Ajker Patrika

খেলনাশিল্পের উন্নয়নে প্লাস্টিক শিল্পনগরী ও শুল্ক-সুবিধা চান উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলনাশিল্পের উন্নয়নে প্লাস্টিক শিল্পনগরী ও শুল্ক-সুবিধা চান উদ্যোক্তারা

দেশের প্লাস্টিকশিল্পের দ্রুত বিকাশমান উপখাত হয়ে উঠেছে খেলনা বা টয় উৎপাদন। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে রপ্তানিও। গুণগতমানের দেশীয় খেলনা এখন আমদানির বিকল্প হিসেবে বাজার ধরছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের একক আধিপত্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি খেলনা রপ্তানির নতুন জানালা উন্মুক্ত হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এই খাতকে আরও বিস্তৃত করতে জরুরি প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা ও কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) প্লাস্টিক খেলনা পণ্য প্রদর্শনী বা টয় এক্সপো উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব এসব তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিপিজিএমইএর সভাপতি সামিম আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি কাজী আনোয়ারুল হকসহ সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা জানান, দেশে খেলনাশিল্পের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যথাযথ নীতিগত সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরে রপ্তানি আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২২ ও ২৩ মে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের টয় এক্সপো। যৌথভাবে এর আয়োজন করছে বিপিজিএমইএ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্প। এক্সপোতে দেশি-বিদেশি খেলনা, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রদর্শিত হবে। মেলাটি খেলনাশিল্পের পেশাদার ক্রেতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য একটি সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।

চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের মতো দেশে খেলনাশিল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তি বিশ্বমানের হলেও বাংলাদেশ এখনো সেই মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারেনি। উদ্যোক্তারা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজাইন ও উৎপাদন দক্ষতা না বাড়ালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য এ খাতে অবকাঠামোগত সহযোগিতা, কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ছাড় এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে খেলনাশিল্পের বিকাশে সরকারের কাছে উদ্যোক্তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেন—দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপন; কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড়; আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহায়তা; বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সরকারি সহযোগিতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

অভিনব কৌশলে রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, যুদ্ধবিমানের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমারাও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত