Ajker Patrika

নির্মাণসামগ্রীর দখলে সড়ক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ২৬
Thumbnail image

ময়মনসিংহ নগরীতে সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে ধীরগতির কাজে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। প্রায় দুই মাস ধরে নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন মাকরজানি খাল ঘেঁষে চলমান উন্নয়নকাজের কারণে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষের। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, কাজ শেষ হতে আরও এক মাস লাগবে। এ জন্য সাময়িক কষ্ট মেনে নিতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।

স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, ‘উন্নয়নকাজ হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু খাল অনেক ছোট বানিয়ে দুই পাশ দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী মাকরজানি খালের অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। এক দিন কাজ হলে দুই দিন বন্ধ থাকে। এ জন্য শহরে প্রবেশের বিকল্প এই সড়কটি মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর রামবাবু সড়কের বিদ্যাময়ী উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন মাকরজানি খালের ১৩৫ ফুট আরসিসি নালার কাজ শুরু হয়। এসব উন্নয়নকাজের সরঞ্জামাদি রাখা হয়েছে রামবাবু সড়কে। বালু ও পাথর দীর্ঘদিন ধরে রাখার কারণে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বাইপাস রোড হিসেবে ব্যবহৃত মাকরজানি খালের কাজ চলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

জাহানারা বেগম নামে একজন বাসিন্দা বলেন, ‘নালার কাজ হওয়ায় আমাদের বাসা থেকে বের হতে সমস্যা হয়। নিজেদের উদ্যোগে নালার ওপর মই ফেলে যাতায়াত করছি। ছেলে-মেয়েরা বাসা থেকে বের হতে পারছে না।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।

 পথচারী সারোয়ার হোসেন বলেন, খালের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে শহরে অতিরিক্ত যানজট শুরু হয়েছে। আগে মিন্টু কলেজসংলগ্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হলে লোকজন এই সড়ক ব্যবহার করে শহরে প্রবেশ করত। কিন্তু সড়কটি বন্ধ হওয়ায় যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে।

জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘কাজ হলে একটু ভোগান্তি হবে, সেটা স্বাভাবিক। তবে ঠিকাদারের উচিত, যতটা সম্ভব মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলে দ্রুত কাজ শেষ করা। ঐতিহ্যবাহী এই খালের কাজ যেন সঠিকভাবে হয়, সেই প্রত্যাশাও করছি।’

ঠিকাদার লিটন মিয়া বলেন, ‘দেড় মাস আগে কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে আরও ২০ দিনের মতো লাগবে। কাজ শেষ করার সময় তিন মাস। খালের দুই পাশে ৮ ইঞ্চি ঢালাইয়ে আরসিসি ইউ ড্রেনের কাজ শেষ হলে পরে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য।’

ঠিকাদার আরও বলেন, খালের পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখার জায়গা না থাকায় সড়কের ওপর রাখতে হচ্ছে। এতে কিছুটা ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে উন্নয়নকাজ হলে সাধারণ মানুষকে কিছুটা কষ্ট মেনে নিতেই হবে।

ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘নির্মাণকাজ শুরু হলে সবাইকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এটি বৃহত্তর স্বার্থের জন্য করা হচ্ছে। এ জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, সাময়িক কষ্ট মেনে নেওয়ার জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত