ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটের আলোচিত এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা দুটি ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ৬০০ দিনেও তা বাস্তবায়ন করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বরং এই আদেশের বিরুদ্ধে ১৯৪ দিন পর লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে ৪৫৭ দিনেও হয়নি শুনানি সেই লিভ টু আপিলের। ফলে অভিযোগ গঠনের ১ হাজার ৩৪০ দিন ধরে দুই মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এ ঘটনার চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। বাদীপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, এক বছর ধরে বাদী তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। আর আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল করাটা নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে। ফলে বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ধর্ষণের মামলা দুটি বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আছে। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বদলির আদেশ দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ২৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হরিদাস পাল হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘চলতি বছরের ৩০ জুন শুনানির তালিকায় ছিল, হয়নি। রাষ্ট্র বা সরকার আমাদের যখন যা দেয়, তখন তা করতে হয়। এটা আমাদের কাজ।’
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিচার অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। সেই সুযোগে আসামিরা জামিনে বের হতে পারেন, শঙ্কা আছে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও। মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে লিভ টু আপিল করল কোন স্বার্থে? কার স্বার্থে? ন্যায়বিচারের পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা আমরা বুঝতে অপারগ।’
বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। সংস্থা নিযুক্ত আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বাদীর সঙ্গে এক বছর ধরে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। শুনেছি, বাদী আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে, আসামিরা যেন খালাস পায়, সে জন্য বাদীর এমন তৎপরতা। তবে আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ডিএনএ রিপোর্ট থাকায় খালাস পাওয়া দুরূহ। ন্যায়বিচার হলে অবশ্যই অধিকাংশ আসামির শাস্তি নিশ্চিত হবে।’
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সৈয়দ আকরাম আল সাহান মামলার বাদীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলার আসামিদের সঙ্গে আপস করেছেন বলে ব্যাপক ধারণা প্রচলিত আছে। বাদীর আচরণে এটা বোধগম্য হচ্ছে। আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।’
তবে মামলার বাদী ও ধর্ষিত নারীর স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি একেকবার একেক ধরনের কথা বলেন। ‘আপসের প্রস্তাব ছিল, করেননি। ৮০ লাখ টাকাও তিনি নেননি। আসামিরা সরকারপক্ষের হওয়ায় বিচার হয়নি। এখন ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাসহ সৈয়দ আকরাম আল সাহান তাঁর কাছে আপসের টাকার ভাগ চেয়েছেন বলে দাবি তাঁর।’
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘যেহেতু সেখানে আগের রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের ছেলেরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ছিল, ফলে তাঁরা হয়তো বাধ্য হয়ে আপস করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে মামলাটির বিচার নিশ্চিত করা। সেটা তাঁরাই যদি আটকে রাখেন, তাঁদের কারণে যদি ঝুলে যায়, তাহলে তো বোঝা যাবে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করা হয়েছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয় আরেকটি কক্ষে।
সিলেটের আলোচিত এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা দুটি ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ৬০০ দিনেও তা বাস্তবায়ন করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বরং এই আদেশের বিরুদ্ধে ১৯৪ দিন পর লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে ৪৫৭ দিনেও হয়নি শুনানি সেই লিভ টু আপিলের। ফলে অভিযোগ গঠনের ১ হাজার ৩৪০ দিন ধরে দুই মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এ ঘটনার চার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। বাদীপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, এক বছর ধরে বাদী তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছেন না। আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। আর আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল করাটা নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে। ফলে বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ধর্ষণের মামলা দুটি বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আছে। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বদলির আদেশ দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ২৬ জুন সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হরিদাস পাল হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘চলতি বছরের ৩০ জুন শুনানির তালিকায় ছিল, হয়নি। রাষ্ট্র বা সরকার আমাদের যখন যা দেয়, তখন তা করতে হয়। এটা আমাদের কাজ।’
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিচার অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। সেই সুযোগে আসামিরা জামিনে বের হতে পারেন, শঙ্কা আছে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও। মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে লিভ টু আপিল করল কোন স্বার্থে? কার স্বার্থে? ন্যায়বিচারের পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা আমরা বুঝতে অপারগ।’
বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনার ব্যয়ভার বহন করে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। সংস্থা নিযুক্ত আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বাদীর সঙ্গে এক বছর ধরে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। শুনেছি, বাদী আসামিপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে, আসামিরা যেন খালাস পায়, সে জন্য বাদীর এমন তৎপরতা। তবে আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ডিএনএ রিপোর্ট থাকায় খালাস পাওয়া দুরূহ। ন্যায়বিচার হলে অবশ্যই অধিকাংশ আসামির শাস্তি নিশ্চিত হবে।’
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সৈয়দ আকরাম আল সাহান মামলার বাদীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলার আসামিদের সঙ্গে আপস করেছেন বলে ব্যাপক ধারণা প্রচলিত আছে। বাদীর আচরণে এটা বোধগম্য হচ্ছে। আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।’
তবে মামলার বাদী ও ধর্ষিত নারীর স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি একেকবার একেক ধরনের কথা বলেন। ‘আপসের প্রস্তাব ছিল, করেননি। ৮০ লাখ টাকাও তিনি নেননি। আসামিরা সরকারপক্ষের হওয়ায় বিচার হয়নি। এখন ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাসহ সৈয়দ আকরাম আল সাহান তাঁর কাছে আপসের টাকার ভাগ চেয়েছেন বলে দাবি তাঁর।’
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘যেহেতু সেখানে আগের রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের ছেলেরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ছিল, ফলে তাঁরা হয়তো বাধ্য হয়ে আপস করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে মামলাটির বিচার নিশ্চিত করা। সেটা তাঁরাই যদি আটকে রাখেন, তাঁদের কারণে যদি ঝুলে যায়, তাহলে তো বোঝা যাবে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করা হয়েছে।’
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয় আরেকটি কক্ষে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে