Ajker Patrika

সিলেটে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ১৮: ২৪
Thumbnail image

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কমছে নদ-নদীর পানি। নগরের পানি নেমে যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের পানিও কমতে শুরু করেছে। উজানের ওপারে আর বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটে গত ২৭ মে থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। পরে ২৮ মে থেকে সিলেটের ৫ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের জন্য খোলা হয় আশ্রয়কেন্দ্র। অনেকে আশ্রয় নেন আশ্রয়কেন্দ্রে। শুরু হয় মানুষের ভোগান্তি। আর এরপরে ধীরে ধীরে সিলেটের আরও ৫ উপজেলায় দেখা দেয় বন্যা পরিস্থিতির। অতিবৃষ্টি ও সুরমা নদীর পানি বেড়ে নগরেও দেখা দেয় বন্যার। এতে নগরের অভিজাত এলাকা উপশহরসহ বেশ কিছু এলাকা পানিতে ডুবে যায়। ব্যাহত হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয় ৬০ দশমিক ৪ মিলিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন জানান, এখন আকাশ পরিষ্কার আছে, রোদও উঠেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি।

পাউবো জানায়, সিলেটের তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও কমতে শুরু করেছে। বুধবার সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার এর চেয়ে ২৪ সেন্টিমিটার বেশিতে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আজকের চেয়ে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরা পুঞ্জিতে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে সিলেটের নদ-নদীর পানি কমছে। নগরের পানিও নেমে যাচ্ছে। আশা করা যায় চেরা পুঞ্জিতে আর বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং সব পয়েন্টেই বিপৎসীমার নিচে পানি নেমে যাবে।

এ পর্যন্ত সিলেটের নগর ও ১০টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬২ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে নগরে ৪ হাজার ও বিভিন্ন উপজেলায় ৫০৫ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত