গাইবান্ধা প্রতিনিধি
পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে এ বছর বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন আইজল মিয়া (৪৮)। গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার কেওয়াবাড়ী কেশামত গ্রামের কৃষক তিনি। সোনার ফসলের আশায় চার মাসের বেশি সময় ধরে রাতদিন কষ্ট করেছেন তিনি। যেখানে যা খরচ করার প্রয়োজন ছিল, কমতি রাখেননি। কিন্তু সেই কষ্টের ফল হতে যাচ্ছে প্রায় শূন্য। কারণ, শ্রমিকসংকটের কারণে এখনো দুই বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। এদিকে খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে পাকা ধান। দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
আইজল মিয়া বলেন, ধারদেনা করে আবাদ করছি। পরিকল্পনা ছিল কিছু ধান বেচে ঋণের টাকা শোধ করবেন। আর বাকি ধান দিয়ে সংসারের কয়েক মাসের খরচ জোগাবেন। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগমুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া আর শ্রমিকের সংকট তাঁর সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঝাউবাড়ী গ্রামের ধানচাষি মো. মোস্তফা মিয়া। তিনি বলেন, পানিতে তিন বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটতে না পারলে পানির নিচে গাঁজ ধরবে। ধান কাটা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। আরেক চাষি মো. রন্জু মিয়া বলেন, তিন-চার দিনের ঝড়ে পাকা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। একদিকে নেক ব্লাস্টে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার ধানের আবাদে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরেক কৃষক মো. গোলজার আলী বলেন, খেতে পানি জমে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাওয়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা বেশি মজুরি চাইছেন। তিনি বলেন, ‘হামারে মতো অল্প জমিওয়ালা কৃষানের ধান কাটতে বাহানা শুরু করছে শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে বউ-ছল লিয়ে খ্যাতের ধান ক্যাটতে শুরু করছি। বাকি ধান খ্যাতেই পড়ে আছে। আর দুই-তিন দিন এভাবে বৃষ্টি হলে আর ধান ক্যাটতে না পারলে সব ধান খ্যাতেই লস্ট হয়ে যাবে।’ গত বছর যে ধান কাটা-মাড়াইয়ে প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এবার সেখানে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিন-চার দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার নিচু এলাকার পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জমির ধানগাছ পানিতে শুয়ে পড়ছে। এ ছাড়া যে জমিগুলোতে এখনো ধানগাছ গলা পানিতে উঁকি দিচ্ছে, সেগুলোর শিষও আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ছে। এখনো জেলায় হাইব্রিড জাতের মোটা ধান কাটতে পারেননি চাষিরা।
অন্যদিকে ধান কাটা শ্রমিকেরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া, পানিতে ডুবে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ঝড়ে খেতের ধান এলোমেলোভাবে নুয়ে পড়ায় এবার ধান কাটতে বেশি পরিশ্রম হচ্ছে। এ ছাড়া অধিকাংশ খেতের ধানই ভেজা অবস্থায় তোলা হচ্ছে। আবার পানিতে ডুবে অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য এবার গতবারের তুলনায় তারা পারিশ্রমিক বেশি নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এবার জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্য ১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ করে ধানের ফলন হয়ে থাকে। তবে এবার বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুমে ঘন ঘন ঝড়-বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে বোরোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টি ব্লাস্ট রোগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করায় অনেক খেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়েছে। এসব কারণে এবার ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে। গত বছর যেসব জমিতে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে, এবার সেখানে ১৮-২০ মণ করে ধানের ফলন হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে আউশ ধানসহ শাক-সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। শাক-সবজির খেতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা মাঠ পর্যায়ে তালিকা করা হচ্ছে।
পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে এ বছর বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন আইজল মিয়া (৪৮)। গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার কেওয়াবাড়ী কেশামত গ্রামের কৃষক তিনি। সোনার ফসলের আশায় চার মাসের বেশি সময় ধরে রাতদিন কষ্ট করেছেন তিনি। যেখানে যা খরচ করার প্রয়োজন ছিল, কমতি রাখেননি। কিন্তু সেই কষ্টের ফল হতে যাচ্ছে প্রায় শূন্য। কারণ, শ্রমিকসংকটের কারণে এখনো দুই বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। এদিকে খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে পাকা ধান। দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
আইজল মিয়া বলেন, ধারদেনা করে আবাদ করছি। পরিকল্পনা ছিল কিছু ধান বেচে ঋণের টাকা শোধ করবেন। আর বাকি ধান দিয়ে সংসারের কয়েক মাসের খরচ জোগাবেন। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগমুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া আর শ্রমিকের সংকট তাঁর সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের ঝাউবাড়ী গ্রামের ধানচাষি মো. মোস্তফা মিয়া। তিনি বলেন, পানিতে তিন বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটতে না পারলে পানির নিচে গাঁজ ধরবে। ধান কাটা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। আরেক চাষি মো. রন্জু মিয়া বলেন, তিন-চার দিনের ঝড়ে পাকা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। একদিকে নেক ব্লাস্টে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার ধানের আবাদে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরেক কৃষক মো. গোলজার আলী বলেন, খেতে পানি জমে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাওয়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা বেশি মজুরি চাইছেন। তিনি বলেন, ‘হামারে মতো অল্প জমিওয়ালা কৃষানের ধান কাটতে বাহানা শুরু করছে শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে বউ-ছল লিয়ে খ্যাতের ধান ক্যাটতে শুরু করছি। বাকি ধান খ্যাতেই পড়ে আছে। আর দুই-তিন দিন এভাবে বৃষ্টি হলে আর ধান ক্যাটতে না পারলে সব ধান খ্যাতেই লস্ট হয়ে যাবে।’ গত বছর যে ধান কাটা-মাড়াইয়ে প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এবার সেখানে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিন-চার দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার নিচু এলাকার পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জমির ধানগাছ পানিতে শুয়ে পড়ছে। এ ছাড়া যে জমিগুলোতে এখনো ধানগাছ গলা পানিতে উঁকি দিচ্ছে, সেগুলোর শিষও আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ছে। এখনো জেলায় হাইব্রিড জাতের মোটা ধান কাটতে পারেননি চাষিরা।
অন্যদিকে ধান কাটা শ্রমিকেরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া, পানিতে ডুবে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ঝড়ে খেতের ধান এলোমেলোভাবে নুয়ে পড়ায় এবার ধান কাটতে বেশি পরিশ্রম হচ্ছে। এ ছাড়া অধিকাংশ খেতের ধানই ভেজা অবস্থায় তোলা হচ্ছে। আবার পানিতে ডুবে অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য এবার গতবারের তুলনায় তারা পারিশ্রমিক বেশি নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এবার জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্য ১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ করে ধানের ফলন হয়ে থাকে। তবে এবার বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুমে ঘন ঘন ঝড়-বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে বোরোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টি ব্লাস্ট রোগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করায় অনেক খেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়েছে। এসব কারণে এবার ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে। গত বছর যেসব জমিতে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে, এবার সেখানে ১৮-২০ মণ করে ধানের ফলন হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে আউশ ধানসহ শাক-সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। শাক-সবজির খেতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা মাঠ পর্যায়ে তালিকা করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির কার্টনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি...
২ মিনিট আগেনদীবেষ্টিত এলাকা পটুয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষের সঞ্চালন লাইনের পানির ওপর নির্ভরশীল হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে দিন দিন তীব্র হচ্ছে পানির সংকট।
৯ মিনিট আগেকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোলাপের চর গ্রামের একমাত্র সেতুটি ৩০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পর বর্তমানে চরম নাজুক দশায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তৈরি করা ৩০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান..
১২ মিনিট আগেরশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খান বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাতের বেলায় পুরো রাস্তা অন্ধকারে থাকে। শীতের সময় কুয়াশা পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। তাই দ্রুত সড়কবাতি স্থাপন করা প্রয়োজন।
৩৮ মিনিট আগে