Ajker Patrika

বন্ধ পাট কারখানায় সারের গুদাম বানাবে সরকার: কৃষিসচিব

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৩৪
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের কৃষি খাতে সারের সংকট দূর করতে বন্ধ পাট কারখানাগুলোকে সারের গুদাম হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সারের মজুত সক্ষমতা বাড়ানোসহ বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা-বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। সমাপনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, বিএজেএফের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।

এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে জাদুঘরে পাঠানো হবে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুত সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সারের মজুতাগার নির্মাণ করা ছাড়াও সম্ভাব্য বিকল্প স্থানে মজুতাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য বন্ধ ঘোষণা করা বা পরিত্যক্ত পাট কারখানাগুলোয় সারের মজুতাগার করা হবে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে সার কিনে আনা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ৬৫-৬৭ লাখ টন সারের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সরকারের মজুত সক্ষমতা মাত্র ৩-৪ লাখ টন। যদিও আপৎকালীন সারের মজুত সক্ষমতার জন্য ৮ লাখ টন মজুত রাখতে হয়। আপৎকালীন মজুতের সারসহ প্রয়োজনীয় সারের বড় অংশই খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়। তবে বিজেএমসির অধীন বন্ধ থাকা পাটকলগুলোকে ন্যায্য দামে লিজ নিয়ে সারের গুদাম তৈরির প্রাথমিক আলোচনা চলমান। খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়িত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত