Ajker Patrika

নেপালে ৪৭৫ কোটি রুপির বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি, সিংহভাগ কাঁচা পাট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৫, ১৪: ৫৩
কাঁকড়ভিটা সীমান্ত, নেপাল। ছবি: সংগৃহীত
কাঁকড়ভিটা সীমান্ত, নেপাল। ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরে নেপালে ৪৭৫ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু কাঁচা পাটই রপ্তানি করা হয়েছে ১৫৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে নেপালি সংবাদমাধ্যম মেরিটাইম গেটওয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেপাল ট্রানজিট অ্যান্ড ওয়্যারহাউজিং কোম্পানির কাঁকরভিটা শাখার প্রধান সুবাস পান্ডে জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য ছিল কাঁচা পাট। এ ছাড়া ব্যাটারি, হাঁস-মুরগির খাবার, প্রসাধনী, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, পাট সুতা, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, ওষুধ, আলু, কাগজ, কাচ এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ও পানীয় নেপালে গেছে।

অন্যদিকে, একই সময়ে নেপাল বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকার পণ্য। নেপাল বাংলাদেশে যে পণ্য রপ্তানি করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ছিল মোলাসেস বা চিটাগুড়। পশুখাদ্য তৈরিতে কখনো কখনো বেকিং উপকরণ হিসেবে এই চিটাগুড় ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ নেপাল থেকে এই পণ্য আমদানি করেছে ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। এর বাইরে দেশটি কিছু ভেষজ গাছ, পশুর খাবার এবং অল্প কিছু গৃহস্থালি পণ্য বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।

তবে, বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি অর্থের পণ্য কিনলেও বাংলাদেশে খুব বেশি অর্থের রপ্তানি করতে না পারায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্যে বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইভাবে আমদানি অনেক বেশি আর রপ্তানি খুব কম থাকলে নেপালের অর্থনীতি দীর্ঘ মেয়াদে চাপে পড়তে পারে। রপ্তানি বাড়াতে নেপালকে নতুন পণ্যে জোর দেওয়া, বাজার খোঁজা এবং সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর মতো পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত