Ajker Patrika

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১১: ২৮
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। আজ শনিবার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। আজ শনিবার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যের ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ। ফাঁদে ফেলে প্রতারণার একটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অপরাধীদের রোষে পড়েন তুহিন। এরপর তাঁকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় জিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবলস্বল্পতা রয়েছে। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা সম্ভব হয় না। এখানে জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হয়।’

জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের ওপর ছিল। আমরা প্রিভেন্ট করতে পারিনি। প্রিভেনশন সব সময় করা যায় না। বিশ্বের কোনো দেশ ক্রাইম একেবারে শূন্যতে নিয়ে আসতে পারেনি। তাই আমাদের শত চেষ্টার পরও ক্রাইম হয়ে যেতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘এই ঘটনার প্রথম ভিকটিম বাদশা মিয়া স্থানীয় একটি এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলেন। বিষয়টি দেখে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য গোলাপি (গ্রেপ্তার নারী) বাদশাকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন। গোলাপির সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে বাদশা মিয়া বুঝতে পারেন, তাঁকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে দেখা যায় এবং বাদশা মিয়া গোলাপিকে ঘুষি মারেন। সিসিটিভি ফুটেজে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।’

জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোলাপিকে ঘুষি মারার পরপরই ওত পেতে থাকা গোলাপির ৫-৬ সহযোগী এগিয়ে এসে চাপাতি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। বাদশা মিয়া সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তুহিনের ভিডিও ধারণ করার বিষয়টি আসামিরা দেখে ফেলে। তারা বুঝে যায়, এই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অপরাধ প্রকাশ পেয়ে যাবে। আসামিরা সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলার দাবি করে, এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তারা তুহিনকে ধাওয়া করে। তুহিন একটি চা স্টলে আশ্রয় নিলে তাঁকে সেখান থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ দেখে আমরা ৮ জনকে চিহ্নিত করেছি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পারব।’

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন সাংবাদিক। এ ঘটনায় আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী আছে। সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তুহিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দিতে পারব। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সাজার সংস্কৃতি নিশ্চিত করা গেলে ক্রাইম দমন করা যাবে। আসামিরা যদি অপরাধ না-ও স্বীকার, তবে এভিডেন্সই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে।’

জিএমপি কমিশনার জানান, সাংবাদিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপি (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং সুমন নামের একজন।

হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। অপর আসামি আল আমিনের বিরুদ্ধে ২টি, আসামি স্বাধীনের নামে ২টি, আসামি শাহজালালের বিরুদ্ধে ৮টি এবং আসামি ফয়সাল হাসানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৫ দিন ধরে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির ঘরে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া এলাকা থেকে আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া এলাকা থেকে আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ এবং গত বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে সূর্য ওঠার পর কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না বললে চলে। তবে সন্ধ্যার পর নেমে আসে শীতের তীব্রতা, আর তা চলতে থাকে পরদিন সকালে সূর্য উঁকি না দেওয়া পর্যন্ত।

সদর উপজেলার ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই, এই শীতটা একদম সওয়া যায় না। ভোরে ভ্যান লইয়া বের হইলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দেখা যায় না ঠিকমতো। বেলা বাড়লে তহন একটু আরাম লাগে, কিন্তু সন্ধ্যার লগে লগে আবার জমাট শীত। কাম-কাজ না করলেও চলে না।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেতু যেন মৃত্যুফাঁদ

বান্দরবান প্রতিনিধি
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পাহাড়ি ছড়া বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে ২০১২ সালে গর্জনিয়া উত্তর বড়বিল-দক্ষিণ বাইশারী সংযোগ সেতুটি ভেঙে যায়। এর পর থেকে কাঠ-বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় অস্থায়ী সাঁকোটি প্রায়ই কেঁপে ওঠে। বৃষ্টি বা পাহাড়ি স্রোত এলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করে। বাজার, চিকিৎসা, স্কুল—সবকিছুর জন্য এটি তাঁদের একমাত্র পথ। ২০২৩ সালে এই সাঁকো থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছিল।

বাইশারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একটি ব্রিজ কীভাবে পড়ে থাকে, তা আমাদের জানা ছিল না। মানুষের জীবন নিয়ে যেন কারও কোনো ভাবনাই নেই!’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ‘ব্রিজটির দুরবস্থা নিয়ে আমরা বারবার বলেছি, লিখেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রিজ না থাকায় আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হচ্ছে।’

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নির্মিত সেতুটি ধসে যাওয়ার পর একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ১৩ বছর ধরে তাঁরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু এটি পুনর্নির্মাণে এলজিইডি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

অন্যদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ বলেন, ‘গর্জনিয়া থেকে উৎপাদিত শাকসবজি ও তরিতরকারি বাইশারী বাজারে আনতে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে ভাঙা ব্রিজের ওপরের সাঁকো ভেঙে গেলে কয়েক দিনের জন্য আমাদের যাতায়াত বন্ধ থাকে।’

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ১৩ বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কী দুর্ভোগ তা আমি জানি। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত এই ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমদ বলেন, ‘অনেকবার বিভিন্ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করেছেন, কিন্তু ফল হয়নি।’

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বান্দরবান জেলা পরিষদে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজটি ঠিক কোন উপজেলার আওতাধীন তা নিশ্চিত নই। যে উপজেলার অধীনে পড়বে, তাদেরই কাজটি করতে হবে। যদি নাইক্ষ্যংছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে আমরা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দায়িত্বের প্রশ্নে প্রশাসনের গাফিলতি চলছে। ফলে বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে আছে সেতুটি; আর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই উপজেলা প্রশাসন বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরগুনায় মধ্যরাতে ফেসবুকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

বরগুনা প্রতিনিধি
জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেন।

জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের চারটি পদে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদিত এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান।

নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন সোহেল আমিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শিফাত সিকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন মৃধা। সহসভাপতি পদে রয়েছেন ১৭ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একজন এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৮ জন।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হঠাৎ করে গভীর রাতে নতুন কমিটি ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে ‘অস্ত্র কারখানার মালিক’ নুর উদ্দিন গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রায়হান কাজেমী জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মাঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত