জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। ফলে উপজেলার ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। আজ বুধবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন ধরে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রে এখনো প্রায় দুই হাজার মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আশ্রিত রয়েছেন আরও শতাধিক পরিবার।
এদিকে গত চার দিন ধরে পানি কমায় এ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও, নিম্নাঞ্চলে এখনো রাস্তা-ঘাট ডুবে রয়েছে। ঘর-বাড়িতে রয়েছে হাঁটু পানি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানবাসীদের। বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী না পাওয়ায় বানভাসি মানুষের কষ্টও বেড়েছে। কেউ কেউ আবার পুরোদমে পানি না কমার পরও ফিরছেন নিজ বাসস্থানে।
আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়াম আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সত্তরোর্ধ্ব ফইদর আলী বলেন, ‘পাঁচজনের পরিবার। ৯ দিন ধরে এখানে আছি। শুধু চাল আর চিড়া-মুড়ি পেয়েছি। ঘরে হাঁটু পানি, বাড়িও যেতে পারছি না।’
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেল তলা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া বলেন, ‘গত ১২ দিন ধরে নারিকেল তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছি। শুধু চাল ছাড়া আর কিছুই পাইনি। চারদিকে পানি। তাই কোন কাজকামও নেই। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে রয়েছি। বন্যার পানিতে বসতঘরটিও ভেঙে গেছে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র ও পানিবন্দী পরিবারগুলো মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতিতে মোট ১০০ টন চাল, নগদ এক লাখ টাকা, ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য দুই ধাপে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। নতুন করে আরও কিছু বরাদ্দ আসছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে এ তালিকা জেলায় পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন থেকে ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীর পানি বেড়েছে এ উপজেলার একটি পৌরসভার ও আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ দুই শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। তলিয়ে যায় জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, জগন্নাথপুর-চিলাউড়া সড়কসহ উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামীণ সড়ক। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন উপজেলাবাসী। গত শনিবার থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করলে বানবাসীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে ধীর গতিতে পানি কমায় এখনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। ফলে উপজেলার ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। আজ বুধবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন ধরে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রে এখনো প্রায় দুই হাজার মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আশ্রিত রয়েছেন আরও শতাধিক পরিবার।
এদিকে গত চার দিন ধরে পানি কমায় এ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও, নিম্নাঞ্চলে এখনো রাস্তা-ঘাট ডুবে রয়েছে। ঘর-বাড়িতে রয়েছে হাঁটু পানি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বানবাসীদের। বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী না পাওয়ায় বানভাসি মানুষের কষ্টও বেড়েছে। কেউ কেউ আবার পুরোদমে পানি না কমার পরও ফিরছেন নিজ বাসস্থানে।
আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়াম আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সত্তরোর্ধ্ব ফইদর আলী বলেন, ‘পাঁচজনের পরিবার। ৯ দিন ধরে এখানে আছি। শুধু চাল আর চিড়া-মুড়ি পেয়েছি। ঘরে হাঁটু পানি, বাড়িও যেতে পারছি না।’
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেল তলা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া বলেন, ‘গত ১২ দিন ধরে নারিকেল তলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছি। শুধু চাল ছাড়া আর কিছুই পাইনি। চারদিকে পানি। তাই কোন কাজকামও নেই। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে রয়েছি। বন্যার পানিতে বসতঘরটিও ভেঙে গেছে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র ও পানিবন্দী পরিবারগুলো মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতিতে মোট ১০০ টন চাল, নগদ এক লাখ টাকা, ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্য ও শিশু খাদ্যের জন্য দুই ধাপে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। নতুন করে আরও কিছু বরাদ্দ আসছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে এ তালিকা জেলায় পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন থেকে ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীর পানি বেড়েছে এ উপজেলার একটি পৌরসভার ও আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারসহ দুই শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। তলিয়ে যায় জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, জগন্নাথপুর-চিলাউড়া সড়কসহ উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামীণ সড়ক। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন উপজেলাবাসী। গত শনিবার থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করলে বানবাসীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে ধীর গতিতে পানি কমায় এখনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে