রাহুল শর্মা, ঢাকা
রাজধানীর ধানমন্ডির বেসরকারি আইডিয়াল কলেজে কেনাকাটা ও নির্মাণকাজে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবে এসব হয়েছে বিধান না মেনে দরপত্র আহ্বান ছাড়াই। এসব অনিয়মের পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের বিধিবহির্ভূতভাবে সম্মানী গ্রহণ, শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম, ছাত্রাবাসসহ অন্য কিছু খাতে অর্থ আদায় করে কলেজের তহবিলে জমা না দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এক তদন্ত প্রতিবেদনে।
এই তদন্ত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) দুই কর্মকর্তা। ডিআইএর এই তদন্ত প্রতিবেদন গত ৩ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক কাজ শেষে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রুতই প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান মাউশি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলার কথা জানিয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল কলেজে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই উচ্চমাধ্যমিকের। কলেজটিতে আটটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়।
ডিআইএর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার-ভবন সংস্কার ও মেরামত, হোস্টেল পুনর্নির্মাণ, এসি, সিসি ক্যামেরা কেনায় কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। বিল/ভাউচার প্রদর্শন না করায় আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি সত্য বলে প্রতীয়মান। বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা বিধিবহির্ভূতভাবে সম্মানী বাবদ ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৭৮৬ টাকা নিয়েছেন। এই অর্থ সদস্যদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আদায় করে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রাবাস খরচ বাবদ ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে (শিক্ষার্থীপ্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা) আনুমানিক ১ কোটি টাকা নেওয়া হলেও তা কলেজের সাধারণ তহবিলে জমা না দিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ ও মো. মহিদুল ইসলামের যৌথ হিসাবে জমা করা হয়েছে। এইচএসসির বিশেষ কোচিং ও মডেল টেস্টের জন্য ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা তহবিলে জমা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষ কয়েকজন শিক্ষককে বণ্টন করা হয়।
এ ছাড়া নগদে বেতন আদায় ও বিনা রসিদে ব্যবহারিক পরীক্ষার অর্থ আদায়, অনুমোদন ছাড়া ভর্তির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত দল।
নিয়োগ-পদোন্নতিতে অনিয়ম
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিয়াল কলেজে মেধাতালিকার নিচের দিকের প্রার্থীকে এবং শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়াই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।দুজনের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা মানা হয়নি। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তিন শিক্ষককে।
সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলির পিএইচডি ডিগ্রির সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। নানা অনিয়মের অভিযোগে এই তিনজনকে ২০২২ সালের ৪ জুন বরখাস্ত করে গভর্নিং বডি।
২০১৭ সালের মার্চে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান জসিম উদ্দীন আহম্মেদ। তবে ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার অজুহাতে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
এসব বিষয়ে জসিম উদ্দীন আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে সব কাজ হয়েছে। অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।’ তদন্ত নিয়ে মামলা থাকায় অপর দুই শিক্ষক মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে একাধিক তদন্ত হয়েছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রাজধানীর ধানমন্ডির বেসরকারি আইডিয়াল কলেজে কেনাকাটা ও নির্মাণকাজে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবে এসব হয়েছে বিধান না মেনে দরপত্র আহ্বান ছাড়াই। এসব অনিয়মের পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের বিধিবহির্ভূতভাবে সম্মানী গ্রহণ, শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম, ছাত্রাবাসসহ অন্য কিছু খাতে অর্থ আদায় করে কলেজের তহবিলে জমা না দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এক তদন্ত প্রতিবেদনে।
এই তদন্ত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) দুই কর্মকর্তা। ডিআইএর এই তদন্ত প্রতিবেদন গত ৩ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক কাজ শেষে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রুতই প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান মাউশি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলার কথা জানিয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল কলেজে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই উচ্চমাধ্যমিকের। কলেজটিতে আটটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়।
ডিআইএর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার-ভবন সংস্কার ও মেরামত, হোস্টেল পুনর্নির্মাণ, এসি, সিসি ক্যামেরা কেনায় কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। বিল/ভাউচার প্রদর্শন না করায় আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি সত্য বলে প্রতীয়মান। বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা বিধিবহির্ভূতভাবে সম্মানী বাবদ ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৭৮৬ টাকা নিয়েছেন। এই অর্থ সদস্যদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আদায় করে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রাবাস খরচ বাবদ ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে (শিক্ষার্থীপ্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা) আনুমানিক ১ কোটি টাকা নেওয়া হলেও তা কলেজের সাধারণ তহবিলে জমা না দিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ ও মো. মহিদুল ইসলামের যৌথ হিসাবে জমা করা হয়েছে। এইচএসসির বিশেষ কোচিং ও মডেল টেস্টের জন্য ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা তহবিলে জমা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষ কয়েকজন শিক্ষককে বণ্টন করা হয়।
এ ছাড়া নগদে বেতন আদায় ও বিনা রসিদে ব্যবহারিক পরীক্ষার অর্থ আদায়, অনুমোদন ছাড়া ভর্তির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত দল।
নিয়োগ-পদোন্নতিতে অনিয়ম
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিয়াল কলেজে মেধাতালিকার নিচের দিকের প্রার্থীকে এবং শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়াই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।দুজনের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা মানা হয়নি। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তিন শিক্ষককে।
সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি তৌফিক আজিজ চৌধুরী ও তরুণ কুমার গাঙ্গুলির পিএইচডি ডিগ্রির সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। নানা অনিয়মের অভিযোগে এই তিনজনকে ২০২২ সালের ৪ জুন বরখাস্ত করে গভর্নিং বডি।
২০১৭ সালের মার্চে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান জসিম উদ্দীন আহম্মেদ। তবে ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার অজুহাতে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
এসব বিষয়ে জসিম উদ্দীন আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে সব কাজ হয়েছে। অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।’ তদন্ত নিয়ে মামলা থাকায় অপর দুই শিক্ষক মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে একাধিক তদন্ত হয়েছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১০ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১১ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৮ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৮ দিন আগে