Ajker Patrika

ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে আবার রাস্তায় রায়হানের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৫৪
ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে আবার রাস্তায় দাঁড়ালেন সিলেটে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম। আজ নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে আবার রাস্তায় দাঁড়ালেন সিলেটে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম। আজ নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার বছর পাঁচ মাসেও ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে আবার রাস্তায় দাঁড়ালেন সিলেটে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম। আজ সোমবার বিকেলে সিলেট নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনে তিনি ছেলে হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবি জানান। মানববন্ধনে আখালিয়া এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ হাসিনা শুধু তাঁর বাবার খুনিদের বিচার করেছেন। আর কেউ বিচায় পায়নি। রায়হানকে ধরে নিয়ে পুলিশ যখন নির্যাতন করে খুন করে, তখন তাঁর মেয়ের বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। এখন মেয়ে অনেক বড় হয়েছে। সে যখন বাবার কথা জিজ্ঞেস করে, তখন পরিবারের কেউ কোনো জবাব দিতে পারেন না।

সালমা বেগম আরও বলেন, চার বছর পাঁচ মাস ধরে ছেলে হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে তিনি ঘুরছেন। এখনো ছেলে হত্যার বিচার পাননি। আসামিরা মামলা থেকে রক্ষা পেতে নানা কূটকৌশল করছেন। তিনবার সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে চারজন জজ বদলি হয়েছেন; কিন্তু রায়হান হত্যার বিচার হয়নি। বিচার পেলে তিনি মনে কিছুটা হলেও শান্তি পেতেন।

রায়হানের মা দাবি করেন, ‘প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া মামলা আপসের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়েছেন। ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অফার করেছেন। আজীবনের জন্য রায়হানের পরিবারের দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন; কিন্তু কোনো প্রলোভনে পরিবার আপস করেনি। বিচারের মাধ্যমে রায়হানের খুনিরা ফাঁসিতে ঝুলবেন, এমন আশায় অপেক্ষা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়ার রায়হান আহমদকে ধরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাঁর পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে ফাঁড়ির ভেতর বেধড়ক মারধর করা হয়। ১১ অক্টোবর ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহি, এএসআই হাসান উদ্দিন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস ও সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত