Ajker Patrika

জমির লোভে আটকে রাখা হয় তালাবদ্ধ ঘরে

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১২: ৫৯
জমির লোভে আটকে  রাখা হয় তালাবদ্ধ ঘরে

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আনিস খাঁ (৪২) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে তাঁর জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় আনিস খাঁকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের নয়ন খাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন আনিস।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আনিস খাঁ গাজিন্দা গ্রামের মৃত চাঁন খাঁর ছেলে। আনিসকে সুস্থ করে তুলবেন—এমন প্রতিশ্রুতিতে কয়েক বছর আগে ওই এলাকার মৃত আবদুল রহিমের ছেলে নয়ন খাঁ তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে আনিস খাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ ছাড়া তাঁর জমি ভোগদখল করতে থাকেন নয়ন। মানসিক প্রতিবন্ধী আনিস খাঁর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ১০৬ শতাংশ জমি লিখে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি।

আনিস খাঁর ভাগনি সালেহা বেগম রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাঁর মামাকে ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে। সালেহা বেগম বলেন, ‘মামা আমার বাড়িতে ছিলেন। জমি দখল করার উদ্দেশ্যে তাঁকে নিয়ে এসে নয়ন খাঁ ঘরে আটকে রাখেন। এ সময় তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।’

আনিসের মামা শামসের খাঁ বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমার ভাগনেকে নয়ন খাঁ শুধু জমি ভোগদখল করার জন্যই আটকে রেখেছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে নয়ন খাঁ বলেন, ‘আনিস আমার চাচাতো ভাই। তাঁকে দেখাশোনা করার জন্য আমি আমার বাড়িতে রেখেছি। তিনি আমাকে স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন। তাঁর ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিঙ্গাইর থানার ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনিস খাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছেন এমন খবর দেন তাঁর ভাগনি সালেহা বেগম। খবর পেয়ে নয়ন খাঁর তালাবদ্ধ ঘর থেকে আনিসকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁর ভাগনি সালেহা বেগমের জিম্মায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জমকালো দোতলা বাড়িতে দূতাবাস, সামনে সারি সারি কূটনৈতিক গাড়ি—৭ বছর পর জানা গেল ভুয়া

বেনজীরের এক ফ্ল্যাটেই ১৯ ফ্রিজ, আরও বিপুল ব্যবহার সামগ্রী উঠছে নিলামে

অবশেষে রাজি ভারত, ‘জিতেছে বাংলাদেশ’

ছেলের লাশ পেতে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে

ই-মেইলে একযোগে ৫৪৭ ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, পুনর্বহালের দাবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত