সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার সাভার উপজেলায় মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে একই গ্রামের ১০টি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাইদগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর একটি আরেকটি থেকে ২০০ থেকে ৫০০ গজ দূরত্বে অবস্থিত। ফলে একটির আগুন আরেকটিতে ছড়ানোর সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীর মধ্যে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও একজনের গোয়ালে থাকা ছাগল দগ্ধ হয়েছে। অনেকের ঘরের আসবাব ও জমির দলিল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশও কিছু জানাতে পারেনি। এর আগে, চলতি বছরের ২৮ জুলাই একই কায়দায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তিন গ্রামের নয়টি বাড়িতে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাতের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন বাইদগাঁও গ্রামের হযরত আলী, শওকত আকবর, আজিজুল হক, শেফালী বেগম, শাহাবুদ্দিন, দিপু, আক্কাস প্রফেসর, মিয়াজ উদ্দিন, চাতৈলভিটি এলাকার আলাল মাস্টার ও নূর মোহাম্মদ।
ভুক্তভোগী হযরত আলী মাস্টার জানান, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ছাগলের ডাকাডাকি শুনে জেগে ওঠেন। বেরিয়ে দেখেন গোয়ালঘরে আগুন জ্বলছে। পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুনে গোয়ালঘরে থাকা চারটি ছাগল কিছুটা দগ্ধ হয়। পরে ছাগলগুলো জবাই করা হয়। এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
শওকত আকবর নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি রাতে বারান্দায় পায়চারি করছিলেন। আশপাশের লোকজনের চিৎকার শুনে বের হন। বের হয়ে দেখেন তাঁর দুটি ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে দ্রুত বৈদ্যুতিক মোটর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভান।ঘরে থাকা ট্রাঙ্কে রাখা জমির কাগজপত্র এবং খাটসহ অন্য আসবাব পুড়ে গেছে।
এদিকে, আগুনে পুড়ে গেছে আজিজুল হকের ঘরের বারান্দা, শেফালি বেগম ও শাহাবুদ্দিন মাদবরের রান্নাঘর, দিপুর একটি থাকার ঘর, আক্কাস প্রফেসরের পরিত্যক্ত একটি ঘর, মিয়াজ উদ্দিনের গোয়ালঘর এবং চাতৈলভিটি এলাকার আলাল মাস্টার ও নূর মোহাম্মদের ধানের গোলা পুড়ে গেছে।
ভুক্তভোগী শেফালী বেগম জানান, তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে সজিবকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। অনেক কষ্ট করে মাটির টিন দিয়ে বড় করে একটি রান্নাঘর দেন। রাত তিনটার দিকে মানুষের চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে তাঁর। ঘর থেকে বের হতে দেখেন বাইরে থেকে লাগানো। পরে জানালা দিয়ে দেখেন রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের দরজা খুলে দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে, খবর পেয়ে গতকাল রোববার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন শিমুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটা পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জড়িতদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাঁদের শক্তির জানান দিতে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’
আশুলিয়া থানার এসআই নূর মোহাম্মদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একটি বাড়ি থেকে আরেকটি বাড়ির দূরত্ব অন্তত ২০০ থেকে ৫০০ গজ। ফলে তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার বিষয়ে এখনেই কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না।
ঢাকার সাভার উপজেলায় মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে একই গ্রামের ১০টি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাইদগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর একটি আরেকটি থেকে ২০০ থেকে ৫০০ গজ দূরত্বে অবস্থিত। ফলে একটির আগুন আরেকটিতে ছড়ানোর সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীর মধ্যে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও একজনের গোয়ালে থাকা ছাগল দগ্ধ হয়েছে। অনেকের ঘরের আসবাব ও জমির দলিল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশও কিছু জানাতে পারেনি। এর আগে, চলতি বছরের ২৮ জুলাই একই কায়দায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তিন গ্রামের নয়টি বাড়িতে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাতের আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন বাইদগাঁও গ্রামের হযরত আলী, শওকত আকবর, আজিজুল হক, শেফালী বেগম, শাহাবুদ্দিন, দিপু, আক্কাস প্রফেসর, মিয়াজ উদ্দিন, চাতৈলভিটি এলাকার আলাল মাস্টার ও নূর মোহাম্মদ।
ভুক্তভোগী হযরত আলী মাস্টার জানান, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ছাগলের ডাকাডাকি শুনে জেগে ওঠেন। বেরিয়ে দেখেন গোয়ালঘরে আগুন জ্বলছে। পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভান। আগুনে গোয়ালঘরে থাকা চারটি ছাগল কিছুটা দগ্ধ হয়। পরে ছাগলগুলো জবাই করা হয়। এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
শওকত আকবর নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি রাতে বারান্দায় পায়চারি করছিলেন। আশপাশের লোকজনের চিৎকার শুনে বের হন। বের হয়ে দেখেন তাঁর দুটি ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে দ্রুত বৈদ্যুতিক মোটর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভান।ঘরে থাকা ট্রাঙ্কে রাখা জমির কাগজপত্র এবং খাটসহ অন্য আসবাব পুড়ে গেছে।
এদিকে, আগুনে পুড়ে গেছে আজিজুল হকের ঘরের বারান্দা, শেফালি বেগম ও শাহাবুদ্দিন মাদবরের রান্নাঘর, দিপুর একটি থাকার ঘর, আক্কাস প্রফেসরের পরিত্যক্ত একটি ঘর, মিয়াজ উদ্দিনের গোয়ালঘর এবং চাতৈলভিটি এলাকার আলাল মাস্টার ও নূর মোহাম্মদের ধানের গোলা পুড়ে গেছে।
ভুক্তভোগী শেফালী বেগম জানান, তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে সজিবকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। অনেক কষ্ট করে মাটির টিন দিয়ে বড় করে একটি রান্নাঘর দেন। রাত তিনটার দিকে মানুষের চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে তাঁর। ঘর থেকে বের হতে দেখেন বাইরে থেকে লাগানো। পরে জানালা দিয়ে দেখেন রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের দরজা খুলে দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে, খবর পেয়ে গতকাল রোববার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন শিমুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটা পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জড়িতদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাঁদের শক্তির জানান দিতে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’
আশুলিয়া থানার এসআই নূর মোহাম্মদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একটি বাড়ি থেকে আরেকটি বাড়ির দূরত্ব অন্তত ২০০ থেকে ৫০০ গজ। ফলে তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার বিষয়ে এখনেই কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে