নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৪৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে ইউরোপের বাজারে, যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার পণ্যের। এর মধ্যে চীনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১০০৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ফলে ইউরোপের বাজারে রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পণ্য বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ডলার।
ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ডলার। তবে ইউনিট দামে (প্রতি কেজি) সামান্য ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে গেছে। অথচ বাংলাদেশের ইউনিট দাম ২ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে, যা রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউরোপের বাজার ধারাবাহিকভাবে স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টায়, বিপরীতে ইউরোপের বাজারের দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতি পাল্টায়, এ কারণে বায়াররা কী চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তা জেনেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করেছেন। ফলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক যায় ইইউতে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নানা শুল্ক জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বাজারে এই অবস্থান ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজার বৈচিত্র্য বাড়ানোর পাশাপাশি ইইউতে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নতুন বাজার অন্বেষণ করলে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিনির্ভরতা কমবে। তাঁরা বলছেন, ভলিউম, মূল্য ও মোট রপ্তানিতে একসঙ্গে প্রবৃদ্ধি একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এই গতি ধরে রাখা গেলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ভালো করেছে। গত পাঁচ মাসে বাজারটিতে চীনের রপ্তানি ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাশের দেশ ভারতের রপ্তানি ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ২৫১ কোটি ডলার, পাকিস্তানের ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে ১৭৫ কোটি ৯ লাখ ডলার। কম্বোডিয়ায় ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে ১৯০ কোটি ডলার, ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে ভিয়েতনাম। গত পাঁচ মাসে বাজারটিতে তাদের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৮৩ কোটি ডলার।
এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ দশমকি ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার বেড়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, মরক্কোর পণ্য বাজারটিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে পণ্য রপ্তানি কমেছে তুরস্কের। দেশটির রপ্তানি ৬ শতাংশ কমে ৩৮৭ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৪৪ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে ইউরোপের বাজারে, যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার পণ্যের। এর মধ্যে চীনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১০০৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ফলে ইউরোপের বাজারে রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পণ্য বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ডলার।
ইউরোপের বাজারে পোশাক আমদানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ডলার। তবে ইউনিট দামে (প্রতি কেজি) সামান্য ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে গেছে। অথচ বাংলাদেশের ইউনিট দাম ২ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে, যা রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউরোপের বাজার ধারাবাহিকভাবে স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টায়, বিপরীতে ইউরোপের বাজারের দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতি পাল্টায়, এ কারণে বায়াররা কী চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তা জেনেছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করেছেন। ফলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক যায় ইইউতে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নানা শুল্ক জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের মুখে বাজারে এই অবস্থান ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজার বৈচিত্র্য বাড়ানোর পাশাপাশি ইইউতে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নতুন বাজার অন্বেষণ করলে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিনির্ভরতা কমবে। তাঁরা বলছেন, ভলিউম, মূল্য ও মোট রপ্তানিতে একসঙ্গে প্রবৃদ্ধি একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এই গতি ধরে রাখা গেলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ভালো করেছে। গত পাঁচ মাসে বাজারটিতে চীনের রপ্তানি ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাশের দেশ ভারতের রপ্তানি ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ২৫১ কোটি ডলার, পাকিস্তানের ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে ১৭৫ কোটি ৯ লাখ ডলার। কম্বোডিয়ায় ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে ১৯০ কোটি ডলার, ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে ভিয়েতনাম। গত পাঁচ মাসে বাজারটিতে তাদের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৮৩ কোটি ডলার।
এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ দশমকি ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার বেড়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, মরক্কোর পণ্য বাজারটিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে পণ্য রপ্তানি কমেছে তুরস্কের। দেশটির রপ্তানি ৬ শতাংশ কমে ৩৮৭ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
১ দিন আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেশুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহুল আলোচিত চূড়ান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৯ জুলাই। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সরাসরি নয়, ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈঠকটি চলবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
১ দিন আগে