Ajker Patrika

টাকার জন্য জোর করে অঙ্গীকারনামা আদায়ের অভিযোগ

  • হত্যার হুমকি দিয়ে অঙ্গীকার আদায়ের অভিযোগ।
  • অঙ্গীকারনামার কথা গোপন রাখতেও হুমকি।
  • তদন্ত শেষে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন সিইও।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ১৬
টাকার জন্য জোর করে অঙ্গীকারনামা আদায়ের অভিযোগ

শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক সহকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার করানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতা চলছে। দায়ী ব্যক্তিরা বহাল তবিয়তে থাকলেও উল্টো তিনিই চাপের মুখে।

অভিযোগসংক্রান্ত নথিপত্র অনুযায়ী, শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের শাখাপ্রধান ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মোস্তফা হোসেন গত ৯ অক্টোবর অধীনস্থ সহকর্মী নাকিবুল হককে নিজের কক্ষে ডেকে নেন। এ সময় সেখানে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের দলনেতা ওয়াহিদুল ইসলামও ছিলেন। তাঁরা কক্ষের দরজা বন্ধ করে নাকিবুলের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন এবং সেই অর্থ ফেরতের জন্য চাপ দেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁদের মারমুখী ভঙ্গিতে সন্ত্রস্ত হয়ে নাকিবুল একপর্যায়ে নির্দেশনামতো সাদা কাগজে স্বাক্ষরসহ টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখেন। কিন্তু দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তখনই অঙ্গীকারনামাটি ছিঁড়ে ফেলে একই কায়দায় আরেকটি কাগজে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদানের অঙ্গীকারনামা লিখতে চাপ দেন। দ্বিতীয় অঙ্গীকারনামার কারণ জানতে চাইলে নাকিবুলকে গলাটিপে হত্যা করতে উদ্যত হন মোস্তফা এবং ওয়াহিদুল। এতে নাকিবুল দ্বিতীয় অঙ্গীকারনামা লিখতে বাধ্য হন। এরপর তাঁকে বিষয়টি প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দিয়ে কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার কয়েক দিন পরে ১৪ অক্টোবর নাকিবুলকে মানবসম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়। তিনি গত ২১ অক্টোবর ঘটনাটি লিখিতভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এমডির কাছে আবেদন করেন।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নাকিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অভিযোগ নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। তদন্ত হচ্ছে। বেশি কিছু বলতে গেলে চাকরির ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।’

প্রধান অভিযুক্ত মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকের অনুমতি দরকার। এ ঘটনা স্পষ্ট করতে পারবে মানবসম্পদ বিভাগ।’ প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা জানতে ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন ডিএমডি মোস্তফা হোসেন।

জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘টাকার জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষরসহ অঙ্গীকার নেওয়ার একটি অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্ত চূড়ান্ত হওয়া সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত