মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে হতদরিদ্রদের ভিজিডির তালিকায় নাম ওঠাতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিডির তালিকা করতে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ চাহিদামতো টাকা না দিলে প্রাথমিকভাবে তাঁদের বাদ দিয়ে তালিকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, মুলাদী উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫৬০ সুবিধাভোগীকে ভিজিডির চাল দেওয়া হবে। তালিকাভুক্তরা আগামী দুই বছর প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এর মধ্যে সফিপুর ইউনিয়নে ৫৬৩, বাটামারা ইউনিয়নে ৩৭৯, নাজিরপুর ইউনিয়নে ৩৬১, চরকালেখান ইউনিয়নে ৩০৯, গাছুয়া ইউনিয়নে ২৭৯, সদর ইউনিয়নে ৩৩৮ এবং কাজিরচর ইউনিয়নে ৩৩১ জন হতদরিদ্র নারী ভিজিডির সুবিধা পাওয়া কথা রয়েছে।
জানা গেছে, চেয়ারম্যানরা ভিজিডির কিছু তালিকা করার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা দালালদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা নিচ্ছেন। যাঁরা টাকা দিতে পারছেন না তাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। ভিজিডি কার্ড সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কথা বলে এসব পরিবারকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান-সদস্যদের আত্মীয়, কাছের লোক, নির্বাচনী কর্মীদের ভিজিডির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
গাছুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের শেফালী বেগম বলেন, ‘ভিজিডির তালিকা অনলাইন করার জন্য চেয়ারম্যানের এক লোক পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছেন। ওই টাকা দিতে না পারায় এ বছর থেকে আর চাল পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের হেলেনূর বেগম জানান, ইউনিয়নে ভিজিডির তালিকার করার জন্য অফিস খরচের জন্য মো. রসুল নামে এক ব্যক্তি ছয় হাজার টাকা চেয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় ভিজিডির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গাছুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোসলেম সরদার বলেন, যাঁরা সচ্ছল এবং চেয়ারম্যান-সদস্যদের আত্মীয়, তাঁরা ভিজিডির তালিকাভুক্ত হয়েছেন। অনেকে টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, পরিষদে সভা করে সদস্যদের তালিকা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে টাকাপয়সা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাছুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন ব্যাপারী বলেন, ভিজিডির জন্য ইউনিয়ন থেকে মাত্র ২৭৯ নারীকে সুবিধা দেওয়া যাবে। যেসব নারী সুবিধা পাননি তাঁরা টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহানূর আফরোজ জানান, নিয়ম অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যানরা তাঁর পরিষদের সদস্যদের দিয়ে এলাকাভিত্তিক দরিদ্র ও অসহায় নারীদের তালিকা করবেন। সেই তালিকা অনুযায়ী পরে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হবে। চেয়ারম্যানদের তালিকার বাইরে কাউকে ভিজিডির সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
বরিশালের মুলাদীতে হতদরিদ্রদের ভিজিডির তালিকায় নাম ওঠাতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিডির তালিকা করতে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ চাহিদামতো টাকা না দিলে প্রাথমিকভাবে তাঁদের বাদ দিয়ে তালিকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, মুলাদী উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫৬০ সুবিধাভোগীকে ভিজিডির চাল দেওয়া হবে। তালিকাভুক্তরা আগামী দুই বছর প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এর মধ্যে সফিপুর ইউনিয়নে ৫৬৩, বাটামারা ইউনিয়নে ৩৭৯, নাজিরপুর ইউনিয়নে ৩৬১, চরকালেখান ইউনিয়নে ৩০৯, গাছুয়া ইউনিয়নে ২৭৯, সদর ইউনিয়নে ৩৩৮ এবং কাজিরচর ইউনিয়নে ৩৩১ জন হতদরিদ্র নারী ভিজিডির সুবিধা পাওয়া কথা রয়েছে।
জানা গেছে, চেয়ারম্যানরা ভিজিডির কিছু তালিকা করার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা দালালদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা নিচ্ছেন। যাঁরা টাকা দিতে পারছেন না তাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। ভিজিডি কার্ড সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কথা বলে এসব পরিবারকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান-সদস্যদের আত্মীয়, কাছের লোক, নির্বাচনী কর্মীদের ভিজিডির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
গাছুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের শেফালী বেগম বলেন, ‘ভিজিডির তালিকা অনলাইন করার জন্য চেয়ারম্যানের এক লোক পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছেন। ওই টাকা দিতে না পারায় এ বছর থেকে আর চাল পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের হেলেনূর বেগম জানান, ইউনিয়নে ভিজিডির তালিকার করার জন্য অফিস খরচের জন্য মো. রসুল নামে এক ব্যক্তি ছয় হাজার টাকা চেয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় ভিজিডির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গাছুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোসলেম সরদার বলেন, যাঁরা সচ্ছল এবং চেয়ারম্যান-সদস্যদের আত্মীয়, তাঁরা ভিজিডির তালিকাভুক্ত হয়েছেন। অনেকে টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, পরিষদে সভা করে সদস্যদের তালিকা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে টাকাপয়সা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাছুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন ব্যাপারী বলেন, ভিজিডির জন্য ইউনিয়ন থেকে মাত্র ২৭৯ নারীকে সুবিধা দেওয়া যাবে। যেসব নারী সুবিধা পাননি তাঁরা টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহানূর আফরোজ জানান, নিয়ম অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যানরা তাঁর পরিষদের সদস্যদের দিয়ে এলাকাভিত্তিক দরিদ্র ও অসহায় নারীদের তালিকা করবেন। সেই তালিকা অনুযায়ী পরে তাঁদের সুবিধা দেওয়া হবে। চেয়ারম্যানদের তালিকার বাইরে কাউকে ভিজিডির সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৪ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৫ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৭ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২৩ দিন আগে