আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
মাত্র ১৬ দিনে শেয়ারদর বেড়েছে ১ হাজার ২৪৬ টাকা বা ৯৩ শতাংশের বেশি! পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির এই অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি ও শেয়ার লেনদেনের মধ্যে কারসাজির ছায়া দেখছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে যাতে সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর), কমপ্লায়েন্স অফিসার অথবা সিইওকে অবহিত করতে সিআরওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিএসইসির সার্ভেল্যান্স বিভাগ থেকে চিঠি ইস্যু করে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটিতে রাষ্ট্রের মালিকানা ৫১ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ৩৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়তে বাড়তে ১৫ এপ্রিল ঠেকেছে ২ হাজার ৫৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ, মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ হাজার ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবে এরপরে দর কিছুটা কমে গতকাল রোববার ২ হাজার ২৯০ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আর আজ সোমবার সকালে (১০টার দিকে) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিএসইতে শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছিল ২ হাজার ২৮৯ টাকায়।
অন্যদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল কেবল ৩ হাজার ৪২ টি। এরপর ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২৪ মার্চ সেটি ৫৩ হাজার ৪৩৮ টিতে দাঁড়ায়।
শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও দরবৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হয়নি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি জানতে চেয়ে ২৪ মার্চ কোম্পানির কাছে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পরের দিন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জবাবে জানায়, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই, যার কারণে শেয়ারদর বাড়তে পারে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এই জবাব সন্তোষজনক মনে হয়নি। যার কারণেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হতে হবে।’
ডিএসইর সিআরওকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির শেয়ারমূল্য ও লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য এবং অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, যা সন্দেহজনক। ওই প্রেক্ষাপটে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০–এর বিধি ১১ এবং দ্বিতীয় তফসিলের আচরণবিধি বিধি ৬ ও ৮ অনুসারে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন সম্পাদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর) বা কমপ্লায়েন্স অফিসার বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) অবহিত করবেন।
সেই সঙ্গে, আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে এই চিঠির তারিখ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে ফোন কল করা হলে ডিএসইর সিআরও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ রিসিভ করেননি। এরপর ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার কারণে স্বাভাবিক নিয়মে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও খবর পড়ুন:
মাত্র ১৬ দিনে শেয়ারদর বেড়েছে ১ হাজার ২৪৬ টাকা বা ৯৩ শতাংশের বেশি! পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির এই অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি ও শেয়ার লেনদেনের মধ্যে কারসাজির ছায়া দেখছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে যাতে সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর), কমপ্লায়েন্স অফিসার অথবা সিইওকে অবহিত করতে সিআরওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিএসইসির সার্ভেল্যান্স বিভাগ থেকে চিঠি ইস্যু করে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটিতে রাষ্ট্রের মালিকানা ৫১ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ৩৩৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি বাড়তে বাড়তে ১৫ এপ্রিল ঠেকেছে ২ হাজার ৫৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ, মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ হাজার ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবে এরপরে দর কিছুটা কমে গতকাল রোববার ২ হাজার ২৯০ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আর আজ সোমবার সকালে (১০টার দিকে) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিএসইতে শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছিল ২ হাজার ২৮৯ টাকায়।
অন্যদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল কেবল ৩ হাজার ৪২ টি। এরপর ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২৪ মার্চ সেটি ৫৩ হাজার ৪৩৮ টিতে দাঁড়ায়।
শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও দরবৃদ্ধির বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হয়নি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি জানতে চেয়ে ২৪ মার্চ কোম্পানির কাছে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। পরের দিন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জবাবে জানায়, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই, যার কারণে শেয়ারদর বাড়তে পারে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এই জবাব সন্তোষজনক মনে হয়নি। যার কারণেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হতে হবে।’
ডিএসইর সিআরওকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসির শেয়ারমূল্য ও লেনদেনের পরিমাণে উল্লেখযোগ্য এবং অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, যা সন্দেহজনক। ওই প্রেক্ষাপটে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০–এর বিধি ১১ এবং দ্বিতীয় তফসিলের আচরণবিধি বিধি ৬ ও ৮ অনুসারে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন সম্পাদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত প্রতিনিধি (এআর) বা কমপ্লায়েন্স অফিসার বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) অবহিত করবেন।
সেই সঙ্গে, আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হলো, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে এই চিঠির তারিখ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে ফোন কল করা হলে ডিএসইর সিআরও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ রিসিভ করেননি। এরপর ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার কারণে স্বাভাবিক নিয়মে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের আরও ৩০ লাখ মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে দারিদ্র্যের অন্ধকার। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, চলতি অর্থবছরেই এই বিপর্যয় সামনে আসছে। একসময় যে মানুষগুলো অল্প আয়ের ভেতরেও বুকভরা আশা নিয়ে দিন কাটাত, আজ তারা রুটি-রুজির টানাপোড়েনে নুয়ে পড়ছে।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকিং খাতে আবারও ঋণ পুনঃ তপসিলের হিড়িক পড়েছে। পুরোনো ধারাবাহিকতায় বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তপসিল করে আড়াল করা হচ্ছে প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃ তপসিল হয়েছে। এর বড় একটি অংশ, প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা পুনঃ তপসিল কর
১৩ ঘণ্টা আগেগত এক দশকে বাংলাদেশের চামড়াশিল্প টানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে দেশের অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেখানে চামড়া খাত বিপরীত চিত্র দেখাচ্ছে। ২০১২ সালে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে এসেছে ৯৭ কোটি ডলারে। অর্থাৎ ১০ বছরে বাৎসরিক আয়
১৩ ঘণ্টা আগেতরুণ স্থপতিদের মেধা ও স্বপ্নকে সম্মান জানাতে ষষ্ঠবারের মতো দেওয়া হলো ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’। আধুনিক স্থাপত্য ভাবনার দূরদর্শিতা ও সৃজনশীলতায় এগিয়ে থাকা তিনজন শিক্ষার্থী পেলেন এই সম্মাননা। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী
১৩ ঘণ্টা আগে