আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
মুলাদীতে জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে অভিভাবকদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভায় ছেলেমেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে অভিভাবকদের কমপক্ষে ৩-৪ বার নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে হয়। বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে হয়। সঙ্গে গুনতে হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা ছাড়াই নিবন্ধন করা যাবে। ৪৫ দিনের পর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকায় এবং ৫ বছর পরে ৫০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করার কথা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণকারী কেউ নিবন্ধন করতে গেলে অবশ্যই মা-বাবার জন্মনিবন্ধন লাগবে। এ ছাড়া জন্মের ৪৫ দিনের পর থেকে ৫ বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে টিকা কার্ড এবং পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের সনদের প্রয়োজন।
মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরডাকাতিয়া গ্রামের আসমা বেগম জানান, সন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। ইংরেজি সনদের জন্য নিয়েছেন বাড়তি ৩০০ টাকা। তিন দিন ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পরে সন্তানের সনদ হাতে পেয়েছেন।
তেরচর গ্রামের সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের জন্য কম্পিউটারের দোকান থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পৌরসভায় এসে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলা ও ইংরেজি সনদের জন্য ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। টিকা কার্ড না থাকায় মেয়ের জন্মনিবন্ধনের জন্য দন্ত চিকিৎসকের প্রত্যয়ন লাগবে। প্রত্যয়ন সংগ্রহ না করতে পারায় জন্ম নিবন্ধন করানো যাচ্ছে না।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা (ইউপিগুলোতে অনলাইনের কাজগুলোর করেন উদ্যাক্তারা) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না।’
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও নিবন্ধক মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে অনলাইনে আবেদন করে এলে সরকারি ফি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করে যেতে পারেন।’
মুলাদী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্ত্রীর জন্মনিবন্ধনে পিতার নাম ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভুল সংশোধন অনুমোদন হতে বিলম্ব হচ্ছে।’
অনলাইন নিবন্ধনে ভুলের বিষয়ে পৌরসভার উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল করার লক্ষ্যে হাতে লেখা জন্মনিবন্ধনগুলো চুক্তিতে ডিজিটাল সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ডিজিটাল সার্ভারে অনেক জন্মনিবন্ধন ভুল লিপিবদ্ধ করেছেন।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন জানান, গ্রামাঞ্চলের অসচেতন অভিভাবকেরা সন্তানদের জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গাছুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে কারও থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না কিংবা কেউ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না।’
মুলাদী পৌরসভার সচিব শফিউল আলম জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে নিবন্ধন ফি গ্রহণ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কেনো সুযোগ নেই।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার বিষয়। তবে ভুল সংশোধনের জন্য অনুমোদন করাতে কাউকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না। এরপরেও অসুবিধা হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুলাদীতে জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে অভিভাবকদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভায় ছেলেমেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে অভিভাবকদের কমপক্ষে ৩-৪ বার নিবন্ধন কার্যালয়ে যেতে হয়। বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে হয়। সঙ্গে গুনতে হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা ছাড়াই নিবন্ধন করা যাবে। ৪৫ দিনের পর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকায় এবং ৫ বছর পরে ৫০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করার কথা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণকারী কেউ নিবন্ধন করতে গেলে অবশ্যই মা-বাবার জন্মনিবন্ধন লাগবে। এ ছাড়া জন্মের ৪৫ দিনের পর থেকে ৫ বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে টিকা কার্ড এবং পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের সনদের প্রয়োজন।
মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরডাকাতিয়া গ্রামের আসমা বেগম জানান, সন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। ইংরেজি সনদের জন্য নিয়েছেন বাড়তি ৩০০ টাকা। তিন দিন ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পরে সন্তানের সনদ হাতে পেয়েছেন।
তেরচর গ্রামের সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের জন্য কম্পিউটারের দোকান থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পৌরসভায় এসে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলা ও ইংরেজি সনদের জন্য ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। টিকা কার্ড না থাকায় মেয়ের জন্মনিবন্ধনের জন্য দন্ত চিকিৎসকের প্রত্যয়ন লাগবে। প্রত্যয়ন সংগ্রহ না করতে পারায় জন্ম নিবন্ধন করানো যাচ্ছে না।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা (ইউপিগুলোতে অনলাইনের কাজগুলোর করেন উদ্যাক্তারা) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না।’
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও নিবন্ধক মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে অনলাইনে আবেদন করে এলে সরকারি ফি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করে যেতে পারেন।’
মুলাদী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্ত্রীর জন্মনিবন্ধনে পিতার নাম ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভুল সংশোধন অনুমোদন হতে বিলম্ব হচ্ছে।’
অনলাইন নিবন্ধনে ভুলের বিষয়ে পৌরসভার উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল করার লক্ষ্যে হাতে লেখা জন্মনিবন্ধনগুলো চুক্তিতে ডিজিটাল সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ডিজিটাল সার্ভারে অনেক জন্মনিবন্ধন ভুল লিপিবদ্ধ করেছেন।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন জানান, গ্রামাঞ্চলের অসচেতন অভিভাবকেরা সন্তানদের জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গাছুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে কারও থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না কিংবা কেউ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না।’
মুলাদী পৌরসভার সচিব শফিউল আলম জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে নিবন্ধন ফি গ্রহণ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কেনো সুযোগ নেই।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার বিষয়। তবে ভুল সংশোধনের জন্য অনুমোদন করাতে কাউকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না। এরপরেও অসুবিধা হলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫