দখলদারেরা খালটি গিলে ফেলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি হাজিরহাটে জারিরদোনা শাখা খালের অবৈধ ৮০ জন দখলদারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১টি বহুতল ভবন এবং ৬৯টি আধা পাকা ও টিনশেড ভবন রয়েছে। খুব শিগগির সেখানে অভিযান চালিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী বলেন, খালটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও কৃষির জন্য খুবই জরুরি। প্রশাসন খালটি দখলমুক্ত করতে পারলে ওখানে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খালের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৫ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৬ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৭ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২৪ দিন আগে