আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
প্রতিবছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। সর্বশেষ চার বছরে লোকসান হয়েছে ১১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এতে কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়ে গেছে। ফলে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাল্লু স্পিনিংয়ের লোকসান ৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। চার বছরে মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এমন ধারাবাহিক লোকসান কোম্পানিটিকে ঋণ পরিশোধে অক্ষম করে তুলেছে।
তাল্লু স্পিনিংয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় পরিশোধের অনুপাত ঋণাত্মক। ফলে কোম্পানিটি সুদ প্রদানে অক্ষম। এতে করে ভবিষ্যতে ঋণ না-ও পেতে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, দীর্ঘ মেয়াদে তাল্লু স্পিনিংয়ের ঋণ রয়েছে ৮২ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর স্বল্প মেয়াদে ঋণের পরিমাণ ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে কোম্পানিটির ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১২ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বিদ্যমান ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুনঃ তফসিল না করে, তাহলে কোম্পানিটি চলতি মূলধনের ঘাটতিতে পড়বে, যা কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাবে। এই সংকট ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরি করেছে বলে মনে করেন নিরীক্ষক।
এ বিষয়ে তাল্লু স্পিনিংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) রুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। আমাদের মেশিন অনেক পুরোনো। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এমনকি আমরা নতুন নতুন কিছু ক্রেতাও ধরেছি। আমাদের আরেকটা উৎপাদন ইউনিট আছে, সেটাও চালু করার চেষ্টা করছি। এগুলো হলেই আমাদের সংকট কেটে যাবে।’
রুমন মিয়া আরও বলেন, ‘নিরীক্ষক সশরীরে যেটা পেয়েছেন, তিনি সেটাই বলছেন। কারণ, গতবারের চেয়ে এবার খুব বেশি প্রবৃদ্ধি দেখতে পাননি তিনি। আমরা বিভিন্ন ব্যাংকেও যাচ্ছি, যাতে করে আমাদের সুদ মওকুফ করে দেয়। আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া তাল্লু স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্যোক্তা পরিচালক ব্যতীত সাধারণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে যথাক্রমে ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ; অর্থাৎ ৭০ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
প্রতিবছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড। সর্বশেষ চার বছরে লোকসান হয়েছে ১১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এতে কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়ে গেছে। ফলে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাল্লু স্পিনিংয়ের লোকসান ৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। চার বছরে মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এমন ধারাবাহিক লোকসান কোম্পানিটিকে ঋণ পরিশোধে অক্ষম করে তুলেছে।
তাল্লু স্পিনিংয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর সুদজনিত ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় পরিশোধের অনুপাত ঋণাত্মক। ফলে কোম্পানিটি সুদ প্রদানে অক্ষম। এতে করে ভবিষ্যতে ঋণ না-ও পেতে পারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, দীর্ঘ মেয়াদে তাল্লু স্পিনিংয়ের ঋণ রয়েছে ৮২ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর স্বল্প মেয়াদে ঋণের পরিমাণ ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে কোম্পানিটির ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১২ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বিদ্যমান ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুনঃ তফসিল না করে, তাহলে কোম্পানিটি চলতি মূলধনের ঘাটতিতে পড়বে, যা কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাবে। এই সংকট ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরি করেছে বলে মনে করেন নিরীক্ষক।
এ বিষয়ে তাল্লু স্পিনিংয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) রুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। আমাদের মেশিন অনেক পুরোনো। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এমনকি আমরা নতুন নতুন কিছু ক্রেতাও ধরেছি। আমাদের আরেকটা উৎপাদন ইউনিট আছে, সেটাও চালু করার চেষ্টা করছি। এগুলো হলেই আমাদের সংকট কেটে যাবে।’
রুমন মিয়া আরও বলেন, ‘নিরীক্ষক সশরীরে যেটা পেয়েছেন, তিনি সেটাই বলছেন। কারণ, গতবারের চেয়ে এবার খুব বেশি প্রবৃদ্ধি দেখতে পাননি তিনি। আমরা বিভিন্ন ব্যাংকেও যাচ্ছি, যাতে করে আমাদের সুদ মওকুফ করে দেয়। আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া তাল্লু স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উদ্যোক্তা পরিচালক ব্যতীত সাধারণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে যথাক্রমে ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ; অর্থাৎ ৭০ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পুঁজিবাজার সংস্কার বৈঠক বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ ফল দেয়নি। বৈঠকে প্রস্তাবিত নির্দেশনাগুলো নতুনত্বহীন ও বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মনে করছেন অংশীজনরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও হ্রাস পেয়েছে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে পুঁজিবাজারের সূচকে।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউকে ও আয়ারল্যান্ড এডুকেশন এক্সপো ২০২৫। পিএফইসি গ্লোবালের আয়োজনে এই এক্সপোটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে। এই অনুষ্ঠানটি চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী দুটি কিস্তির ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের সিদ্ধান্ত আগামীকাল জানাবে আইএমএফ। এ নিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও আইএমএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে...
১১ ঘণ্টা আগেএনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীর কলম বিরতি পালনকালে তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সামনে অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই কার্যক্রম নিয়ে জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে