নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আমদানি শুল্ক কমানোর পরও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে চিনির দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিন বাজারে চিনির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এদিকে মিলমালিকেরা প্রতি কেজি চিনিতে ১০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিলমালিকেরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমদানি শুল্ক কমানোয় বাজারে চিনির মূল্য না কমে উল্টো পাইকারি পর্যায়ে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৫ টাকা। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে চিনির দাম আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। আর পরিশোধিত চিনি ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও চিনি বিক্রি হয়নি। ডলারের ঊর্ধ্বগতি, সরবরাহ সংকট, পরিবহন ভাড়া, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি—নানা অজুহাতে চিনির দাম বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে সরকার-নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির গায়ে দাম লেখা থাকে বলে এখনো সেটি বাড়েনি। তবে খোলা চিনি খুচরা পর্যায়ে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বনশ্রী বি ব্লকের মেসার্স মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বলেন, তিনি প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সে তুলনায় দাম এখনো বাড়ানো হয়নি।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনি আমদানির শুল্ক কমানোর আগে বিক্রি হয়েছিল ১২৮ টাকা। গত তিন-চার দিনে দাম বেড়ে ১৩৩ টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল হাসেম বলেন, মিল থেকে সরবরাহে সমস্যা থাকায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। মিলমালিকেরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি চিনিতে শুল্ক-ভ্যাট হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। অথচ সরকার দাম কমিয়েছে কেজিতে মাত্র ১ টাকা ৫০ পয়সা। এ কারণে বাজারে প্রভাব বেশি পড়েছে।
মেঘনা গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মিল থেকে ১২৬-১২৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে মিলমালিকেরা কেজিতে ১০ টাকা বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিনির মিলমালিকপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি তাঁরা প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা এবং খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা নির্ধারণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী ১১১ টাকা ডলারের চিনি তাঁদের ছাড় করাতে হচ্ছে ১২৩ টাকায়। ডলারের বাড়তি দামের কারণে এই মুহূর্তে চিনির মূল্য বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ তাঁদের কাছে নেই।
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. রুহুল আমিন গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের চিঠি তাঁর নজরে আসেনি।
আমদানি শুল্ক কমানোর পরও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে চিনির দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিন বাজারে চিনির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। এদিকে মিলমালিকেরা প্রতি কেজি চিনিতে ১০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিলমালিকেরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনির বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমদানি শুল্ক কমানোয় বাজারে চিনির মূল্য না কমে উল্টো পাইকারি পর্যায়ে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৫ টাকা। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই খুচরা বাজারে চিনির দাম আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। আর পরিশোধিত চিনি ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই শুল্ক বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও চিনি বিক্রি হয়নি। ডলারের ঊর্ধ্বগতি, সরবরাহ সংকট, পরিবহন ভাড়া, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি—নানা অজুহাতে চিনির দাম বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে সরকার-নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনির গায়ে দাম লেখা থাকে বলে এখনো সেটি বাড়েনি। তবে খোলা চিনি খুচরা পর্যায়ে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বনশ্রী বি ব্লকের মেসার্স মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বলেন, তিনি প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সে তুলনায় দাম এখনো বাড়ানো হয়নি।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনি আমদানির শুল্ক কমানোর আগে বিক্রি হয়েছিল ১২৮ টাকা। গত তিন-চার দিনে দাম বেড়ে ১৩৩ টাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল হাসেম বলেন, মিল থেকে সরবরাহে সমস্যা থাকায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। মিলমালিকেরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি চিনিতে শুল্ক-ভ্যাট হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। অথচ সরকার দাম কমিয়েছে কেজিতে মাত্র ১ টাকা ৫০ পয়সা। এ কারণে বাজারে প্রভাব বেশি পড়েছে।
মেঘনা গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মিল থেকে ১২৬-১২৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে মিলমালিকেরা কেজিতে ১০ টাকা বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিনির মিলমালিকপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি তাঁরা প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা এবং খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা নির্ধারণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী ১১১ টাকা ডলারের চিনি তাঁদের ছাড় করাতে হচ্ছে ১২৩ টাকায়। ডলারের বাড়তি দামের কারণে এই মুহূর্তে চিনির মূল্য বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ তাঁদের কাছে নেই।
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) মো. রুহুল আমিন গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের চিঠি তাঁর নজরে আসেনি।
আকুর দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে (বিপিএম-৬ হিসাবে)। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও সন্তোষজনক বললেও রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য আমদানি খরচ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ভারসাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
১ মিনিট আগেআজকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা এসেছিলেন। তাঁরা আমাদের সহমর্মিতা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে ফিরে এসেছেন। আমরা সবাইকে বলেছি, কাজে যোগদান করতে। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। সবাই কাজে যোগদান করলে কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলে চলবে
২ ঘণ্টা আগেপিরামিড, পঞ্জি স্কিম ও এমএলএম ব্যবসার প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ জনগণের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে ফেলে, যা মানিলন্ডারিং অপরাধের আওতায় পড়ে। সন্দেহজনক কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্য থাকলে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বল
৩ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারি মাসেও বাংলাদেশের ব্যবসায় সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত ছিল। তবে এর গতি জানুয়ারির তুলনায় কিছুটা কমেছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের যৌথভাবে প্রকাশিত পারচেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে