জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
আট সন্তানসহ ১১ সদস্যদের পরিবার। এর মধ্যে আবার তিন সন্তান বাক্প্রতিবন্ধী। তার পরও পরিশ্রমী সবজিচাষি মিন্নাত আলীর সংসার মোটামুটি চলে যাচ্ছিল। ব্যাংক থেকে ঋণ আর নিজের মেহনতে এবারও সবজি চাষে দেখেছিলেন আশার আলো। কিন্তু বানের জলে সবকিছু যেন নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন, আর কীভাবেই বা সংসারের খরচ জোগাবেন, তার কুলকিনারা পাচ্ছেন না।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের যোগলনগর গ্রামের বাসিন্দা মিন্নাত আলী সংসারের অভাব দূর করতে গত পাঁচ বছর ধরে বাড়ি পাশে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সবজি চাষ শুরু করেন। নিজেই চাষ করতেন, আবার বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। সবজি চাষে বেশ ভালোই চলছিল তাঁর সংসার। চলতি মৌসুমে কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ির পাশে ৫ কেদার (১ কেদার সমান ৩০ শতক) জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেন। তাঁর চাষকৃত সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স, পাটশাক, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, চালকুমড়ার ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল।
তবে সেই ফসল আর ঘরে তোলা হয়নি মিন্নাত আলীর। ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সবকিছু তলিয়ে যায়। টানা এক মাস ধরে তলিয়ে থাকা সবজিখেতে এখন শুধু পানি আর পানি। নষ্ট হয়ে গেছে সব ফসল।
মিন্নাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১১ সদস্যের সংসার। এর মধ্যে আবার তিন সন্তান বাক্প্রতিবন্ধী। আমি ছাড়া আমার সংসারে রোজগারের আর কেউ নেই। কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিজের অল্প একটু জমি আর আত্মীয়স্বজনের জমিতে সবজি চাষ করে বেশ ভালোই চলছিল অভাবের সংসার। গেল মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছিল। তাই এবার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ কেদার জমিতে সবজি চাষ করি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু ঘরে তোলা আর হলো না। বানের জলে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ঠিকমতো সবজিগুলো তুলতে পারলে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হতো। এখন নিজেরা কী খাব আর ঋণই বা পরিশোধ করব কীভাবে? চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘মিন্নাত আলী একজন আদর্শ কৃষক। কৃষির প্রযুক্তি ব্যবহার ও নতুন জাত সম্প্রসারণে সে একজন অগ্রগামী। তিনি সবজি চাষের মধ্য দিয়ে পরিবারে সচ্ছলতা নিয়ে এসেছেন। আমরা তাঁকে সব সময় সহযোগিতা করেছি। তবে এবারের বন্যায় তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠিয়েছি। কোনো ধরনের প্রণোদনা বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলে অবশ্যই তাঁকে দেওয়া হবে।’
আট সন্তানসহ ১১ সদস্যদের পরিবার। এর মধ্যে আবার তিন সন্তান বাক্প্রতিবন্ধী। তার পরও পরিশ্রমী সবজিচাষি মিন্নাত আলীর সংসার মোটামুটি চলে যাচ্ছিল। ব্যাংক থেকে ঋণ আর নিজের মেহনতে এবারও সবজি চাষে দেখেছিলেন আশার আলো। কিন্তু বানের জলে সবকিছু যেন নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন, আর কীভাবেই বা সংসারের খরচ জোগাবেন, তার কুলকিনারা পাচ্ছেন না।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের যোগলনগর গ্রামের বাসিন্দা মিন্নাত আলী সংসারের অভাব দূর করতে গত পাঁচ বছর ধরে বাড়ি পাশে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সবজি চাষ শুরু করেন। নিজেই চাষ করতেন, আবার বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। সবজি চাষে বেশ ভালোই চলছিল তাঁর সংসার। চলতি মৌসুমে কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ির পাশে ৫ কেদার (১ কেদার সমান ৩০ শতক) জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেন। তাঁর চাষকৃত সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স, পাটশাক, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, চালকুমড়ার ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল।
তবে সেই ফসল আর ঘরে তোলা হয়নি মিন্নাত আলীর। ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সবকিছু তলিয়ে যায়। টানা এক মাস ধরে তলিয়ে থাকা সবজিখেতে এখন শুধু পানি আর পানি। নষ্ট হয়ে গেছে সব ফসল।
মিন্নাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১১ সদস্যের সংসার। এর মধ্যে আবার তিন সন্তান বাক্প্রতিবন্ধী। আমি ছাড়া আমার সংসারে রোজগারের আর কেউ নেই। কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিজের অল্প একটু জমি আর আত্মীয়স্বজনের জমিতে সবজি চাষ করে বেশ ভালোই চলছিল অভাবের সংসার। গেল মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছিল। তাই এবার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ কেদার জমিতে সবজি চাষ করি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু ঘরে তোলা আর হলো না। বানের জলে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ঠিকমতো সবজিগুলো তুলতে পারলে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হতো। এখন নিজেরা কী খাব আর ঋণই বা পরিশোধ করব কীভাবে? চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘মিন্নাত আলী একজন আদর্শ কৃষক। কৃষির প্রযুক্তি ব্যবহার ও নতুন জাত সম্প্রসারণে সে একজন অগ্রগামী। তিনি সবজি চাষের মধ্য দিয়ে পরিবারে সচ্ছলতা নিয়ে এসেছেন। আমরা তাঁকে সব সময় সহযোগিতা করেছি। তবে এবারের বন্যায় তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠিয়েছি। কোনো ধরনের প্রণোদনা বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলে অবশ্যই তাঁকে দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে