দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় হাসিনা সরকারের পতনের আগে, বেশ কিছু বিল পাওনা হয়ে যায় আদানি পাওয়ারসহ ভারতীয় কোম্পানিগুলো। সেই বকেয়া পরিশোধে হাসিনা সরকারকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল, যাতে দেশটি আদানি পাওয়ারসহ ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা পরিশোধ করতে পারে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় এই ঋণে আলোচনা স্থগিত হয়েছে বলে একটি সূত্র দ্য হিন্দুর বিজনেস লাইনকে জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এখনো এই ঋণ নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সূত্র বলেছে, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগের সরকার ভারতের বিদ্যুৎ খাতের পাওনা মেটাতে ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা করছিল। মূলত আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধের জন্যই এই ঋণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।’
সূত্র আরও বলেছে, ‘এই ঋণের ওপর প্রায় ২ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল, যাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিষয়টি সুবিধাজনক হয়। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আলোচনা ভেস্তে গেছে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০২১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ডলার সংকটে ভুগছে। যার ফলে আমদানি বিল, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে পাওনা পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে দেশ। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জ্বালানি খাতে খরচ বাড়ায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আদানি পাওয়ার বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। আদানি পাওয়ার ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কারে থাকে। তবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা পরিশোধের চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করলেও আদানি পাওয়ার সরকারি অনুমোদন দ্রুত পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে।
আদানি পাওয়ার ছাড়াও আরও চারটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাংলাদেশের কাছে এসব কোম্পানিরও বকেয়া রয়েছে। খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসইআইএল এনার্জি, এনটিপিসি, পিটিসি এবং পাওয়ার গ্রিড অন্যতম। তবে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি সূত্র বলেছে, ‘ভারতের কাছ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেলে বাংলাদেশের পক্ষে বকেয়া পরিশোধে তা অত্যন্ত সহায়ক হতো। এক অর্থে, ভারতের জন্য ভালোই হয়েছে যে, এই ঋণ অনুমোদিত হয়নি। কারণ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই অর্থের ব্যবহার কোথায় হতো তা খুঁজে বের করা কঠিন হতো।’ সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ঋণ নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করার কোনো উদ্যোগ ইউনূস সরকার গ্রহণ করেছে এমন ইঙ্গিত নেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ ভারত থেকে আমদানি করে এবং এই নির্ভরশীলতা নিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটি ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিগুলো পুনরায় আলোচনা করতে চাইতে পারে। যাতে শর্তগুলো আরও সহনীয় হয়, তবে যথেষ্ট বিকল্প না থাকায় ভারতের কাছ থেকে আপাতত বিদ্যুৎ আমদানি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শিল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মন্তব্য জানিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় হাসিনা সরকারের পতনের আগে, বেশ কিছু বিল পাওনা হয়ে যায় আদানি পাওয়ারসহ ভারতীয় কোম্পানিগুলো। সেই বকেয়া পরিশোধে হাসিনা সরকারকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল, যাতে দেশটি আদানি পাওয়ারসহ ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা পরিশোধ করতে পারে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় এই ঋণে আলোচনা স্থগিত হয়েছে বলে একটি সূত্র দ্য হিন্দুর বিজনেস লাইনকে জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এখনো এই ঋণ নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সূত্র বলেছে, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগের সরকার ভারতের বিদ্যুৎ খাতের পাওনা মেটাতে ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা করছিল। মূলত আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধের জন্যই এই ঋণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।’
সূত্র আরও বলেছে, ‘এই ঋণের ওপর প্রায় ২ শতাংশ সুদ ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল, যাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিষয়টি সুবিধাজনক হয়। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আলোচনা ভেস্তে গেছে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০২১ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ডলার সংকটে ভুগছে। যার ফলে আমদানি বিল, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে পাওনা পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে দেশ। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জ্বালানি খাতে খরচ বাড়ায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আদানি পাওয়ার বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। আদানি পাওয়ার ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কারে থাকে। তবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা পরিশোধের চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করলেও আদানি পাওয়ার সরকারি অনুমোদন দ্রুত পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে।
আদানি পাওয়ার ছাড়াও আরও চারটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাংলাদেশের কাছে এসব কোম্পানিরও বকেয়া রয়েছে। খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসইআইএল এনার্জি, এনটিপিসি, পিটিসি এবং পাওয়ার গ্রিড অন্যতম। তবে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি সূত্র বলেছে, ‘ভারতের কাছ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেলে বাংলাদেশের পক্ষে বকেয়া পরিশোধে তা অত্যন্ত সহায়ক হতো। এক অর্থে, ভারতের জন্য ভালোই হয়েছে যে, এই ঋণ অনুমোদিত হয়নি। কারণ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই অর্থের ব্যবহার কোথায় হতো তা খুঁজে বের করা কঠিন হতো।’ সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ঋণ নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করার কোনো উদ্যোগ ইউনূস সরকার গ্রহণ করেছে এমন ইঙ্গিত নেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ ভারত থেকে আমদানি করে এবং এই নির্ভরশীলতা নিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটি ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিগুলো পুনরায় আলোচনা করতে চাইতে পারে। যাতে শর্তগুলো আরও সহনীয় হয়, তবে যথেষ্ট বিকল্প না থাকায় ভারতের কাছ থেকে আপাতত বিদ্যুৎ আমদানি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শিল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মন্তব্য জানিয়েছে।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৮ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে