নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। পণ্যের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে মোট রপ্তানির ১৪ শতাংশ কমে যাওয়ার সঙ্গে বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগও হারাবে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে সংস্থাটির উদ্যোগে আয়োজিত ত্রৈমাসিক ভোজসভায় এ মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
তৈরি পোশাকের বাজার বৃদ্ধির পেছনে এই অর্থনীতিবিদ এবং এই খাতের সংশ্লিষ্টরা সস্তা শ্রম অন্যতম কারণ বলে মনে করেন। বৈশ্বিক পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার পেছনে শ্রমিকের কম মজুরিই ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বলে সভায় অভিমত দেন অতিথিরা।
আবদুলায়ে সেকও তাঁর বক্তব্যে পোশাক খাতে সস্তা শ্রমের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে যে সস্তা শ্রম আছে, সেটি থাকবে না। তৈরি পোশাক খাত এখন যে সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা করছে, সেটি আর থাকবে না। তৈরি পোশাক রপ্তানি ধরে রাখার জন্য এখন থেকেই বাংলাদেশের উচিত উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানিতে নজর দেওয়া। একই সঙ্গে পণ্যের ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আনা।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ বাতলে দিয়ে আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি বাংলাদেশকে হালকা প্রকৌশলশিল্প ও ওষুধ রপ্তানির ওপর জোর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে যেমন চ্যালেঞ্জ আছে, একই সঙ্গে পরিবর্তিত অর্থনীতিতে সুযোগও আসবে প্রচুর। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ, চামড়া ও পাটজাত পণ্যের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উচিত সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে এই খাতগুলোর দিকে নজর দেওয়া।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দেন আবদুলায়ে সেক।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর ২০ লাখ যুবক প্রবেশ করেন। এই যুবকদের চাকরি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের উচিত মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। একই সঙ্গে কারিগরি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে যে চ্যালেঞ্জের কথা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যসহ অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। আমাদের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাকে এখন উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকের মজুরি বাড়ানোর জন্য তাদের আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করে গেলে মনে হয় না আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তেমন বড় সমস্যায় পড়ব।’
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। পণ্যের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে মোট রপ্তানির ১৪ শতাংশ কমে যাওয়ার সঙ্গে বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগও হারাবে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে সংস্থাটির উদ্যোগে আয়োজিত ত্রৈমাসিক ভোজসভায় এ মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
তৈরি পোশাকের বাজার বৃদ্ধির পেছনে এই অর্থনীতিবিদ এবং এই খাতের সংশ্লিষ্টরা সস্তা শ্রম অন্যতম কারণ বলে মনে করেন। বৈশ্বিক পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার পেছনে শ্রমিকের কম মজুরিই ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বলে সভায় অভিমত দেন অতিথিরা।
আবদুলায়ে সেকও তাঁর বক্তব্যে পোশাক খাতে সস্তা শ্রমের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে যে সস্তা শ্রম আছে, সেটি থাকবে না। তৈরি পোশাক খাত এখন যে সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা করছে, সেটি আর থাকবে না। তৈরি পোশাক রপ্তানি ধরে রাখার জন্য এখন থেকেই বাংলাদেশের উচিত উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানিতে নজর দেওয়া। একই সঙ্গে পণ্যের ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আনা।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ বাতলে দিয়ে আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি বাংলাদেশকে হালকা প্রকৌশলশিল্প ও ওষুধ রপ্তানির ওপর জোর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে যেমন চ্যালেঞ্জ আছে, একই সঙ্গে পরিবর্তিত অর্থনীতিতে সুযোগও আসবে প্রচুর। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ, চামড়া ও পাটজাত পণ্যের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উচিত সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে এই খাতগুলোর দিকে নজর দেওয়া।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্যিক সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দেন আবদুলায়ে সেক।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর ২০ লাখ যুবক প্রবেশ করেন। এই যুবকদের চাকরি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের উচিত মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। একই সঙ্গে কারিগরি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে যে চ্যালেঞ্জের কথা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যসহ অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। আমাদের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাকে এখন উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকের মজুরি বাড়ানোর জন্য তাদের আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করে গেলে মনে হয় না আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর তেমন বড় সমস্যায় পড়ব।’
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৫ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে