কিশোরগঞ্জ
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া গত কয়েক দশকে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে এবার তাপ বেশি হওয়ার কারণে বজ্রপাত হচ্ছে অনেক। একই সঙ্গে বর্ষাকালের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাত বেশি হবে ৷ অন্যদিকে বজ্র প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে; তবে তা লোকালয়ে। বিস্তীর্ণ হাওরে আশ্রয়কেন্দ্র নেই। পুরো জেলায় বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড মাত্র ২৫টি।
সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ২০২০ সালে বজ্রপাতে মারা গেছে ১১ জন, ২০২১ সালে ১৬ জন, ২০২২ সালে ১৫ জন, ২০২৩ সালে ১৫ জন ও ২০২৪ সালে ১০ জন।
২১ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মইশাকান্দা এলাকায় বজ্রপাতে আবু তাহের মিয়া (৫০) নামের বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়।
২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ফুলেছা বেগম, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুরে কলমা হাওরে ইন্দ্রজিত দাস ও স্বাধীন মিয়া প্রাণ হারান।
২৮ এপ্রিল সকালে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাতে দিচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান। অন্যদিকে সকালে ইন্দ্রজিত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে পাকা ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। একই সময় খয়েরপুর হাওরে স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। একই দিন দুপুরেও জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল করিম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। একই দিন বিকেলে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মো. শাহজাহান নামের এক জেলে।
৩০ এপ্রিল জেলার ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কাটটেংগুর হাওরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মোহাম্মদ অনোহল নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
গত ৬ মে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী এলাকায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে একই দিন মিঠামইনে বাড়ির সামনে ধানের খলায় ধান শুকানোর সময় বজ্রপাতে কডু মিয়া নামের এক কৃষক নিহত হন।
১১ মে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত হন। ভৈরব উপজেলায় সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় নিহত ফারুক মিয়া বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হাওরের জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়া উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফয়সাল মিয়া বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খড় আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। অপরদিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কবির মাঠ থেকে খড় নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত হন। নিহত কবির ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
একই দিন করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামে বিকেলে বজ্রপাতে মারা যান কৃষক হাদিস মিয়া (৩২)। বিকেলে নিজ বাড়ির পেছনে বেড়া ঠিক করতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে তাৎক্ষণিক তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাওর-অধ্যুষিত। ১৫-২০ বছর আগেও আমাদের কিশোরগঞ্জে যে পরিমাণ গাছপালা ছিল, তা এখন আর নেই। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে। বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এটি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা। প্রশাসনের প্রতি আবেদন থাকবে, বেশি করে বজ্র নিরোধক যন্ত্র যেন স্থাপন করা হয়। বেশি বেশি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্কবার্তা প্রচার করতে হবে। খোলা জায়গায় অবস্থান এড়াতে হবে।’
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক জানান, বর্তমানে বজ্রপাতের পূর্বাভাস সঠিক সময়ে নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব নয়। বজ্রপাত থেকে সহজে সুরক্ষা পাবেন হাওরে কাজ করতে গিয়ে, তা-ও সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বজ্রপাতে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আমরা বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।’
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া গত কয়েক দশকে বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে এবার তাপ বেশি হওয়ার কারণে বজ্রপাত হচ্ছে অনেক। একই সঙ্গে বর্ষাকালের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাত বেশি হবে ৷ অন্যদিকে বজ্র প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে; তবে তা লোকালয়ে। বিস্তীর্ণ হাওরে আশ্রয়কেন্দ্র নেই। পুরো জেলায় বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড মাত্র ২৫টি।
সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ২০২০ সালে বজ্রপাতে মারা গেছে ১১ জন, ২০২১ সালে ১৬ জন, ২০২২ সালে ১৫ জন, ২০২৩ সালে ১৫ জন ও ২০২৪ সালে ১০ জন।
২১ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মইশাকান্দা এলাকায় বজ্রপাতে আবু তাহের মিয়া (৫০) নামের বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়।
২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ফুলেছা বেগম, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুরে কলমা হাওরে ইন্দ্রজিত দাস ও স্বাধীন মিয়া প্রাণ হারান।
২৮ এপ্রিল সকালে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাতে দিচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান। অন্যদিকে সকালে ইন্দ্রজিত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে পাকা ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। একই সময় খয়েরপুর হাওরে স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। একই দিন দুপুরেও জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল করিম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। একই দিন বিকেলে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মো. শাহজাহান নামের এক জেলে।
৩০ এপ্রিল জেলার ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কাটটেংগুর হাওরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মোহাম্মদ অনোহল নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
গত ৬ মে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী এলাকায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে একই দিন মিঠামইনে বাড়ির সামনে ধানের খলায় ধান শুকানোর সময় বজ্রপাতে কডু মিয়া নামের এক কৃষক নিহত হন।
১১ মে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত হন। ভৈরব উপজেলায় সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় নিহত ফারুক মিয়া বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হাওরের জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়া উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফয়সাল মিয়া বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খড় আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। অপরদিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কবির মাঠ থেকে খড় নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত হন। নিহত কবির ভৈরবের হাজী আসমত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
একই দিন করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামে বিকেলে বজ্রপাতে মারা যান কৃষক হাদিস মিয়া (৩২)। বিকেলে নিজ বাড়ির পেছনে বেড়া ঠিক করতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে তাৎক্ষণিক তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ হাওর-অধ্যুষিত। ১৫-২০ বছর আগেও আমাদের কিশোরগঞ্জে যে পরিমাণ গাছপালা ছিল, তা এখন আর নেই। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে। বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এটি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা। প্রশাসনের প্রতি আবেদন থাকবে, বেশি করে বজ্র নিরোধক যন্ত্র যেন স্থাপন করা হয়। বেশি বেশি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্কবার্তা প্রচার করতে হবে। খোলা জায়গায় অবস্থান এড়াতে হবে।’
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক জানান, বর্তমানে বজ্রপাতের পূর্বাভাস সঠিক সময়ে নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব নয়। বজ্রপাত থেকে সহজে সুরক্ষা পাবেন হাওরে কাজ করতে গিয়ে, তা-ও সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বজ্রপাতে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আমরা বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।’
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ’ উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
২ মিনিট আগেবিস্ফোরক মামলায় গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হারুন খন্দকারকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ মিনিট আগেরংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এ অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৩টি দোকানপাট, বসতঘরসহ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়।
১৮ মিনিট আগেনরসিংদীর শিবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বিল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের (পিআইও) দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৫২ লাখ টাকা। দুজনকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয় থেকে আটক করা
৩৩ মিনিট আগে