Ajker Patrika

৬০০০ কোটি টাকার বাড়তি কর তামাকে, দাম বাড়ছে সিগারেটের

আপডেট : ০১ জুন ২০২৩, ১৭: ০১
৬০০০ কোটি টাকার বাড়তি কর তামাকে, দাম বাড়ছে সিগারেটের

তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন শুরু করেছেন তিনি।

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের সব কটির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বিড়িতে বাড়ানোর প্রস্তাব নেই। সিগারেটের মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।  এর ফলে সিগারেটের দাম যে বাড়তে পারে তা নিশ্চিত। তবে বিড়ির দাম বাড়বে কিনা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

সিগারেটের চার মূল্যস্তরের মধ্যে নিম্ন স্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

তবে শুধু নিম্ন স্তরে সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

তামাকজাত পণ্যে কর 

তামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। 

নতুন কর হারের যৌক্তিকতা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান অর্থাৎ ২১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভ্যাপ নামে পরিচিত মোটামুটি প্রচলিত ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসকে ‘ক্ষতিকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অর্থমন্ত্রী। বিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরের বাজেটেও এতে বাড়তি করারোপ করা হয়। 

প্রতিবছরই বাজেটে তামাকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। এ জন্য করারোপও আগের বছরের চেয়ে বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয়।

২০১০-১১ অর্থবছরে তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ আয় ৩০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা ছাড়ায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে প্রিমিয়াম, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন স্তরের ৭ হাজার ১৫৯ কোটির বেশি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৪ কোটির বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫ হাজার ১৯৫ কোটি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। যদি মাসভিত্তিক হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাতে দেখা যায়, এ বছরও সিগারেটের বিক্রি আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

বাজেট ২০২৩-২৪ সম্পর্কিত খবর আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত