Ajker Patrika

দখলে কমেছে বিদ্যালয়ের জায়গা, পরিমাণ অজানা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৬
দখলে কমেছে বিদ্যালয়ের জায়গা, পরিমাণ অজানা

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার সড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় জায়গা ছিল ৫০ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে রাস্তা নির্মাণ, কবরস্থান, বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করায় এখন জায়গা আছে ৩৫ শতাংশ। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এর পরিমাপ আরও কম। এখন জায়গা আছে ১৮-২০ শতাংশ।

এলাকার পাঁচজন শিক্ষানুরাগীর দানকৃত ৫০ শতাংশ জমির ওপরে ১৯৪০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণী স্থানকে বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের জায়গার ভেতরের অংশেই নির্মাণ করা হয়েছে কংক্রিটের পিচ ঢালাই রাস্তা। একইভাবে বিদ্যালয়ের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি মসজিদ, যা জয়পুরহাট জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৬-১৭ সালে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। মসজিদের দক্ষিণে আছে কবরস্থান। বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে জায়গাও বেদখল হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের জমি পূর্ব সীমানা অতিক্রম করে প্রাচীরটি নির্মাণ করায় ওই ব্যক্তির বাড়ির ভেতরে বিদ্যালয়ের কিছু জমি দখলে চলে গেছে।

জানা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের উত্তর পাশে যে জায়গা আছে, সেখানে শুধু বিদ্যালয়ের জায়গার ওপরে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা। এমনকি রাস্তার উত্তর পাশেও আছে বিদ্যালয়ের জায়গা। অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের জায়গায় নির্মাণ এবং পরবর্তীকালে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে একটি মসজিদ, যা পুনর্নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের জায়গা আরও সংকীর্ণ হয়ে আসে।

সড়াইল গ্রামের মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মসজিদটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনেক পরে এবং কবরস্থানটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতাধিক বছরের পুরোনো।

কবরস্থানের জমিদাতা এক উত্তরসূরি সড়াইল গ্রামের কাজল হোসেন বলেন, তাঁর পূর্বসূরিদের বিদ্যালয়ের নামে দান করা জমি বাদে অবশিষ্ট জায়গায় কবরস্থান করা হয়েছে এবং এটি প্রায় দুই বছরের পুরোনো।

পূর্ব পাশে সীমানা অতিক্রম করে বিদ্যালয়ের জায়গা বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের কিছু জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির ওপর প্রধান শিক্ষকের মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই দখলকারীর মালিক বর্তমানে নকশা সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করেছেন।

জানা গেছে, সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপের পর বিদ্যালয়ের ব্যবহার্য জায়গার পরিমাণ এখন ৩৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইতিয়ারা পারভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বিদ্যালয়ের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন এবং প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত