নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাঁকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট–১ (আমলি আদালত–৫ কানাইঘাট কোর্ট) আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেল ৫টার দিকে শহরতলীর বাদাঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে গেলে সেখানকার সহকারী সার্জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। আগে থেকেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর হার্টে বাইপাস সার্জারি করা আছে।
আজকের পত্রিকা’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
জেলার সাখাওয়াত বলেন, ‘ওনার শরীরে কাটা–ছেঁড়া, দাগ ও জখম রয়েছে। উনি হয়ত কোথাও পড়ে গিয়েছিলেন অথবা মারধরের শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আমাদের সহকারী সার্জনের পরামর্শে তাঁকে ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে আসার আগে থেকেই তিনি অসুস্থ।’
ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাফর ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী সমস্যা সঠিক জানি না। ওনার অপারেশন চলছে ৫ম তলার সার্জারি বিভাগে অপারেশন থিয়েটারে।’
এদিকে রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (শামসুদ্দিন চৌধুরী) স্ক্রোটাল ইনজুরি (অণ্ডকোষে আঘাত) ছিল। রাত পৌনে ৯টায় অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি ভালো আছেন এবং হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে নিয়ে আসা হলে উত্তেজিত জনতা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিককে লক্ষ্য করে ডিম–জুতা নিক্ষেপ, পুলিশি বেষ্টনী ডিঙিয়ে কিল–ঘুষি মারতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে তাঁকে দ্রুত আদালতে নিয়ে যান। কানাইঘাট থানা–পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় তাঁকে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় মানিকের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না জানিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম বলেন, ‘আসামি আদালতকে বলেছেন, তিনি বয়স্ক মানুষ। শারীরিকভাবে অসুস্থ।
আটককালীন তাঁকে চিকিৎসার পাশাপাশি সাবেক বিচারপতি হিসেবে সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন মানিক। সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে আটক করে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন।
আরও খবর পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাঁকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট–১ (আমলি আদালত–৫ কানাইঘাট কোর্ট) আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেল ৫টার দিকে শহরতলীর বাদাঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে গেলে সেখানকার সহকারী সার্জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। আগে থেকেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর হার্টে বাইপাস সার্জারি করা আছে।
আজকের পত্রিকা’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
জেলার সাখাওয়াত বলেন, ‘ওনার শরীরে কাটা–ছেঁড়া, দাগ ও জখম রয়েছে। উনি হয়ত কোথাও পড়ে গিয়েছিলেন অথবা মারধরের শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আমাদের সহকারী সার্জনের পরামর্শে তাঁকে ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে আসার আগে থেকেই তিনি অসুস্থ।’
ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাফর ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী সমস্যা সঠিক জানি না। ওনার অপারেশন চলছে ৫ম তলার সার্জারি বিভাগে অপারেশন থিয়েটারে।’
এদিকে রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (শামসুদ্দিন চৌধুরী) স্ক্রোটাল ইনজুরি (অণ্ডকোষে আঘাত) ছিল। রাত পৌনে ৯টায় অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি ভালো আছেন এবং হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে নিয়ে আসা হলে উত্তেজিত জনতা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিককে লক্ষ্য করে ডিম–জুতা নিক্ষেপ, পুলিশি বেষ্টনী ডিঙিয়ে কিল–ঘুষি মারতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে তাঁকে দ্রুত আদালতে নিয়ে যান। কানাইঘাট থানা–পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় তাঁকে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় মানিকের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না জানিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম বলেন, ‘আসামি আদালতকে বলেছেন, তিনি বয়স্ক মানুষ। শারীরিকভাবে অসুস্থ।
আটককালীন তাঁকে চিকিৎসার পাশাপাশি সাবেক বিচারপতি হিসেবে সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন মানিক। সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে আটক করে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন।
আরও খবর পড়ুন:
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পারভেজ ও জহিরুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
২ মিনিট আগেবরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মনিরুলকে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের জিলা স্কুল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগেগত নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ এপ্রিল রাতের ওই ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ১৭ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাবুল হোসেনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে তিন মাস তিনি জেলা..
৫ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি মডেলের আদলে স্বতন্ত্র কাঠামো নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১০ মিনিট আগে