Ajker Patrika

প্রিমিয়ার ব্যাংকের জব্দ হিসাব থেকে টাকা তুললেন আ.লীগের ইকবাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ২৯
এইচ বি এম ইকবাল। ফাইল ছবি
এইচ বি এম ইকবাল। ফাইল ছবি

জব্দ করা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল। আর তাঁকে অর্থ উত্তোলনের এই সুযোগ করে দিয়েছে তাঁরই মালিকানাধীন প্রিমিয়ার ব্যাংক। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। তবে ব্যাংকটি এখনো তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান তাঁর ছেলে ইমরান ইকবাল।

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে এইচ বি এম ইকবাল, তাঁর দুই স্ত্রী ও সন্তান এবং তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। এরপরও এইচ বি এম ইকবাল তাঁর নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন। এটি বিএফআইইউর নজরে আসার পর ব্যাংকটির কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এই কারণে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ২৩ এর ৬ ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ার ব্যাংককে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনের ওই ধারায় বলা আছে, কোন হিসাব জব্দ বা স্থগিত করার পর সেটি মানতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে স্থিতির সমপরিমাণ জরিমানা করা যাবে। তাই এইচ বি এম ইকবাল জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে সেই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বিএফআইইউ একটি স্বতন্ত্র ও তদন্তকারী সংস্থা। তাই সংস্থাটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না।’

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জরিমানার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আজই চিঠির মাধ্যমে প্রিমিয়ার ব্যাংককে জানানো হয়েছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্র জানায়, ইকবাল তাঁর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে থাকা পুরো টাকা ও ডলারই উত্তোলন করেছেন। গত আগস্টে সরকার বদলের পর তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুবাইয়ে চলে যান। তাঁর পরিবার–ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন এইচ বি এম ইকবাল। সেখানে কাচের কারখানা ও তারকা হোটেলে বিনিয়োগ রয়েছে তাঁদের।

এ বিষয়ে জানতে এইচ বি এম ইকবাল ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউই ফোন ধরেননি। পরে এ বিষয়ে ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে বক্তব্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত জানুয়ারিতে এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে ও ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবালও পদত্যাগ করেছেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তাঁরা পরিচালক পদও ছেড়ে দিয়েছেন।

ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দেন আর ১৪ জানুয়ারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তা অনুমোদন হয়। একই সময়ে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক কাইজার এ চৌধুরীও। এইচ বি এম ইকবাল চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেও নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাঁর আরেক ছেলে ইমরান ইকবালকে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত অক্টোবরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এইচ বি এম ইকবাল, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদকের আবেদনে বলা হয়, এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এরপর গত নভেম্বরে এইচ বি এম ইকবাল, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী ও তাঁদের তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। তাঁর তিন সন্তান হলেন মঈন ইকবাল, ইমরান ইকবাল ও নওরীন ইকবাল। সন্তানদের মধ্যে দুই ছেলে ছিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের মালিকানার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবাল নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। দেশে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘ সময় প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে আর্থিক নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একীভূত ৫ ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত: নির্দেশনা না থাকায় অনিশ্চয়তা

  • প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়নি, দুই লাখ টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহক।
  • কোন মানদণ্ডে টাকা দেবে, সেই নির্দেশনা প্রস্তুত করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
  • গ্রাহকপ্রতি দুই লাখ ফেরত দিতেই লাগবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
একীভূত ৫ ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত: নির্দেশনা না থাকায় অনিশ্চয়তা

আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহের বাকি কার্যদিবসেও এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আগে থেকেই শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত পাঁচ দুর্বল ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের ৭ ডিসেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সিলিং অনুযায়ী টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে প্রচারণা চালিয়েছিল। একই তথ্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকও তাদের গ্রাহকদের জানায়। কিন্তু ঘোষিত সময় পেরিয়ে গেলেও ব্যাংকগুলো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি; কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাপত্র এখনো প্রস্তুত হয়নি। এই নির্দেশনা ছাড়া ব্যাংকগুলোর পক্ষে আমানতের টাকা ছাড় করার সুযোগ নেই।

দায়িত্বশীলরা জানান, যেসব গ্রাহকের হিসাবে সুদসহ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে, তাঁরা পুরো টাকা তুলতে পারবেন। দুই লাখ টাকার বেশি আমানত থাকলেও সর্বোচ্চ দুই লাখ তোলার সুযোগ থাকবে। তবে একজন গ্রাহকের একাধিক হিসাব থাকলেও শুধু একটি হিসাবের বিপরীতে টাকা তোলা যাবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে হিসাব বৈধভাবে খোলা থাকতে হবে। যাঁদের আমানতের বিপরীতে ঋণ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আগে ঋণ সমন্বয় করতে হবে; সুদের হারও নতুনভাবে যোগ হবে।

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য গ্রাহকদের দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা গভর্নরের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে নির্দেশনা দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তবে শুধু দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণায় ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

এদিকে ঘোষণা শোনার পর ৭ ডিসেম্বর থেকেই গ্রাহকেরা বিভিন্ন শাখায় ভিড় করলেও কেউ টাকা পাননি। শাহজাহানপুরের শিক্ষক শেফালী আক্তার জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউনিয়ন ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে এক টাকাও পাননি; এর আগে তাঁর মাত্র ৫ হাজার টাকার চেকও বারবার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ব্যবসায়ী মনির হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সঞ্চয়ের টাকা তুলতে ব্যর্থ। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান এক্সিম ব্যাংকের গ্রাহক ও টিকাটুলির বাসিন্দা আফিয়া মিমি।

মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দিয়েছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানত বিমা তহবিল থেকে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সরকারি অংশ ছাড় করা হয়েছে।

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, নতুন ব্যাংকের লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, দুই লাখ টাকা ফেরত শিগগির শুরু হবে; ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ালে সবার টাকাও পরিশোধ করা হবে, তবে এতে সময় লাগবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ফেরতে নতুন আশা দিলেন গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।

গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।

তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
রিজার্ভ চুরি: ৯১ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত