মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান আজাদের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এদিকে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করায় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. শামিম হোসেনকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় জিডি করেছেন। ইউএনও তাঁর অভিযোগে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের সব কার্যক্রমে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। আর্থিক কোনো হিসাব বা আয়-ব্যয়ের কোনো যৌক্তিক হিসাব তাঁর কাছে নেই। এমনকি নির্ধারিত কোন ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হয়, এরও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। শুধু তা-ই নয়, কলেজের স্থায়ী সম্পত্তি এবং বিভিন্ন আয়ের উৎস সম্পর্কে বিগত এক বছরে সভাপতিকে কিছুই অবহিত করেননি। কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ফরম পূরণ ও পরীক্ষাসংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব সভাপতি বরাবর দাখিল করেননি অধ্যক্ষ। গত ৩১ মে কলেজের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বিষয় দৃশ্যমান হয়।
ইউএনও আরও বলেন, ‘ওই সভায় জানতে পারি কলেজের মালিকানাধীন ১০-১২টি দোকানঘর রয়েছে, যা ভাড়া দেওয়া হয়। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কোনো সদুত্তর দেননি। কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আর্থিক বিষয়টি অধ্যক্ষ একাই দেখভাল করেন এবং এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।’ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের থেকে সরকারনির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে কলেজের কিছু শিক্ষককে নামমাত্র কমিটির সদস্য বানিয়ে এ অর্থ খরচ করে থাকেন এবং সরকারনির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা দেন। এমনকি কলেজের কোনো অনুষ্ঠানে সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো কিংবা তাঁকে জানানোও হয় না।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ওবায়দুর রহমান জানান, তদন্ত কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেননি তিনি। শিগগিরই সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং তা যাচাই-বাছাই করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সভাপতির (ইউএনও) সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তিনি কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান আজাদের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এদিকে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করায় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. শামিম হোসেনকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় জিডি করেছেন। ইউএনও তাঁর অভিযোগে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের সব কার্যক্রমে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। আর্থিক কোনো হিসাব বা আয়-ব্যয়ের কোনো যৌক্তিক হিসাব তাঁর কাছে নেই। এমনকি নির্ধারিত কোন ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হয়, এরও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। শুধু তা-ই নয়, কলেজের স্থায়ী সম্পত্তি এবং বিভিন্ন আয়ের উৎস সম্পর্কে বিগত এক বছরে সভাপতিকে কিছুই অবহিত করেননি। কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ফরম পূরণ ও পরীক্ষাসংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব সভাপতি বরাবর দাখিল করেননি অধ্যক্ষ। গত ৩১ মে কলেজের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বিষয় দৃশ্যমান হয়।
ইউএনও আরও বলেন, ‘ওই সভায় জানতে পারি কলেজের মালিকানাধীন ১০-১২টি দোকানঘর রয়েছে, যা ভাড়া দেওয়া হয়। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কোনো সদুত্তর দেননি। কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, আর্থিক বিষয়টি অধ্যক্ষ একাই দেখভাল করেন এবং এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।’ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের থেকে সরকারনির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে কলেজের কিছু শিক্ষককে নামমাত্র কমিটির সদস্য বানিয়ে এ অর্থ খরচ করে থাকেন এবং সরকারনির্ধারিত ফি সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা দেন। এমনকি কলেজের কোনো অনুষ্ঠানে সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো কিংবা তাঁকে জানানোও হয় না।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ওবায়দুর রহমান জানান, তদন্ত কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেননি তিনি। শিগগিরই সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং তা যাচাই-বাছাই করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সভাপতির (ইউএনও) সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তিনি কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৪ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৫ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৭ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২৩ দিন আগে