রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে মাদকের রমরমা কারবার। উপজেলার অর্ধশত স্থানে দেদার মাদক কেনাবেচা চলে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ১৫-২০ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয় এসব স্পটে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে মাদকসেবীদের কাছ থেকে ৪ থেকে ৬ কোটি টাকা হাতবদল হয়।
মাদকসেবীদের কারণে সমাজ ও পরিবারে নানা অশান্তি, অপরাধ বাড়ছে। মাদকসেবীরা চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালিয়ে কিছু গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা বড়ি জব্দ করলেও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য কমাতে পারছে না।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির মদদে এসব মাদক কারবার চলছে। মাদক বিক্রির স্পট ও কারবারিদের সম্পর্কে সবকিছু জানলেও পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন নীরব থাকছেন। অবশ্য পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, মাদকের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে তারা।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, প্রতিদিন উপজেলার রেলওয়ে কারখানার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর রেলগেট-সংলগ্ন এলাকা, হাতিখানা কবরস্থান, রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, রেলওয়ে জিইআর শপের পাশে, রসুলপুর, কয়ানিজপাড়া, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, নিমবাগান, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো-সংলগ্ন এলাকা, সৈয়দপুর প্লাজা, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ অন্তত ২০ থেকে ৩০টি স্থানে মাদক বেচাকেনা হয়। এগুলো ছাড়াও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ২০টির বেশি স্পট রয়েছে। শহরের রেলওয়ে জিইআর শপের পাশে কয়ানিজপাড়া, রেলওয়ে ১২ নম্বরসংলগ্ন এলাকা, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, নিমবাগান এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত।
মাদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক কারবারিদের মূল হোতা বা ডিলার হলেন বাবুয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনিই মূলত ভারতের হিলি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক এনে ছোট কারবারিদের কাছে সরবরাহ করেন। বাবুয়া শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় থাকেন। এ ছাড়া হাতিখানা মহুয়া রেললাইনসংলগ্ন এলাকার মালেক, ইসলামবাগ এলাকার আসফাক, রসুলপুর এলাকার ইমতিয়াজ চিহ্নিত মাদক কারবারি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে বাবুয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। সরাসরি সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি।
সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, বিএনপি নেতা শাহিন আকতার বলেন, এলাকায় চিহ্নিত কয়েকজন মাদক কারবারি প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করছে। এতে দিন দিন মাদকসেবীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সীরা বেশি আসক্ত হচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে অবশ্যই প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে।
শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকায় প্রকাশ্যেই মাদক বেচাকেনা চলছে। পুলিশ মাদক কারবারিদের ধরে নিয়ে গেলেও জামিনে এসে আবার ব্যবসা করছে। সবাইকে সামাল দিয়ে মাদক কারবারিরা তাঁদের কারবার চালিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে মাদকের রমরমা কারবার। উপজেলার অর্ধশত স্থানে দেদার মাদক কেনাবেচা চলে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ১৫-২০ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয় এসব স্পটে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে মাদকসেবীদের কাছ থেকে ৪ থেকে ৬ কোটি টাকা হাতবদল হয়।
মাদকসেবীদের কারণে সমাজ ও পরিবারে নানা অশান্তি, অপরাধ বাড়ছে। মাদকসেবীরা চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালিয়ে কিছু গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা বড়ি জব্দ করলেও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য কমাতে পারছে না।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির মদদে এসব মাদক কারবার চলছে। মাদক বিক্রির স্পট ও কারবারিদের সম্পর্কে সবকিছু জানলেও পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন নীরব থাকছেন। অবশ্য পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, মাদকের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে তারা।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, প্রতিদিন উপজেলার রেলওয়ে কারখানার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর রেলগেট-সংলগ্ন এলাকা, হাতিখানা কবরস্থান, রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, রেলওয়ে জিইআর শপের পাশে, রসুলপুর, কয়ানিজপাড়া, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, নিমবাগান, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো-সংলগ্ন এলাকা, সৈয়দপুর প্লাজা, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ অন্তত ২০ থেকে ৩০টি স্থানে মাদক বেচাকেনা হয়। এগুলো ছাড়াও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ২০টির বেশি স্পট রয়েছে। শহরের রেলওয়ে জিইআর শপের পাশে কয়ানিজপাড়া, রেলওয়ে ১২ নম্বরসংলগ্ন এলাকা, ইসলামবাগ শেরু হোটেল, নিমবাগান এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত।
মাদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক কারবারিদের মূল হোতা বা ডিলার হলেন বাবুয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনিই মূলত ভারতের হিলি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক এনে ছোট কারবারিদের কাছে সরবরাহ করেন। বাবুয়া শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় থাকেন। এ ছাড়া হাতিখানা মহুয়া রেললাইনসংলগ্ন এলাকার মালেক, ইসলামবাগ এলাকার আসফাক, রসুলপুর এলাকার ইমতিয়াজ চিহ্নিত মাদক কারবারি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে বাবুয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। সরাসরি সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি।
সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, বিএনপি নেতা শাহিন আকতার বলেন, এলাকায় চিহ্নিত কয়েকজন মাদক কারবারি প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করছে। এতে দিন দিন মাদকসেবীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সীরা বেশি আসক্ত হচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে অবশ্যই প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে।
শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকায় প্রকাশ্যেই মাদক বেচাকেনা চলছে। পুলিশ মাদক কারবারিদের ধরে নিয়ে গেলেও জামিনে এসে আবার ব্যবসা করছে। সবাইকে সামাল দিয়ে মাদক কারবারিরা তাঁদের কারবার চালিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।’
বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ’বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আমরা বিভিন্ন সময় ক্ষমতায় ছিলাম, পরে অন্যরা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি। আমরা এমন কোনো কাজ করবো না যাতে আগামীতে আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, আমরা সেভাবেই
২৫ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা সড়কে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এই সড়কে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের গতি রোধ করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতের দল। পরে পালানোর সময় তারা তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
১ ঘণ্টা আগেওমান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও ৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার ভোরে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চন্দ্রগঞ্জের জগদিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে স্থাপন করা হয়েছিল দুটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট; যাতে ব্যয় হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। তবে ৯ বছর আগে স্থাপন করা প্ল্যান্ট দুটি থেকে এখনো পানি সরবরাহ শুরু হয়নি। প্ল্যান্টগুলোর অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সংকটে
২ ঘণ্টা আগে