Ajker Patrika

নেমেই হুঁশিয়ারি শিমুল অনুসারীদের, পাল্টা কর্মসূচি প্রতিপক্ষের

নাইমুর রহমান, নাটোর
আপডেট : ১৪ মে ২০২২, ১২: ৩৭
Thumbnail image

আড়াই মাস পর নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারীরা মাঠে নেমেছেন। তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ছয়টি পেশাজীবী সংগঠন জবরদখল ও সেগুলো থেকে লাখ টাকা চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের অনুসারীদের দখল করা এসব সংগঠন পূর্বের নেতৃত্বকে ফিরিয়ে না দিলে পাল্টা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় সংগঠন দখলের প্রতিবাদে সাংসদ শিমুলের অনুসারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে। এদিকে, গত বুধবার যুবলীগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে একই স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে রমজানের অনুসারীরা। পরে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ কোনো পক্ষকেই সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি। পরে শিমুলের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে শহরের কানাইখালি এসে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। একই স্থানে রাত ৮টায় একই কর্মসূচি পালন করেন রমজানের অনুসারীরা।

সাংসদ শিমুলের অনুসারীদের মধ্যে মানববন্ধনে অংশ নেন জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁদের মুখ থেকে একটা কথাও বিএনপির বিরুদ্ধে বের হয় নাই। অথচ তাঁরা প্রতিনিয়ত সাংসদ শিমুলের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করছেন।

সাবেক কাউন্সিল ও পরিবহন মালিক নেতা মোস্তারুল ইসলাম আলম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক চর দখলের মতো একের পর এক সংগঠন দখল করেছেন। এসব সংগঠনের ফান্ডে থাকা লাখ লাখ টাকা ঈদের আগে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে ভাগাভাগি করেছেন।

জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের নামে বাস মালিক সমিতিতে প্রহসন আয়োজন করে নিজের লোকদের বসিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রকৃত মালিকদের হাতে সমিতি ফিরিয়ে না দিলে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, সাংসদ শিমুল তাঁর পরিবার ও অনুসারীদের দ্বারা সবগুলো পেশাজীবী সংগঠন দখল করেছিলেন। সেই সংগঠনগুলো দায়িত্ব নিয়ে প্রকৃত পেশাজীবীদের ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে পেশাজীবীদের কাছে দলের সম্মান ও ভোট বেড়েছে। একজন সাংসদ পরিবারতন্ত্র কায়েম করে দলের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছিলেন, আর আওয়ামী লীগ তা ফিরিয়ে দিয়ে দলকে সম্মানিত করেছে। এটা যাঁরা মানতে পারছেন না তাঁরাই রাস্তায় নেমে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত