অনলাইন ডেস্ক
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ভারতে গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহী নয়—এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের ভারী শিল্পমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। এই প্রথম ভারত সরকার প্রকাশ্যে স্বীকার করল যে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পরও তারা ইলন মাস্কের টেসলাকে ভারতে বিনিয়োগে রাজি করাতে পারেনি।
গতকাল সোমবার ভারতের কেন্দ্র সরকার দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে উৎসাহিত করতে একটি নতুন প্রণোদনা স্কিমের বিস্তারিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে। ওই অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী টেসলার অনাগ্রহের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মন্ত্রী কুমারস্বামী জানিয়েছেন, টেসলা ভারতে দুটি শোরুম করবে এবং দেশের বাজারে খুচরা বিক্রি করবে। তবে তারা উৎপাদনে আসছে না। তিনি বলেন, ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ, স্কোডা-ফক্সওয়াগন, হুন্দাই ও কিয়া ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু টেসলা? আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করছি না।’
ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, টেসলার একজন প্রতিনিধি প্রণোদনা প্রকল্পের প্রথম পর্বের অংশীজন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে আর আসেননি।
এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, যদি টেসলা ভারতে কারখানা করে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্যায্য’ হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বাজারে টেসলার প্রবেশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে ভারত সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। টেসলা ভারতে যাত্রা শুরুর যে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছিল, তা ২০২২ সালেই স্থগিত হয়ে যায়, যখন ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—দেশে বিক্রি করতে হলে টেসলাকে স্থানীয়ভাবে গাড়ি উৎপাদন করতেই হবে। টেসলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা প্রথমে গাড়ি রপ্তানির মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে চাহিদা যাচাই করতে চায়। ২০২৩ সালে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ভারতের বাজারে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত সময় খুঁজছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে ইলন মাস্ক ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারত সরকার গত বছর বিদেশি বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতাদের জন্য আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তবে, শর্ত দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে অন্তত ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন শুরু করতে হবে। উচ্চ আমদানি শুল্ক টেসলার ভারতের বাজারে প্রবেশে প্রধান বাধা—ইলন মাস্কের এমন মন্তব্যের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজার এখনো সেই মাত্রায় পৌঁছায়নি, যেখানে টেসলা স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। ভারতে এখনো যাত্রীবাহী গাড়ির মোট বিক্রির মাত্র ৩ শতাংশ বৈদ্যুতিক। দেশীয় নির্মাতাদের গাড়ি টেসলার সবচেয়ে কম দামের গাড়িটির তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে পাওয়া যায়। পাশাপাশি চার্জিং পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা ও যোগাযোগ অবকাঠামো টেসলার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে বলেও মনে করেন তাঁরা।
বর্তমানে ভারতে বৈদ্যুতিক যানের বাজারে শীর্ষে আছে টাটা মোটরস, কোম্পানিটির হিস্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি। দ্বিতীয় স্থানে আছে এমজি মোটরস। ভারতের জেএসডব্লিউ ও একটি চীনা কোম্পানির যৌথ মালিকানায় পরিচালিত এ কোম্পানির হিস্যা প্রায় ২২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী চীনা নির্মাতা বিওয়াইডিসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে টেসলার অবস্থান এখন আগের মতো শক্তিশালী নয়। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) টেসলার বৈশ্বিক বিক্রি নেমে আসে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এর অন্যতম কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইলন মাস্কের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ভারতে গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহী নয়—এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের ভারী শিল্পমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। এই প্রথম ভারত সরকার প্রকাশ্যে স্বীকার করল যে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পরও তারা ইলন মাস্কের টেসলাকে ভারতে বিনিয়োগে রাজি করাতে পারেনি।
গতকাল সোমবার ভারতের কেন্দ্র সরকার দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে উৎসাহিত করতে একটি নতুন প্রণোদনা স্কিমের বিস্তারিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে। ওই অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী টেসলার অনাগ্রহের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মন্ত্রী কুমারস্বামী জানিয়েছেন, টেসলা ভারতে দুটি শোরুম করবে এবং দেশের বাজারে খুচরা বিক্রি করবে। তবে তারা উৎপাদনে আসছে না। তিনি বলেন, ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ, স্কোডা-ফক্সওয়াগন, হুন্দাই ও কিয়া ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু টেসলা? আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করছি না।’
ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, টেসলার একজন প্রতিনিধি প্রণোদনা প্রকল্পের প্রথম পর্বের অংশীজন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে আর আসেননি।
এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, যদি টেসলা ভারতে কারখানা করে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্যায্য’ হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বাজারে টেসলার প্রবেশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে ভারত সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। টেসলা ভারতে যাত্রা শুরুর যে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছিল, তা ২০২২ সালেই স্থগিত হয়ে যায়, যখন ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—দেশে বিক্রি করতে হলে টেসলাকে স্থানীয়ভাবে গাড়ি উৎপাদন করতেই হবে। টেসলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা প্রথমে গাড়ি রপ্তানির মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে চাহিদা যাচাই করতে চায়। ২০২৩ সালে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, ভারতের বাজারে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত সময় খুঁজছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে ইলন মাস্ক ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারত সরকার গত বছর বিদেশি বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতাদের জন্য আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তবে, শর্ত দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে অন্তত ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন শুরু করতে হবে। উচ্চ আমদানি শুল্ক টেসলার ভারতের বাজারে প্রবেশে প্রধান বাধা—ইলন মাস্কের এমন মন্তব্যের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজার এখনো সেই মাত্রায় পৌঁছায়নি, যেখানে টেসলা স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। ভারতে এখনো যাত্রীবাহী গাড়ির মোট বিক্রির মাত্র ৩ শতাংশ বৈদ্যুতিক। দেশীয় নির্মাতাদের গাড়ি টেসলার সবচেয়ে কম দামের গাড়িটির তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে পাওয়া যায়। পাশাপাশি চার্জিং পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা ও যোগাযোগ অবকাঠামো টেসলার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে বলেও মনে করেন তাঁরা।
বর্তমানে ভারতে বৈদ্যুতিক যানের বাজারে শীর্ষে আছে টাটা মোটরস, কোম্পানিটির হিস্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি। দ্বিতীয় স্থানে আছে এমজি মোটরস। ভারতের জেএসডব্লিউ ও একটি চীনা কোম্পানির যৌথ মালিকানায় পরিচালিত এ কোম্পানির হিস্যা প্রায় ২২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী চীনা নির্মাতা বিওয়াইডিসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে টেসলার অবস্থান এখন আগের মতো শক্তিশালী নয়। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) টেসলার বৈশ্বিক বিক্রি নেমে আসে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এর অন্যতম কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইলন মাস্কের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা।
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে এসে দেখা গেল, দেশে ১ হাজার ৯৯৯টি কারখানার শ্রমিক এখনো ঈদুল আজহার বোনাস পাননি। শুধু তা-ই নয়, ৩৭৫টি কারখানায় এখনো এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মে মাসের ২৮ তারিখ শেষ হলেও তা মানেননি বহু মালিক; অথচ আর দুই দিন পরই ঈদ।
৭ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষ ঋণ দিতে বরাবরের মতো এবারও অনাগ্রহ দেখিয়েছে ব্যাংকগুলো। মাত্র ২৩২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে ৯টি ব্যাংক। পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসরকার পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মূলত গ্রাহকের সম্পত্তি ক্রোক করার পর সেই সম্পদ নির্ধারিত সময়ে বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় না করার দায়ে এই জরিমানা করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। লক্ষ্য নির্ধারিত; কিন্তু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেই। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, সেটি অবাস্তব। কার্যকর কর সংস্কার ছাড়া ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।
১৬ ঘণ্টা আগে