বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের নাহার চা বাগান পার হয়ে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার পর একটু চমকে উঠতে হবে। গভীর জঙ্গলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দেখবেন এক নৈসর্গিক স্বর্গ! শত শত বছরের প্রাচীন কয়েকটি ন্যানো স্লট গিরিখাত চোখে পড়বে। আর সেখানে দেখবেন ছোট ছোট ঝরনা।
ছোট বলেই নাম ন্যানো গিরিখাত। যারা এই স্বর্গোদ্যানের সন্ধান পেয়েছেন, তারা অবাধে সেখানে যাচ্ছেন বলে প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে আসা-যাওয়া যেন অবাধ না হয়, সেটাই চাইছেন প্রকৃতিবিদেরা।
এই গিরিখাত খুঁজে পাওয়া গেছে আকস্মিকভাবে করোনাকালেই বছরখানেক আগে। এই প্রতিবেদকও আবিষ্কারের অংশীদার। জায়গাটির অবস্থান শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকায়। কাছাকাছি কয়েকটি আদিবাসী খাসিয়া পুঞ্জি ও চা বাগান। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে পুঞ্জি বা চা বাগান পর্যন্ত, পরে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার যে পথ, তার পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও জঙ্গলাকীর্ণ খাঁড়া পাহাড়।
এই গিরিখাতের পথে বিভিন্ন পোকাসহ জীবজন্তুও দেখা যায়। ভয় রয়েছে সাপেরও। শুনবেন ঝিঁঝির ডাক। আর ছড়ার তলদেশে পায়ের নিচে এক সময় বালির পরিবর্তে পাওয়া যাবে পাথর। বিভিন্ন স্থানে ছড়ার ওপর মরা গাছও পড়ে আছে। কোথাও কোথাও গাছের অংশ পানিতে থাকতে থাকতে ফসিল হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে শোনা যায় পাখির ডাক। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে আধা ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট যাওয়ার পর দেখা মিলবে নিসর্গ গিরিখাতের। ঢালের দিকে প্রবহমান পানি। কোথাও কোথাও পানিপ্রবাহের কারণে পাহাড়ের গায়ে পাথরের কারুকাজের সৃষ্টি হয়েছে। ঘন জঙ্গলের কারণে সূর্যের আলো নিচে না আসায় জায়গাটি দিনের বেলায়ও বেশ অন্ধকার। সেখানে জীবজন্তু ও সাপের ভয়ের চেয়ে বড় ভয় হলো যেকোনো সময় ওপর থেকে পানিপ্রবাহ নেমে আসতে পারে। আর তখন দ্রুত উপরে না উঠতে পারলে নিশ্চিত বিপদ।
উল্কা গিরিখাত
নিসর্গ গিরিখাতের ডান পাশে আরেকটি পাহাড়ি জনপদ। কাইলিন পুঞ্জি। পায়ে হেঁটে পুঞ্জির পানজুমের শেষ মাথায় গিয়ে প্রায় ৬০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ক্রমশ নিচে নামতে হয়। প্রথমে স্বাভাবিক ঢাল, পরে খাঁড়া ঢাল। খাঁড়া ঢালে পাহাড়িরা পা রাখার মতো ছোট ছোট খোপ করে রেখেছেন, এই খোপগুলো পাথরে পরিণত হয়েছে। বাঁ-দিকে এগোলেই মনে হবে যেন আপনি প্রবেশ করেছেন প্রস্তরযুগে। দুই পাশে খাঁড়া পাহাড় পাথরে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টপ টপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। এটি নিসর্গ গিরিধারার চেয়ে অনেকটা প্রশস্ত ও এর দুই পাশের পাহাড়ের উচ্চতাও অনেক। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। তাই এর নামকরণ করা হয় উল্কাগিরি। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যাকুলগিরি ও ঝরনা সদৃশ জলপ্রপাত।
সেটা নিয়েও একসময় কথা হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জায়গাটি দেখে জানান, এটি বিশ্বের অন্যান্য গিরিখাতের মতোই। এটা আবিষ্কারের পর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পর্যটনের নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হলো।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের নাহার চা বাগান পার হয়ে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার পর একটু চমকে উঠতে হবে। গভীর জঙ্গলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দেখবেন এক নৈসর্গিক স্বর্গ! শত শত বছরের প্রাচীন কয়েকটি ন্যানো স্লট গিরিখাত চোখে পড়বে। আর সেখানে দেখবেন ছোট ছোট ঝরনা।
ছোট বলেই নাম ন্যানো গিরিখাত। যারা এই স্বর্গোদ্যানের সন্ধান পেয়েছেন, তারা অবাধে সেখানে যাচ্ছেন বলে প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে আসা-যাওয়া যেন অবাধ না হয়, সেটাই চাইছেন প্রকৃতিবিদেরা।
এই গিরিখাত খুঁজে পাওয়া গেছে আকস্মিকভাবে করোনাকালেই বছরখানেক আগে। এই প্রতিবেদকও আবিষ্কারের অংশীদার। জায়গাটির অবস্থান শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকায়। কাছাকাছি কয়েকটি আদিবাসী খাসিয়া পুঞ্জি ও চা বাগান। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে পুঞ্জি বা চা বাগান পর্যন্ত, পরে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার যে পথ, তার পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও জঙ্গলাকীর্ণ খাঁড়া পাহাড়।
এই গিরিখাতের পথে বিভিন্ন পোকাসহ জীবজন্তুও দেখা যায়। ভয় রয়েছে সাপেরও। শুনবেন ঝিঁঝির ডাক। আর ছড়ার তলদেশে পায়ের নিচে এক সময় বালির পরিবর্তে পাওয়া যাবে পাথর। বিভিন্ন স্থানে ছড়ার ওপর মরা গাছও পড়ে আছে। কোথাও কোথাও গাছের অংশ পানিতে থাকতে থাকতে ফসিল হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে শোনা যায় পাখির ডাক। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে আধা ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট যাওয়ার পর দেখা মিলবে নিসর্গ গিরিখাতের। ঢালের দিকে প্রবহমান পানি। কোথাও কোথাও পানিপ্রবাহের কারণে পাহাড়ের গায়ে পাথরের কারুকাজের সৃষ্টি হয়েছে। ঘন জঙ্গলের কারণে সূর্যের আলো নিচে না আসায় জায়গাটি দিনের বেলায়ও বেশ অন্ধকার। সেখানে জীবজন্তু ও সাপের ভয়ের চেয়ে বড় ভয় হলো যেকোনো সময় ওপর থেকে পানিপ্রবাহ নেমে আসতে পারে। আর তখন দ্রুত উপরে না উঠতে পারলে নিশ্চিত বিপদ।
উল্কা গিরিখাত
নিসর্গ গিরিখাতের ডান পাশে আরেকটি পাহাড়ি জনপদ। কাইলিন পুঞ্জি। পায়ে হেঁটে পুঞ্জির পানজুমের শেষ মাথায় গিয়ে প্রায় ৬০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ক্রমশ নিচে নামতে হয়। প্রথমে স্বাভাবিক ঢাল, পরে খাঁড়া ঢাল। খাঁড়া ঢালে পাহাড়িরা পা রাখার মতো ছোট ছোট খোপ করে রেখেছেন, এই খোপগুলো পাথরে পরিণত হয়েছে। বাঁ-দিকে এগোলেই মনে হবে যেন আপনি প্রবেশ করেছেন প্রস্তরযুগে। দুই পাশে খাঁড়া পাহাড় পাথরে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টপ টপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। এটি নিসর্গ গিরিধারার চেয়ে অনেকটা প্রশস্ত ও এর দুই পাশের পাহাড়ের উচ্চতাও অনেক। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। তাই এর নামকরণ করা হয় উল্কাগিরি। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যাকুলগিরি ও ঝরনা সদৃশ জলপ্রপাত।
সেটা নিয়েও একসময় কথা হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জায়গাটি দেখে জানান, এটি বিশ্বের অন্যান্য গিরিখাতের মতোই। এটা আবিষ্কারের পর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পর্যটনের নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৫ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৫ ঘণ্টা আগে