সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ পৌরসভা পানি শোধনাগার উদ্বোধন করেছেন প্রায় ৬ মাস আগে। কিন্তু এখনো শোধনাগারটি থেকে এক ফোঁটা পানি সরবরাহ করতে পারেনি জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পৌরসভার কাছে প্রকল্পটি কবে হস্তান্তর করা হবে তাও জানে না কেউ।
হবিগঞ্জ পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জে পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। একপর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের অগ্রগতি ও বিল নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে নির্মাণকাজ বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। অবশেষে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শেষ হয়।
এরপর নতুন ফ্যাকরা দেখা দেয় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ পোষ্টপেইড মিটার দাবি করে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ প্রিপেইড মিটার ছাড়া সংযোগ দিতে নারাজ। এভাবে কেটে যায় প্রায় ১ বছর। শেষমেশ প্রিপেইড মিটার নিতে সম্মত হয় পৌরসভা। মিটার নিয়ে যখন বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা টানাপোড়েন চলছিল, ঠিক সেই সময় পানি শোধনাগারে প্রায় ১৫ লাখ টাকার সরঞ্জাম ও তার চুরি হয়ে যায়। এসব পুনঃস্থাপন না করেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গত ১১ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়।
এ পর্যন্ত ঠিকাদার বিদ্যুতের মিটার স্থাপন না করায় পানি শোধনাগারটি পরীক্ষা করা যায়নি। ফলে পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে দুটো কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা পানির তুলনায় গ্রাহকসংখ্যা বেশি ও লাইনে পানির প্রেশার কম থাকায় প্রায় ২৫ ভাগ গ্রাহকের বাসাবাড়িতে পানি পৌঁছেছে না। অপরদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলেও কাঙ্ক্ষিত পানি উঠছে না। ফলে পানির অভাবে দেখা দিয়েছে হাহাকার।
হবিগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে বলছে, শহরে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে ২ হাজার ৩০০ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে সকাল ও বিকেলে কালিবাড়ি ও বেবিস্ট্যান্ড পানি শোধনাগার থেকে তিন লাখ গ্যালনের বেশি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় ৫০ ভাগ পূরণ হয়। পিটিআই এলাকায় নির্মিত নতুন শোধনাগার চালু হলে ৮০ ভাগ চাহিদা পূরণ হবে। শ্যামলী, কুরেশনগর, হাসপাতাল এলাকার কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল বর্তমান পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহকৃত পানি ২৫ ভাগ গ্রাহকদের বাসাবাড়িতে পৌঁছায় না। পানি না পেয়েও লাইন বিচ্ছিন্নের আশংকায় মাসে মাসে পানির বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্রীষ্মের দাবদাহে অসংখ্য মানুষ এখন তীব্র সুপেয় পানি সংকটে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প থেকে ঘণ্টায় ৩৫০ ঘন মিটার পানি শোধন করা যাবে।ঠিকাদারকে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার স্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়নকাজ চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এসব উন্নয়নকাজের সময় পাইপ লাইনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে কী না তা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। সবকিছু ঠিকঠাক হলে পৌরসভার নিকট পানি শোধনাগারটি হস্তান্তর করা হবে। কবে নাগাদ হস্তান্তর সম্ভব তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
হবিগঞ্জ পৌর পানি সরবরাহ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ শামীম বলেন, ‘বিদ্যুৎ মিটার নিয়ে যে ঝামেলা ছিল তা শেষ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনো পৌরসভার কাছে পানি শোধনাগারটি হস্তান্তর করেনি। কবে হস্তান্তর করবে তাও জানি না।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ পৌরসভা পানি শোধনাগার উদ্বোধন করেছেন প্রায় ৬ মাস আগে। কিন্তু এখনো শোধনাগারটি থেকে এক ফোঁটা পানি সরবরাহ করতে পারেনি জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পৌরসভার কাছে প্রকল্পটি কবে হস্তান্তর করা হবে তাও জানে না কেউ।
হবিগঞ্জ পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জে পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। একপর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের অগ্রগতি ও বিল নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে নির্মাণকাজ বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। অবশেষে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শেষ হয়।
এরপর নতুন ফ্যাকরা দেখা দেয় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ পোষ্টপেইড মিটার দাবি করে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ প্রিপেইড মিটার ছাড়া সংযোগ দিতে নারাজ। এভাবে কেটে যায় প্রায় ১ বছর। শেষমেশ প্রিপেইড মিটার নিতে সম্মত হয় পৌরসভা। মিটার নিয়ে যখন বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা টানাপোড়েন চলছিল, ঠিক সেই সময় পানি শোধনাগারে প্রায় ১৫ লাখ টাকার সরঞ্জাম ও তার চুরি হয়ে যায়। এসব পুনঃস্থাপন না করেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গত ১১ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়।
এ পর্যন্ত ঠিকাদার বিদ্যুতের মিটার স্থাপন না করায় পানি শোধনাগারটি পরীক্ষা করা যায়নি। ফলে পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে দুটো কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা পানির তুলনায় গ্রাহকসংখ্যা বেশি ও লাইনে পানির প্রেশার কম থাকায় প্রায় ২৫ ভাগ গ্রাহকের বাসাবাড়িতে পানি পৌঁছেছে না। অপরদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলেও কাঙ্ক্ষিত পানি উঠছে না। ফলে পানির অভাবে দেখা দিয়েছে হাহাকার।
হবিগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে বলছে, শহরে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে ২ হাজার ৩০০ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে সকাল ও বিকেলে কালিবাড়ি ও বেবিস্ট্যান্ড পানি শোধনাগার থেকে তিন লাখ গ্যালনের বেশি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় ৫০ ভাগ পূরণ হয়। পিটিআই এলাকায় নির্মিত নতুন শোধনাগার চালু হলে ৮০ ভাগ চাহিদা পূরণ হবে। শ্যামলী, কুরেশনগর, হাসপাতাল এলাকার কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল বর্তমান পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহকৃত পানি ২৫ ভাগ গ্রাহকদের বাসাবাড়িতে পৌঁছায় না। পানি না পেয়েও লাইন বিচ্ছিন্নের আশংকায় মাসে মাসে পানির বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্রীষ্মের দাবদাহে অসংখ্য মানুষ এখন তীব্র সুপেয় পানি সংকটে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প থেকে ঘণ্টায় ৩৫০ ঘন মিটার পানি শোধন করা যাবে।ঠিকাদারকে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার স্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়নকাজ চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এসব উন্নয়নকাজের সময় পাইপ লাইনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে কী না তা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। সবকিছু ঠিকঠাক হলে পৌরসভার নিকট পানি শোধনাগারটি হস্তান্তর করা হবে। কবে নাগাদ হস্তান্তর সম্ভব তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
হবিগঞ্জ পৌর পানি সরবরাহ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ শামীম বলেন, ‘বিদ্যুৎ মিটার নিয়ে যে ঝামেলা ছিল তা শেষ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনো পৌরসভার কাছে পানি শোধনাগারটি হস্তান্তর করেনি। কবে হস্তান্তর করবে তাও জানি না।’
আলোচনা শেষে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে, সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
১ মিনিট আগেবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে একটানা লড়াই শেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালো রাঙামাটির উ ক্য সাইন মারমা।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মাহরিন চৌধুরীর দাফন হবে নীলফামারীর নিজ গ্রামে। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকেই জেলার জলঢাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ী গ্রামে প্রস্তুত করা হচ্ছে তার কবর। বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক এই কবর
৭ মিনিট আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে ইয়াসমিন আক্তার (৯) ও জান্নাত আক্তার (৮) নামের দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের সাকসি গ্রামের ভূইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে