নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর গুলশানে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মিন্টু ও তাঁর দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. শাহীন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গুলিতে আহত পথচারী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নম্বর সহসভাপতি। আগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকায় ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা মিন্টু অনেকটা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করায় ওই এলাকার লোকজনের কাছে তিনি ত্রাস হিসেবে পরিচিত।
গত রোববার বিকেলে গুলশান ১ নম্বর এলাকায় তাঁর এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশা-ভ্যানের চালক ও প্রাইভেট কার চালক আহত হওয়ার পর আবার আলোচনায় এসেছেন এই মিন্টু। ওই দিনই পুলিশ মিন্টুকে অস্ত্র, গুলিসহ আটক করলেও তাঁকে ছাড়াতে প্রভাবশালীদের তদবির ছিল বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলামের মামলার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার আদালতে পাঠায়।
পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আ. আহাদ বলেন, মিন্টুর অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
মিন্টুর উত্থান যেভাবে
মিন্টু মহাখালীর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার শুটার হিসেবে কাজ করতেন। পরে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠ হন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাসেবক লীগে জড়িত হন। ঢাকা উত্তরের গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। বর্তমান কমিটির সহসভাপতির পদ পান। অভিযোগ রয়েছে, মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, সাততলা বস্তি এলাকার বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে তাঁর লোকজন। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে মহাখালী এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। কাগজপত্রে তাঁর পেশা ঠিকাদারি ও ব্যবসা।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, রোববার মিন্টু যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছিলেন, সেটির লাইসেন্স নেন ২০১৬ সালে। এর মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হলে আবার নবায়ন করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তা বাড়ান।
পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ
ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত দায় সংগঠন নেবে না। আমরা তাঁকে বিনয়ী হিসেবে জানি, কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর কী হয়েছে, তা জানি না। ভালো জানি বলেই তিনি কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। পূর্বের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।’
মিন্টুর বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর পুলিশের প্রতিবেদন এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর গুলশানে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় মিন্টু ও তাঁর দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. শাহীন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গুলিতে আহত পথচারী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নম্বর সহসভাপতি। আগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকায় ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা মিন্টু অনেকটা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করায় ওই এলাকার লোকজনের কাছে তিনি ত্রাস হিসেবে পরিচিত।
গত রোববার বিকেলে গুলশান ১ নম্বর এলাকায় তাঁর এলোপাতাড়ি গুলিতে রিকশা-ভ্যানের চালক ও প্রাইভেট কার চালক আহত হওয়ার পর আবার আলোচনায় এসেছেন এই মিন্টু। ওই দিনই পুলিশ মিন্টুকে অস্ত্র, গুলিসহ আটক করলেও তাঁকে ছাড়াতে প্রভাবশালীদের তদবির ছিল বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ আমিনুল ইসলামের মামলার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার আদালতে পাঠায়।
পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আ. আহাদ বলেন, মিন্টুর অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
মিন্টুর উত্থান যেভাবে
মিন্টু মহাখালীর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার শুটার হিসেবে কাজ করতেন। পরে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠ হন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাসেবক লীগে জড়িত হন। ঢাকা উত্তরের গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। বর্তমান কমিটির সহসভাপতির পদ পান। অভিযোগ রয়েছে, মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, সাততলা বস্তি এলাকার বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে তাঁর লোকজন। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে মহাখালী এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। কাগজপত্রে তাঁর পেশা ঠিকাদারি ও ব্যবসা।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, রোববার মিন্টু যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছিলেন, সেটির লাইসেন্স নেন ২০১৬ সালে। এর মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হলে আবার নবায়ন করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তা বাড়ান।
পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ
ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত দায় সংগঠন নেবে না। আমরা তাঁকে বিনয়ী হিসেবে জানি, কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর কী হয়েছে, তা জানি না। ভালো জানি বলেই তিনি কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। পূর্বের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।’
মিন্টুর বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর পুলিশের প্রতিবেদন এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৭ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৭ দিন আগে