Ajker Patrika

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩০ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩০ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের সহযোগীদের তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। তাঁকে অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে আরও ৩০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে। এঁদের সবাই এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কর্মকর্তা।

ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁকে ধরতে এরই মধ্যে ইন্টারপোলেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো তাঁর হদিস মেলেনি।

সূত্র বলছে, এফএএস ইনভেস্টমেন্টের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন পি কে হালদার। এতে সহযোগিতা করেছেন এই প্রতিষ্ঠানেরই চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। দুদকের অনুসন্ধানে এসব ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।

দুদকের পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এফএএস ফাইন্যান্স থেকে কীভাবে অর্থ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এসব অর্থ কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে কি না, এসব বিষয় জানতে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান ৩০ কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।

দুদকের তলবের তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন এফএএস ফাইন্যান্সের সহকারী ব্যবস্থাপক নিয়াজ আহমেদ ফারুকী, দীপক কুমার চক্রবর্তী, সাবেক এসভিপি মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, শাখা ব্যবস্থাপক তানভির আহমেদ, ভিপি মো. মনির হোসেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মৌসুমী পাল, ব্যবস্থাপক আহসান রাকিব, সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাসনিয়া তাহসিন রোজালিন, সাবেক ভিপি মো. মনিরুজ্জামান আকন্দ, উপব্যবস্থাপক মীর ইমাদুল হক, সাবেক এসভিপি মো. আজিমুল হক, প্রাণ গৌরাঙ্গ দে, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল শাহরিয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজি, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক এমএ হাফিজ, মো. আবুল শাহজাহান, মাহফুজা রহমান বেবী, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, সোমা ঘোষ, ডা. উদ্দাব মল্লিক, মো. আতারুল ইসলাম, অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার ঘোষ, প্রদীপ কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার, স্বতন্ত্র পরিচালক বীরেন্দ্র কুমার ঘোষ, মোস্তফা আমিনুর রশিদ, মোস্তফা সাহেব, গ্রিনলাইন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি মিলন কুমার দাস, চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজের মালিক গোপালচন্দ্র গাঙ্গুলি, তামিম অ্যান্ড তালহা ব্রাদার্স লিমিটেডের এমডি মো. মনিরুল ইসলাম।

১৬ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এসব ব্যক্তিকে দুদকে হাজির হয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, তাঁর অর্থ পাচারের ঘটনায় আরও ৩০টি মামলার প্রস্তুতি রয়েছে। এসব মামলায় সম্ভাব্য আসামি হতে পারেন ৭০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

বিএনপি নেতা নাছিরের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ দুই সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত