আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উত্তোলন কমতে থাকায় সামনের দিনে সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে দৈনিক ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। ৩০০ থেকে ৩২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে ২৮ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। সেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়া হয় প্রায় ১১০ কোটি ঘনফুট। বাকি ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে শিল্প-কারখানাগুলোকে।
ঢাকার সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসংদীর শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংকট চরমে উঠেছে। এতে অর্ডার ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সেখানকার রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস কারখানার মালিকেরা। গার্মেন্টস কারখানা ছাড়াও সিরামিক, ইস্পাত, রি-রোলিং মিল ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে সংস্থাটি। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চাহিদা রয়েছে ১৯০ কোটি ঘনফুট, আমরা পাচ্ছি ১৫০ কোটি ঘনফুট। যা পাচ্ছি তা থেকে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। সে কারণে চাহিদা অনুযায়ী কলকারখানায় গ্যাস সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না।’
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিদেশ থেকে আমদানি করে এই সংকট সমাধান করা যাবে না। সংকট সমাধানে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে জোর দেওয়া দরকার।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়নি, এখনো হচ্ছে না। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি বড় বিপদে পড়বে।
লোডশেডিং থেকে মুক্তি নেই
শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও পুরোপুরি লোডশেডিং মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, গত মাসের (এপ্রিল) শেষ সময়ে এসে দেশে বিদ্যুতের গড় চাহিদা দাঁড়ায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় , তাতে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। ফলে রাজধানীকে লোডশেডিং মুক্ত রাখা গেলেও সারা দেশের গ্রাম পর্যায়ে লোডশেডিং ভোগান্তি ঠিকই রয়ে গেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি যেন না হয়, সেজন্য দৈনিক ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা গ্যাসের পরিমাণ এর নিচে নেমে গেলে রাজধানীতেও তীব্র লোডশেডিং দেখা দেবে। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ একই হারে রাখলে কলকারখানা অচল হয়ে পড়বে।
এলএনজি নির্ভরতার শুরু যেভাবে
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪ কোটি ঘনফুট। এরপর দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের জন্য নতুন কূপ খনন ও বিদ্যমান কূপের সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়। এতে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বেড়ে দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছায়। স্থলভাগে বড় ধরনের গ্যাসের মজুত পাওয়া যাবে না, এমন বিবেচনায় সরকার সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি স্থাপন করে এর একটি দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে, অপরটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিটকে। দুটো টার্মিনাল দেওয়া হয় বিশেষ আইনে বিনা দরপত্রে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতা নিয়ে এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় আর সামিটের এলএনজি টার্মিনাল উৎপাদনে আসে ২০১৯ সালের এপ্রিলে।
পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল জুড়ে গড়ে দৈনিক ৩১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি ছিল ১০০ কোটি ঘনফুট, বাকি ২১০ কোটি ঘনফুট ছিল দেশীয় গ্যাস। ২৮ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ লাখ ঘনফুট কম; যার সবটুকুই দেশীয় গ্যাস, যার এখন দৈনিক উৎপাদন এসে দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ঘনফুটে।
সামনে অন্ধকার
দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আরও দুটি এলএনজি টার্মিনালের অনুমতি দিয়েছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সে দুটি এলএনজি টার্মিনাল বাতিল করেছে। বিপরীতে সরকার একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দরপত্র আহ্বান করে নতুন টার্মিনাল স্থাপনে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। ফলে সহজেই যাচ্ছে না গ্যাস-সংকট।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের স্থলভাগে বড় ধরনের গ্যাসের মজুত মিলবে না, কমে যাবে বিদ্যমান কূপের উৎপাদন। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের বিবিয়ানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পটুয়াখালীর পায়রায় একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটের সঙ্গে চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা। আর ২০২৪ সালের মার্চে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের সঙ্গে ভাসমান আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি সই করা হয়। এ দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা যেত। এই দুটি চুক্তিই গত বছরে অক্টোবরে বাতিল করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সঙ্গে ডিপ ড্রিলিং থেকেও সরে আসে পেট্রোবাংলা।

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উত্তোলন কমতে থাকায় সামনের দিনে সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে দৈনিক ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। ৩০০ থেকে ৩২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে ২৮ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। সেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়া হয় প্রায় ১১০ কোটি ঘনফুট। বাকি ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে শিল্প-কারখানাগুলোকে।
ঢাকার সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসংদীর শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংকট চরমে উঠেছে। এতে অর্ডার ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সেখানকার রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস কারখানার মালিকেরা। গার্মেন্টস কারখানা ছাড়াও সিরামিক, ইস্পাত, রি-রোলিং মিল ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে সংস্থাটি। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চাহিদা রয়েছে ১৯০ কোটি ঘনফুট, আমরা পাচ্ছি ১৫০ কোটি ঘনফুট। যা পাচ্ছি তা থেকে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। সে কারণে চাহিদা অনুযায়ী কলকারখানায় গ্যাস সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না।’
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিদেশ থেকে আমদানি করে এই সংকট সমাধান করা যাবে না। সংকট সমাধানে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে জোর দেওয়া দরকার।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়নি, এখনো হচ্ছে না। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি বড় বিপদে পড়বে।
লোডশেডিং থেকে মুক্তি নেই
শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও পুরোপুরি লোডশেডিং মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, গত মাসের (এপ্রিল) শেষ সময়ে এসে দেশে বিদ্যুতের গড় চাহিদা দাঁড়ায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় , তাতে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। ফলে রাজধানীকে লোডশেডিং মুক্ত রাখা গেলেও সারা দেশের গ্রাম পর্যায়ে লোডশেডিং ভোগান্তি ঠিকই রয়ে গেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি যেন না হয়, সেজন্য দৈনিক ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা গ্যাসের পরিমাণ এর নিচে নেমে গেলে রাজধানীতেও তীব্র লোডশেডিং দেখা দেবে। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ একই হারে রাখলে কলকারখানা অচল হয়ে পড়বে।
এলএনজি নির্ভরতার শুরু যেভাবে
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪ কোটি ঘনফুট। এরপর দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের জন্য নতুন কূপ খনন ও বিদ্যমান কূপের সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়। এতে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বেড়ে দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছায়। স্থলভাগে বড় ধরনের গ্যাসের মজুত পাওয়া যাবে না, এমন বিবেচনায় সরকার সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি স্থাপন করে এর একটি দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিকে, অপরটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিটকে। দুটো টার্মিনাল দেওয়া হয় বিশেষ আইনে বিনা দরপত্রে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতা নিয়ে এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় আর সামিটের এলএনজি টার্মিনাল উৎপাদনে আসে ২০১৯ সালের এপ্রিলে।
পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল জুড়ে গড়ে দৈনিক ৩১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি ছিল ১০০ কোটি ঘনফুট, বাকি ২১০ কোটি ঘনফুট ছিল দেশীয় গ্যাস। ২৮ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ লাখ ঘনফুট কম; যার সবটুকুই দেশীয় গ্যাস, যার এখন দৈনিক উৎপাদন এসে দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ঘনফুটে।
সামনে অন্ধকার
দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে সর্বোচ্চ দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আরও দুটি এলএনজি টার্মিনালের অনুমতি দিয়েছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সে দুটি এলএনজি টার্মিনাল বাতিল করেছে। বিপরীতে সরকার একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দরপত্র আহ্বান করে নতুন টার্মিনাল স্থাপনে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। ফলে সহজেই যাচ্ছে না গ্যাস-সংকট।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের স্থলভাগে বড় ধরনের গ্যাসের মজুত মিলবে না, কমে যাবে বিদ্যমান কূপের উৎপাদন। বিশেষ করে মৌলভীবাজারের বিবিয়ানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পটুয়াখালীর পায়রায় একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটের সঙ্গে চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা। আর ২০২৪ সালের মার্চে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের সঙ্গে ভাসমান আরেকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি সই করা হয়। এ দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা যেত। এই দুটি চুক্তিই গত বছরে অক্টোবরে বাতিল করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সঙ্গে ডিপ ড্রিলিং থেকেও সরে আসে পেট্রোবাংলা।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
০৩ মে ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
০৩ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
০৩ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
০৩ মে ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে