অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশসহ বিশ্বে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনের সুখবর দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তারা বলছে, চলতি বছরে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টন বা শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়তে পারে।
সংস্থাটির সবশেষ পূর্বাভাস বলছে, চলতি মাসে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ২ হাজার ৯২৫ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে; যা গত জুন মাসের তুলনায় বেশি।
এ তথ্য জানিয়ে ইউক্রেনভিত্তিক সংস্থা ইউকেআর অ্যাগ্রোকনসাল্ট গতকাল সোমবার তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, এফএও তথ্য পেয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে গম, ভুট্টা ও চালের উৎপাদন আগের ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে। নতুন এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংস্থাটি তাদের গত জুনে করা পূর্বাভাস সম্প্রতি সংশোধন করেছে।
গম, ভুট্টা ও চালের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাই এই সংশোধনের পেছনে মূল চালক হিসেবে কাজ করেছে। সংশোধিত এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি হবে, যা সর্বকালের রেকর্ড।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষির সবশেষ পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাপী গম উৎপাদন জুলাই মাসে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
এই বৃদ্ধির মূল কারণ ভারত ও পাকিস্তান থেকে পাওয়া সরকারি তথ্য, যা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে রেকর্ড উৎপাদনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মোটা শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাসও এ মাসে কিছুটা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৬২ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এই ক্যাটাগরির বেশির ভাগই ভুট্টা। ব্রাজিলে ভালো ফলন ও ভারতে ভুট্টা চাষের পরিধি বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই উন্নতির পেছনে কাজ করেছে।
ভারতে পশুখাদ্য ও শিল্পজাত ব্যবহারের চাহিদা চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে। ইউক্রেনে যুদ্ধজনিত প্রভাব ও খরার কারণে উৎপাদন কমার আশঙ্কা থাকলেও উগান্ডার উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও জমির পরিমাণে সামান্য সংশোধনের কারণে উৎপাদনের পূর্বাভাস কিছুটা কমানো হয়েছে।
চালের ক্ষেত্রে এফএও জুন মাস থেকে ২০২৫-২৬ মৌসুমের বৈশ্বিক উৎপাদনের পূর্বাভাস ৪ দশমিক ১ মিলিয়ন টন বাড়িয়েছে। এর বেশির ভাগই এসেছে ভারতের ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ মৌসুমের উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়ার কারণে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে বেশি জমিতে উৎপাদন বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বিপরীতে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে বৈশ্বিক চাল উৎপাদন ৫৫৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে; যা আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি এবং রেকর্ড সর্বোচ্চ।
এফএও বলছে, ২০২৫-২৬ সালে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের ব্যবহার ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে; যা গত জুন মাসের তুলনায় ২ মিলিয়ন টন বেশি এবং আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
মোটা শস্য ব্যবহারের পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন বাড়িয়ে ১ হাজার ৫৪৮ মিলিয়ন টন করা হয়েছে। তবে গম ব্যবহারের পূর্বাভাস ৪ মিলিয়ন টন কমিয়ে আনা হয়েছে, যার পেছনে চীন, মরক্কো ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার কমার পূর্বাভাস রয়েছে। তারপরও গম ব্যবহারে বছরে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রত্যাশিত।
এফএও জানায়, ২০২৫-২৬ সালে চাল ব্যবহারের পরিমাণ ৫৫০ দশমিক ৪ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে; যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর পেছনে রয়েছে খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি ও ভারতের ইথানল উৎপাদনে চাল ব্যবহারের সম্প্রসারণ।
এফএওর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৬ সালের শেষে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য মজুতের পূর্বাভাস ১৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন বাড়িয়ে ৮৮৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন করা হয়েছে; যা ২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
সেই হিসাবে, বিশ্বব্যাপী শস্যের মজুত-ব্যবহারের অনুপাত ২০২৪-২৫ সালের ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫-২৬ সালে ৩০ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াবে; যা নতুন মৌসুমে যথেষ্ট সরবরাহের ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনের সুখবর দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তারা বলছে, চলতি বছরে বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টন বা শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়তে পারে।
সংস্থাটির সবশেষ পূর্বাভাস বলছে, চলতি মাসে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ২ হাজার ৯২৫ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে; যা গত জুন মাসের তুলনায় বেশি।
এ তথ্য জানিয়ে ইউক্রেনভিত্তিক সংস্থা ইউকেআর অ্যাগ্রোকনসাল্ট গতকাল সোমবার তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, এফএও তথ্য পেয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে গম, ভুট্টা ও চালের উৎপাদন আগের ধারণার চেয়ে বেশি হতে পারে। নতুন এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংস্থাটি তাদের গত জুনে করা পূর্বাভাস সম্প্রতি সংশোধন করেছে।
গম, ভুট্টা ও চালের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাই এই সংশোধনের পেছনে মূল চালক হিসেবে কাজ করেছে। সংশোধিত এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি হবে, যা সর্বকালের রেকর্ড।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষির সবশেষ পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাপী গম উৎপাদন জুলাই মাসে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
এই বৃদ্ধির মূল কারণ ভারত ও পাকিস্তান থেকে পাওয়া সরকারি তথ্য, যা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে রেকর্ড উৎপাদনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মোটা শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাসও এ মাসে কিছুটা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৬২ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এই ক্যাটাগরির বেশির ভাগই ভুট্টা। ব্রাজিলে ভালো ফলন ও ভারতে ভুট্টা চাষের পরিধি বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই উন্নতির পেছনে কাজ করেছে।
ভারতে পশুখাদ্য ও শিল্পজাত ব্যবহারের চাহিদা চাষে উৎসাহ জোগাচ্ছে। ইউক্রেনে যুদ্ধজনিত প্রভাব ও খরার কারণে উৎপাদন কমার আশঙ্কা থাকলেও উগান্ডার উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও জমির পরিমাণে সামান্য সংশোধনের কারণে উৎপাদনের পূর্বাভাস কিছুটা কমানো হয়েছে।
চালের ক্ষেত্রে এফএও জুন মাস থেকে ২০২৫-২৬ মৌসুমের বৈশ্বিক উৎপাদনের পূর্বাভাস ৪ দশমিক ১ মিলিয়ন টন বাড়িয়েছে। এর বেশির ভাগই এসেছে ভারতের ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ মৌসুমের উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়ার কারণে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে বেশি জমিতে উৎপাদন বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বিপরীতে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে বৈশ্বিক চাল উৎপাদন ৫৫৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে; যা আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি এবং রেকর্ড সর্বোচ্চ।
এফএও বলছে, ২০২৫-২৬ সালে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের ব্যবহার ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে; যা গত জুন মাসের তুলনায় ২ মিলিয়ন টন বেশি এবং আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
মোটা শস্য ব্যবহারের পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন বাড়িয়ে ১ হাজার ৫৪৮ মিলিয়ন টন করা হয়েছে। তবে গম ব্যবহারের পূর্বাভাস ৪ মিলিয়ন টন কমিয়ে আনা হয়েছে, যার পেছনে চীন, মরক্কো ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার কমার পূর্বাভাস রয়েছে। তারপরও গম ব্যবহারে বছরে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রত্যাশিত।
এফএও জানায়, ২০২৫-২৬ সালে চাল ব্যবহারের পরিমাণ ৫৫০ দশমিক ৪ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে; যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর পেছনে রয়েছে খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি ও ভারতের ইথানল উৎপাদনে চাল ব্যবহারের সম্প্রসারণ।
এফএওর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৬ সালের শেষে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য মজুতের পূর্বাভাস ১৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন বাড়িয়ে ৮৮৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন করা হয়েছে; যা ২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
সেই হিসাবে, বিশ্বব্যাপী শস্যের মজুত-ব্যবহারের অনুপাত ২০২৪-২৫ সালের ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫-২৬ সালে ৩০ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াবে; যা নতুন মৌসুমে যথেষ্ট সরবরাহের ইঙ্গিত দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশি সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠি অনুযায়ী, আগামী ১ আগস্ট থেকে এই অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে।
২ মিনিট আগেদুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বসল যুক্তরাষ্ট্র। এতে চিন্তায় পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এই শুল্কহার যদি শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তাহলে ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতির জবাবে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তে হতাশ বাংলাদেশ; যদিও আলোচনার দরজা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। শুল্কহার বহাল থাকলে রপ্তানি, উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৯ মিনিট আগেদেশে উৎপাদিত ফ্রিজ ও এসির খুচরা যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে হুমকিতে পড়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিকস শিল্প। উদ্যোক্তারা বলছেন, এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ও হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়বে। তাঁদের দাবি, আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের অর্থ হলো...
৪১ মিনিট আগে