বেলাল হোসেন, জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চুরি, ছিনতাই, মাদক ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতার কারণে বেড়েছে নিরাপত্তার ঝুঁকি। বহিরাগতদের অবাধ চলাচলের সুযোগে সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধ বাড়ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসের তথ্যমতে, চলতি নভেম্বরে প্রথম ১৬ দিনে রিকশাচালকদের অজ্ঞান করে ১০টি গাড়ি ছিনতাই হয়েছে।এর মধ্যে গত সপ্তাহেই পাঁচটি ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত মাসে অন্তত ১৫টি ঘটনায় বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রদের মোটরযান, বাইসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। সচেতন না হলে শীতকালে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে আবাসিক এলাকা থেকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ছাড়া গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলতান স্কুলের সামনে থেকে এক রিকশাচালককে অজ্ঞান করে রিকশা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র জানায়, ভুক্তভোগী চালকেরা অধিকাংশ সময় খাবার ও জোরপূর্বক গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে জ্ঞান হারান। এগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে নেই। এ জন্য ভুক্তভোগীদের সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রিকশাচালক জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত মাসে আমার রিকশা ছিনতাই হয়। প্রথমে ছাত্র পরিচয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার কথা বলে ছিনতাইকারীরা। তারা স্পিড ক্যানের বোতলে কিছু একটা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমি একটু খেয়ে কৌশলে ফেলে দিই। পরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার নির্জন রাস্তায় গেলে দুর্বল হয়ে পড়ি। তিন দিন পর আমার জ্ঞান ফেরে।’
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বিশমাইল পানির ট্যাংক ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, মীর মশাররফ হোসেন হলের আশপাশসহ নির্জন জায়গায় ছিনতাইসহ অজ্ঞানের ঘটনা ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, সংঘবদ্ধ একটি চক্র অনুমোদনহীন অটোরিকশাগুলোকে টার্গেট করে অপরাধ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হলে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনায়ও তারা জড়িত। বহিরাগতরা মাস্ক পরে আবাসিক হলে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। কারণ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে ৩০৮টির অনুমতি থাকলেও ছাত্র-শিক্ষকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারের বেশি রিকশা চলে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকানপাট রয়েছে যত্রতত্র। এতে অপরাধী চক্রটি সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে সহজে মিশে যাচ্ছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অকেজো সিসি ক্যামেরা, প্রাচীরের ফুটো অংশ, লাইসেন্স ছাড়া অসংখ্য রিকশা ও মোটরসাইকেল, যত্রতত্র ভ্রাম্যমাণ দোকান ও সংশ্লিষ্টদের অন্যায় আবদার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি। নিরাপত্তা অফিস রেজিস্ট্রার ভবনকে একাধিকবার অবগত করলেও এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উপরন্তু আমাদের কার্যক্রমকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক গলদ রয়েছে। একটা চুরির ঘটনার পর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খুঁজতে গেলে দেখা যায় সবকিছু নষ্ট। অপরাধী চক্রও এসব জানে, ফলে দিনদুপুরে অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। এখন পাখি দেখতে অনেকেই আসবে, তাই শীতে নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের প্রতি সবার সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমরা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা অফিস ও স্টেট অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি। রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ ছাড়া পুরো ক্যাম্পাসের সিসি ক্যামেরা সক্রিয় করার বিষয়েও কাজ হচ্ছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চুরি, ছিনতাই, মাদক ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতার কারণে বেড়েছে নিরাপত্তার ঝুঁকি। বহিরাগতদের অবাধ চলাচলের সুযোগে সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধ বাড়ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসের তথ্যমতে, চলতি নভেম্বরে প্রথম ১৬ দিনে রিকশাচালকদের অজ্ঞান করে ১০টি গাড়ি ছিনতাই হয়েছে।এর মধ্যে গত সপ্তাহেই পাঁচটি ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত মাসে অন্তত ১৫টি ঘটনায় বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রদের মোটরযান, বাইসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। সচেতন না হলে শীতকালে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে আবাসিক এলাকা থেকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ছাড়া গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলতান স্কুলের সামনে থেকে এক রিকশাচালককে অজ্ঞান করে রিকশা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র জানায়, ভুক্তভোগী চালকেরা অধিকাংশ সময় খাবার ও জোরপূর্বক গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে জ্ঞান হারান। এগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে নেই। এ জন্য ভুক্তভোগীদের সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রিকশাচালক জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত মাসে আমার রিকশা ছিনতাই হয়। প্রথমে ছাত্র পরিচয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার কথা বলে ছিনতাইকারীরা। তারা স্পিড ক্যানের বোতলে কিছু একটা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমি একটু খেয়ে কৌশলে ফেলে দিই। পরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার নির্জন রাস্তায় গেলে দুর্বল হয়ে পড়ি। তিন দিন পর আমার জ্ঞান ফেরে।’
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বিশমাইল পানির ট্যাংক ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, মীর মশাররফ হোসেন হলের আশপাশসহ নির্জন জায়গায় ছিনতাইসহ অজ্ঞানের ঘটনা ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, সংঘবদ্ধ একটি চক্র অনুমোদনহীন অটোরিকশাগুলোকে টার্গেট করে অপরাধ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হলে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনায়ও তারা জড়িত। বহিরাগতরা মাস্ক পরে আবাসিক হলে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। কারণ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে ৩০৮টির অনুমতি থাকলেও ছাত্র-শিক্ষকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারের বেশি রিকশা চলে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকানপাট রয়েছে যত্রতত্র। এতে অপরাধী চক্রটি সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে সহজে মিশে যাচ্ছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অকেজো সিসি ক্যামেরা, প্রাচীরের ফুটো অংশ, লাইসেন্স ছাড়া অসংখ্য রিকশা ও মোটরসাইকেল, যত্রতত্র ভ্রাম্যমাণ দোকান ও সংশ্লিষ্টদের অন্যায় আবদার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি। নিরাপত্তা অফিস রেজিস্ট্রার ভবনকে একাধিকবার অবগত করলেও এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উপরন্তু আমাদের কার্যক্রমকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক গলদ রয়েছে। একটা চুরির ঘটনার পর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খুঁজতে গেলে দেখা যায় সবকিছু নষ্ট। অপরাধী চক্রও এসব জানে, ফলে দিনদুপুরে অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। এখন পাখি দেখতে অনেকেই আসবে, তাই শীতে নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের প্রতি সবার সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমরা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা অফিস ও স্টেট অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি। রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ ছাড়া পুরো ক্যাম্পাসের সিসি ক্যামেরা সক্রিয় করার বিষয়েও কাজ হচ্ছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৫ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৬ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৭ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২৪ দিন আগে