জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় দালাল চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রথমে নিজেদের কিডনি বিক্রি করেন, পরে তাঁরাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে একসময় দালাল হয়ে যান। চক্রের সদস্যরা অসহায় ও গরিবদের অভাব-অনটনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তাঁদের ধার বা সুদে দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিছুদিন পর সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। এ সময় তাঁরা টাকা ফেরত দিতে না পারলে কিডনি বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরে এ কাজ করতে বাধ্য করা হয়। গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কালাই উপজেলার থল গ্রামের সাহারুল (৩৮), উলিপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন চপল (৩১), জয়পুর বহুতী গ্রামের মোশাররফ হোসেন (৫৪) ও মোকাররম (৫৪), ভেরেন্ডি গ্রামের শাহারুল ইসলাম (৩৫), দুর্গাপুর গ্রামের সাইদুল ফকির (৪৫) এবং জেলার পাঁচবিবি উপজেলার গোড়না আবাসন এলাকার সাদ্দাম হোসেন (৪০)।
তাঁদের মধ্যে শাহারুল ইসলাম ২০০৯ সালে, মোকাররম ২০০৬ সালে ও সাইদুল ফকির ২০১৬ সালে তাঁদের কিডনি বিক্রি করেন এবং ফরহাদ হোসেন, সাদ্দাম, সাহারুল ও মোশাররফ কিডনি বিক্রির জন্য ভারতে যান। কিন্তু তাঁরা ভয় পেয়ে কৌশলে ভারত থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর থেকে তাঁরাও দালালে পরিণত হন।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দালালেরা অসহায় ও গরিবদের অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে তাঁদের প্রাথমিক অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার বা সুদে দেন। আর কিছুদিন পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাঁদের কিডনি বিক্রির জন্য প্রথমে উদ্বুদ্ধ করেন, পরে কিডনি দিতে বাধ্য করা হয়। আর অসাধু চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর তাঁদের দেশের অভ্যন্তরে অথবা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে তাঁদের কিডনি অপসারণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগীকে নামমাত্র চিকিৎসা দিয়ে শেষে তাঁদের এক থেকে দুই লাখ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এসপি মাসুম আহাম্মদ ভূঞা আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কালাই থানা এলাকা থেকে কয়েকজন নিখোঁজ হন। বর্তমানে তাঁরা কালাই এলাকার কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের প্রধান দালাল কাওছার ও সাত্তারের মাধ্যমে দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছেন। আরও জানা গেছে, সম্প্রতি কালাই থানা এলাকার পাশাপাশি জেলার পাঁচবিবি থানা এলাকাতেও কিডনি বিক্রির জন্য অসহায় গরিব লোকজনকে প্রলুব্ধ করছে এই সক্রিয় চক্র। এসব তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) মোসফেকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) ইসতিয়াক আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুনসহ জেলার পাঁচটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ থেকে ২০১৪ সালে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই ও উদয়পুর ইউনিয়ন, কালাই পৌরসভার থুপসাড়া মহল্লাসহ কয়েকটি গ্রামের অসহায় ও গরিব মানুষ অভাবে পড়ে অথবা অর্থের লোভে কিডনি বিক্রি করেছিলেন। এখনো ওই সব এলাকার লোকজন এ কাজ করে আসছেন গোপনে এবং কৌশল পরিবর্তন করে। সম্প্রতি তা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তার করে।
জয়পুরহাটে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় দালাল চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রথমে নিজেদের কিডনি বিক্রি করেন, পরে তাঁরাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে একসময় দালাল হয়ে যান। চক্রের সদস্যরা অসহায় ও গরিবদের অভাব-অনটনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা তাঁদের ধার বা সুদে দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিছুদিন পর সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। এ সময় তাঁরা টাকা ফেরত দিতে না পারলে কিডনি বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরে এ কাজ করতে বাধ্য করা হয়। গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কালাই উপজেলার থল গ্রামের সাহারুল (৩৮), উলিপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন চপল (৩১), জয়পুর বহুতী গ্রামের মোশাররফ হোসেন (৫৪) ও মোকাররম (৫৪), ভেরেন্ডি গ্রামের শাহারুল ইসলাম (৩৫), দুর্গাপুর গ্রামের সাইদুল ফকির (৪৫) এবং জেলার পাঁচবিবি উপজেলার গোড়না আবাসন এলাকার সাদ্দাম হোসেন (৪০)।
তাঁদের মধ্যে শাহারুল ইসলাম ২০০৯ সালে, মোকাররম ২০০৬ সালে ও সাইদুল ফকির ২০১৬ সালে তাঁদের কিডনি বিক্রি করেন এবং ফরহাদ হোসেন, সাদ্দাম, সাহারুল ও মোশাররফ কিডনি বিক্রির জন্য ভারতে যান। কিন্তু তাঁরা ভয় পেয়ে কৌশলে ভারত থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর থেকে তাঁরাও দালালে পরিণত হন।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দালালেরা অসহায় ও গরিবদের অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে তাঁদের প্রাথমিক অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার বা সুদে দেন। আর কিছুদিন পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাঁদের কিডনি বিক্রির জন্য প্রথমে উদ্বুদ্ধ করেন, পরে কিডনি দিতে বাধ্য করা হয়। আর অসাধু চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর তাঁদের দেশের অভ্যন্তরে অথবা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে তাঁদের কিডনি অপসারণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগীকে নামমাত্র চিকিৎসা দিয়ে শেষে তাঁদের এক থেকে দুই লাখ টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এসপি মাসুম আহাম্মদ ভূঞা আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কালাই থানা এলাকা থেকে কয়েকজন নিখোঁজ হন। বর্তমানে তাঁরা কালাই এলাকার কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের প্রধান দালাল কাওছার ও সাত্তারের মাধ্যমে দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছেন। আরও জানা গেছে, সম্প্রতি কালাই থানা এলাকার পাশাপাশি জেলার পাঁচবিবি থানা এলাকাতেও কিডনি বিক্রির জন্য অসহায় গরিব লোকজনকে প্রলুব্ধ করছে এই সক্রিয় চক্র। এসব তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) মোসফেকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) ইসতিয়াক আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুনসহ জেলার পাঁচটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ থেকে ২০১৪ সালে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই ও উদয়পুর ইউনিয়ন, কালাই পৌরসভার থুপসাড়া মহল্লাসহ কয়েকটি গ্রামের অসহায় ও গরিব মানুষ অভাবে পড়ে অথবা অর্থের লোভে কিডনি বিক্রি করেছিলেন। এখনো ওই সব এলাকার লোকজন এ কাজ করে আসছেন গোপনে এবং কৌশল পরিবর্তন করে। সম্প্রতি তা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তার করে।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৯ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৯ দিন আগে