নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অর্থনীতির প্রধান বাহন কৃষিকে বেগবান করতে প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে বড় ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এমনকি কোটি টাকার ঋণের পরিবর্তে ১০ টাকার ক্ষুদ্র হিসাবধারী কৃষক, মৎস্যচাষি, খামারি এবং ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা এখন পর্যন্ত কৃষি ও পল্লিঋণের সুবিধা পাননি, তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকসহ ডজনখানেক ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে বড় গ্রাহকদের প্রাধান্য দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ৫ জন গ্রাহকের কাছে ৯০ শতাংশের বেশি বিতরণ করেছে। এভাবে আরও কিছু ব্যাংক ক্ষুদ্র কৃষক ও প্রান্তিক গ্রাহককে কৃষিঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। এতে কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কৃষিঋণ বিভাগের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এই অবস্থা থেকে বের হতে বৈঠক ডেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণের বদলে ঋণের সীমা কমিয়ে ছোট ছোট ঋণ বিতরণের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোনো ব্যাংক নতুন করে বড় ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কৃষিঋণের কোটা পূরণ করে, তবে সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে অনেক ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এতে সুদের হার ও চার্জ বেশি পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে কিছু ব্যাংক বড় ঋণ দিয়ে থাকে। এতে পরিচালনা খরচ কমে আসে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ যাঁদের জন্য করা, তাঁরা যে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেটা আমরাও বুঝি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলো এসব ঋণ বিতরণ করবে। ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।
দেশের অর্থনীতির প্রধান বাহন কৃষিকে বেগবান করতে প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে বড় ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এমনকি কোটি টাকার ঋণের পরিবর্তে ১০ টাকার ক্ষুদ্র হিসাবধারী কৃষক, মৎস্যচাষি, খামারি এবং ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা এখন পর্যন্ত কৃষি ও পল্লিঋণের সুবিধা পাননি, তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন এই নির্দেশনা দিয়েছেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকসহ ডজনখানেক ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে বড় গ্রাহকদের প্রাধান্য দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ৫ জন গ্রাহকের কাছে ৯০ শতাংশের বেশি বিতরণ করেছে। এভাবে আরও কিছু ব্যাংক ক্ষুদ্র কৃষক ও প্রান্তিক গ্রাহককে কৃষিঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। এতে কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কৃষিঋণ বিভাগের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এই অবস্থা থেকে বের হতে বৈঠক ডেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণের বদলে ঋণের সীমা কমিয়ে ছোট ছোট ঋণ বিতরণের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোনো ব্যাংক নতুন করে বড় ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কৃষিঋণের কোটা পূরণ করে, তবে সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে অনেক ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এতে সুদের হার ও চার্জ বেশি পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে কিছু ব্যাংক বড় ঋণ দিয়ে থাকে। এতে পরিচালনা খরচ কমে আসে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ যাঁদের জন্য করা, তাঁরা যে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেটা আমরাও বুঝি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলো এসব ঋণ বিতরণ করবে। ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলার হাট উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শুকনা মরিচের হাট, যেখানে সূর্য ওঠার আগেই জমে ওঠে কোটি টাকার বেচাকেনা। কোথাও চলছে মরিচ বস্তাবন্দী, কোথাও পাইকারদের হাঁকডাক আর দরদাম।
১২ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার মধ্যেই নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে যাচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে দেশে প্রথমবারের মতো এই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
১২ ঘণ্টা আগেজীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
১৮ ঘণ্টা আগেকৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
১ দিন আগে