অনলাইন ডেস্ক
রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না আনার প্রবণতা বাড়ছে, যা আসলে অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দেয়। চলতি বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে না আনা রপ্তানি আয়ের অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
বৈশ্বিক দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত নভেম্বরের সফর শেষে বাংলাদেশ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে আইএমএফ।
সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য এখনো দেশে আসেনি। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশেষ করে রপ্তানি আয় দেশে না আনায় এই পাচারের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি মনে করে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু এর বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে, তা ২০২২ অর্থবছরের চেয়ে নিতান্তই নগণ্য। এর ফলে ২০২৩ সালে দেশে না আনা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ বেড়ে ৯৬০ কোটি ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি) দাঁড়িয়েছে। এই অর্থ ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশের মতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিতে বেশ প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় দেশে আসেনি। এর বড় কারণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা। কারণ, নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত অনেক ব্যবসায়ী রপ্তানি আয় দেশে আনা স্থগিত রেখেছেন।
আইএমএফ বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ-সংকট এবং বিলাসদ্রব্য আমদানির ওপর কড়াকড়ির কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। বড় বড় অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হলেও মোটা দাগে রপ্তানি চাঙাই ছিল। চলতি হিসাবের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এত কিছুর পরও এই সময়ে দেশের বাইরে গেছে প্রায় ২১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ জিডিপির প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে এই সময়ে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে, তার পরিমাণ দেশের জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এ দুই পরিসংখ্যানের তুলনা করে আইএমএফ বলছে, এটা ‘ক্যাপিটাল ফ্লাইট’ বা অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অসুবিধাজনক নীতিমালা বা কোনো শর্তের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনো দেশ থেকে অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হলে তাকে ক্যাপিটাল ফ্লাইট বলে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে রপ্তানি আয়ের অর্থ বিলম্বে দেশে আসা ও রপ্তানি আয়ের মূল্য পরিশোধে দেরির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, রপ্তানি আয়ের অর্থ দ্রুত দেশে না আনায় স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহে ক্রমাগত বিঘ্ন বিদেশি অর্থায়নের বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নও বিলম্বিত হয়েছে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিদেশি ঋণের ছাড় কমে গেছে। চলতি হিসাবে এত বড় ফাঁক থাকার কারণে লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির পরও বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমেছে।
তবে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না আসার সম্ভাব্য আরও কিছু কারণ তুলে ধরেছে আইএমএফ। প্রতিবেদনের ফুটনোটে বলা হয়, অনেক সময় ইপিজেড বা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে দেশের ভেতরে বিক্রিকে ‘ভুলভাবে রপ্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করা, যা আসলে বিদেশে রপ্তানি হয় না। এ ছাড়া বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের গুণমানে সমস্যা এবং বিক্রেতার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণেও রপ্তানি আয়ে প্রভাব পড়ে। তবে এ বিষয়গুলোও ঐতিহাসিকভাবেই ‘ক্যাপিটাল ফ্লাইটের’ নির্দেশক।
রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না আনার প্রবণতা বাড়ছে, যা আসলে অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দেয়। চলতি বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে না আনা রপ্তানি আয়ের অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
বৈশ্বিক দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত নভেম্বরের সফর শেষে বাংলাদেশ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে আইএমএফ।
সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য এখনো দেশে আসেনি। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশেষ করে রপ্তানি আয় দেশে না আনায় এই পাচারের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি মনে করে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু এর বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে, তা ২০২২ অর্থবছরের চেয়ে নিতান্তই নগণ্য। এর ফলে ২০২৩ সালে দেশে না আনা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ বেড়ে ৯৬০ কোটি ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি) দাঁড়িয়েছে। এই অর্থ ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশের মতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিতে বেশ প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় দেশে আসেনি। এর বড় কারণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা। কারণ, নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত অনেক ব্যবসায়ী রপ্তানি আয় দেশে আনা স্থগিত রেখেছেন।
আইএমএফ বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ-সংকট এবং বিলাসদ্রব্য আমদানির ওপর কড়াকড়ির কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। বড় বড় অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হলেও মোটা দাগে রপ্তানি চাঙাই ছিল। চলতি হিসাবের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এত কিছুর পরও এই সময়ে দেশের বাইরে গেছে প্রায় ২১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ জিডিপির প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে এই সময়ে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে, তার পরিমাণ দেশের জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এ দুই পরিসংখ্যানের তুলনা করে আইএমএফ বলছে, এটা ‘ক্যাপিটাল ফ্লাইট’ বা অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অসুবিধাজনক নীতিমালা বা কোনো শর্তের কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ কোনো দেশ থেকে অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হলে তাকে ক্যাপিটাল ফ্লাইট বলে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে রপ্তানি আয়ের অর্থ বিলম্বে দেশে আসা ও রপ্তানি আয়ের মূল্য পরিশোধে দেরির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, রপ্তানি আয়ের অর্থ দ্রুত দেশে না আনায় স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহে ক্রমাগত বিঘ্ন বিদেশি অর্থায়নের বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নও বিলম্বিত হয়েছে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিদেশি ঋণের ছাড় কমে গেছে। চলতি হিসাবে এত বড় ফাঁক থাকার কারণে লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির পরও বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমেছে।
তবে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না আসার সম্ভাব্য আরও কিছু কারণ তুলে ধরেছে আইএমএফ। প্রতিবেদনের ফুটনোটে বলা হয়, অনেক সময় ইপিজেড বা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে দেশের ভেতরে বিক্রিকে ‘ভুলভাবে রপ্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করা, যা আসলে বিদেশে রপ্তানি হয় না। এ ছাড়া বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের গুণমানে সমস্যা এবং বিক্রেতার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণেও রপ্তানি আয়ে প্রভাব পড়ে। তবে এ বিষয়গুলোও ঐতিহাসিকভাবেই ‘ক্যাপিটাল ফ্লাইটের’ নির্দেশক।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। কিন্তু তারপরও দেশটি প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থাকা যুক্তরাষ্ট্রে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। এই তালিকায় আছে জ্
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ শনিবার সংসদে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন। এই বাজেটে বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ ও নীতিগত পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বাজেটের উল্লেখ্যযোগ্য একটি অংশ হলো আয়কর বিল। আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হবে নতুন আয়কর বিল। বাজেট বক্তৃতায়...
৫ ঘণ্টা আগেকাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
১৫ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১ দিন আগে