পীরগাছা প্রতিনিধি
পীরগাছায় দাদন ব্যবসায়ীর হাতে সুমন মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তিন দিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের চাপড়া বগুড়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে গত শুক্রবার গভীর রাতে পীরগাছা থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ সময় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে।
হাসপাতালে ভর্তি আহত যুবকের অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শনিবার তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারে গতকাল চারজনকে আসামি করে পীরগাছা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা শফিকুল ইসলাম ছপু।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাপড়া বগুড়াপাড়া গ্রামের সুমনের ধার করা ৬০ হাজার টাকা আদায়ের অজুহাতে গত বুধবার বিকেলে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান একই গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী মনজু মিয়া এবং তাঁর ছেলে রেজওয়ান, ইমরান ও আরিফ মিয়া। এ সময় তাঁরা সুমনকে জিম্মি করে টাকা পরিশোধের জন্য তাঁর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
বেকার সুমনের কাছে কিসের টাকা পাবেন, এত টাকা তাঁকে কেন দেওয়া হলো এসব বিষয় তাঁর বাবা ও স্ত্রী জানার চেষ্টা করলেও তাঁদের কিছু বলা হয়নি। বুধবার থেকে শিকলে বেঁধে রাখা হয় সুমনকে। তাঁকে খাবারও দেননি ধরে নেওয়া ব্যক্তিরা। উল্টো চলে নির্মম নির্যাতন। একপর্যায়ে সুমন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে পানিতে চুবানো হয়। হাত-মুখ বেঁধে রাতভর চলে নির্যাতন।
এদিকে সুমনের বাবা শফিকুল ও স্ত্রী লাকী বেগম টাকা পরিশোধে সময় চাইলে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন দাদন ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত সময়ের পর টাকা না পেয়ে তাঁকে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পায় পরিবার। এমন অবস্থায় ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে প্রতিকার চাইলে রাত আড়াইটার দিকে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম দাদন ব্যবসায়ী মনজুর বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার এবং মনজুর ছেলে আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গতকাল হাসপাতালে গেলে সুমনের স্ত্রী লাকী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কী কারণে তাঁকে এত টাকা দিল এবং তার জন্য নির্মমভাবে মারল জানি না। সুমনও টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। তবু আমরা টাকা পরিশোধে সময় চাইলেও তাঁরা শোনেননি। তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন।’
সুমনের বাবা শফিকুল বলেন, ‘ছেলে অবস্থা খারাপ। তাঁকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছি। আমি বিচার চাই।’
ঘটনার বিষয় জানতে মনজুকে পাওয়া যায়নি। তাঁর এক স্বজন আনজু মিয়া জানান, অটো ভ্যান কেনার জন্য সুমন ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ টাকা উদ্ধারে তাঁকে ধরে আনা হয়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং আরিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করি। শনিবার মামলার পর আরিফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
পীরগাছায় দাদন ব্যবসায়ীর হাতে সুমন মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তিন দিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের চাপড়া বগুড়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে গত শুক্রবার গভীর রাতে পীরগাছা থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ সময় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে।
হাসপাতালে ভর্তি আহত যুবকের অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শনিবার তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারে গতকাল চারজনকে আসামি করে পীরগাছা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা শফিকুল ইসলাম ছপু।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাপড়া বগুড়াপাড়া গ্রামের সুমনের ধার করা ৬০ হাজার টাকা আদায়ের অজুহাতে গত বুধবার বিকেলে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান একই গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী মনজু মিয়া এবং তাঁর ছেলে রেজওয়ান, ইমরান ও আরিফ মিয়া। এ সময় তাঁরা সুমনকে জিম্মি করে টাকা পরিশোধের জন্য তাঁর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
বেকার সুমনের কাছে কিসের টাকা পাবেন, এত টাকা তাঁকে কেন দেওয়া হলো এসব বিষয় তাঁর বাবা ও স্ত্রী জানার চেষ্টা করলেও তাঁদের কিছু বলা হয়নি। বুধবার থেকে শিকলে বেঁধে রাখা হয় সুমনকে। তাঁকে খাবারও দেননি ধরে নেওয়া ব্যক্তিরা। উল্টো চলে নির্মম নির্যাতন। একপর্যায়ে সুমন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে পানিতে চুবানো হয়। হাত-মুখ বেঁধে রাতভর চলে নির্যাতন।
এদিকে সুমনের বাবা শফিকুল ও স্ত্রী লাকী বেগম টাকা পরিশোধে সময় চাইলে শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন দাদন ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত সময়ের পর টাকা না পেয়ে তাঁকে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পায় পরিবার। এমন অবস্থায় ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে প্রতিকার চাইলে রাত আড়াইটার দিকে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম দাদন ব্যবসায়ী মনজুর বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার এবং মনজুর ছেলে আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গতকাল হাসপাতালে গেলে সুমনের স্ত্রী লাকী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কী কারণে তাঁকে এত টাকা দিল এবং তার জন্য নির্মমভাবে মারল জানি না। সুমনও টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। তবু আমরা টাকা পরিশোধে সময় চাইলেও তাঁরা শোনেননি। তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন।’
সুমনের বাবা শফিকুল বলেন, ‘ছেলে অবস্থা খারাপ। তাঁকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছি। আমি বিচার চাই।’
ঘটনার বিষয় জানতে মনজুকে পাওয়া যায়নি। তাঁর এক স্বজন আনজু মিয়া জানান, অটো ভ্যান কেনার জন্য সুমন ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ টাকা উদ্ধারে তাঁকে ধরে আনা হয়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং আরিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করি। শনিবার মামলার পর আরিফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪